শেয়ারবাজার রিপোর্ট: সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) শুরু থেকে ক্রয় প্রেসারে বাড়তে থাকে সূচক। এরই ধারাবাহিকতায় টানা ৫ কার্যদিবস পতনের পর ঘুড়ে দাঁড়িয়েছে বাজার। সোমবার সূচকের পাশাপাশি বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ার দর। আর টাকার অংকে লেনদেন আগের দিনের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে। আজ দিন শেষে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৯৬১ কোটি টাকা।

এ প্রসঙ্গে একাধিক মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউজের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, আজ লেনদেনের শুরু থেকেই ক্রয় প্রেসার লক্ষ করা যায়। অন্যান্য খাত গুলোতে বিক্রয় চাপ থাকলেও প্রকৌশল, আর্থিক, বীমা, জ্বালানী ও বিদ্যুৎ, ওষুধ ও রসায়ন এবং বস্ত্র খাতের ব্যপক আগ্রহ দেখা যায়। মধ্যাবস্থায় মুনাফাভোগী বিনিয়োগকারীদের চাপ থাকলে শেষ ভাগে বিনিয়োগকারীদের সম্মিলিতভাবে শেয়ার ক্রয়ের ঝোক দেখা যায়। তাই শেষ পর্যন্ত বাজারে ক্রয় চাপ অব্যাহত থাকে। পরিণতিতে সূচকে উত্থান ঘটেছে।

সোমবার ডিএসইর ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ১৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫৫৮৮ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ২ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১৩০২ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৬ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ২০১৭ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ৩২৭টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১৭২টির, কমেছে ১০৪টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৫১টির। আর দিনশেষে লেনদেন হয়েছে ৯৬১ কোটি ৮ লাখ ২৮ হাজার টাকা।

এর আগের কার্যদিবস অর্থাৎ রোববার ডিএসইর ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ১৩ পয়েন্ট কমে অবস্থান করে ৫৫৭৩ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৪ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১২৯৯ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ১০ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ২০১০ পয়েন্টে। আর ওইদিন লেনদেন হয়েছিল ৭৯৪ কোটি ৪৮ লাখ ১৪ হাজার টাকা। সে হিসেবে আজ ডিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ১৬৬ কোটি ৬০ লাখ ১৪ হাজার টাকা।

এদিকে, দিনশেষে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সাধারণ মূল্য সূচক ৪৪ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১০ হাজার ৪৯৯ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ২৫০টি কোম্পানির ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১৩৭টির, কমেছে ৮২টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩১টির। আর দিনশেষে লেনদেন হয়েছে ৫৪ কোটি ৬৬ লাখ ৩৬ হাজার টাকা।

শেয়ারবাজারনিউজ/মু