আজ: শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ইং, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৭ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

০৮ মার্চ ২০১৭, বুধবার |

kidarkar

চলছে শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রিজের চমক: মার্জিন সুবিধা বন্ধ

shephard-industriesশেয়ারবাজার রিপোর্ট: পুঁজিবাজারে সদ্য তালিকাভুক্ত হওয়া বস্ত্র খাতের কোম্পানি শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ার দর লেনদেন শুরুর আধা ঘন্টায় ৪২১ শতাংশ বেড়েছে। আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় দেশের উভয় শেয়ারবাজারে আনুষ্ঠিানিকভাবে শুরু হয় এ কোম্পানির লেনদেন। এদিকে এ কোম্পানির শেয়ার ক্রয়ে আগামী ৩০ কার্যদিবস পর্যন্ত মার্জিন সুবিধা পাবেন না বিনিয়োগকারীরা। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

বিশ্লেষণে দেখা গেছে, দুপুর ১১টায় ঢাকা স্টক একচেঞ্জে (ডিএসই) শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রিজের  শেয়ার দর ৪৫ টাকায় ওপেন হলেও সর্বচ্চো লেনদেনটি হয় ৫৩.৫০ টাকায়। আলোচিত সময়ে কোম্পানির শেয়ার দর ৩৭.১০ টাকা থেকে ৫৩.৫০ টাকা পর্যন্ত ওঠানামা করে। এ সময় কোম্পানির ৫২ লাখ ৯০ হাজার ৪৯২টি শেয়ার মোট ৭ হাজার ৬৩১ বার হাত বদল হয়। যা টাকার অংকে লেনদেন হয় ২৫ কোটি ২৩ লাখ ৭৮ হাজার টাকা।

জানা যায়, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) কর্তৃক জারিকৃত Directive no,SSEC/CMRRCD/2009-193/177 and BSEC Order No. SEC/CMRRCD/2009-193/178 এবং বিএসইরির আদেশ নং এসইসি/সিএমআরআরসিডি/২০০৯-১৯৩/১৭৮ তারিখ : ১/১০/২০১৫ অনুযায়ী স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত কোনো সিকিউরিটির নতুন লেনদেন শুরু বা ক্যাটাগরি পরিবর্তনের ক্ষেত্রে পরিবর্তিত ক্যাটাগরীতে উক্ত সিকিউরিটি ক্রয়ের জন্য মার্জিন ঋণ প্রদান করা যাইবে না।

আজ এন ক্যাটাগরির আওতায় লেনদেন শুরু করতে যাওয়া শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রিজের ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) কোম্পানি ট্রেডিং কোড হবে “SHEPHERD”। আর কোম্পানি কোড হবে ১৭৪৭৪। আর সিএসইতে কোম্পানি কোড হবে ১২০৬২।

এর আগে কোম্পানিটির আইপিও লটারিতে বরাদ্দ পাওয়া শেয়ার সিডিবিএলের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের নিজ নিজ বিও হিসাবে গত ২ মার্চ বৃহস্পতিবার জমা হয়েছে। অন্যদিকে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এ কোম্পানিকে তালিকাভুক্তির অনুমোদন দিয়েছে। আর গত ৬ ফেব্রুয়ারি আইপিও লটারির ড্র প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রিজ ।

জানা যায়, পুঁজিবাজারে ২ কোটি সাধারণ শেয়ার ছেড়ে ২০ কোটি টাকা সংগ্রহ করবে শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রিজ। আর এ লক্ষ্যে অভিহিত মূল্যে তথা ১০ টাকা দরে শেয়ার ইস্যু করবে কোম্পানিটি। আর উত্তোলিত টাকা দিয়ে ওয়াশিং প্লান্ট ভবন নির্মাণ, সম্প্রসারণ, মেশিন ও সরঞ্জামদি ক্রয়, ইটিপি সম্প্রসারণ, ব্যাংক ঋণ পরিশোধ এবং আইপিও খাতে ব্যয় করবে কোম্পানিটি।

৩০ জুন, ২০১৬ পর্যন্ত সমাপ্ত আর্থিক বিবরণী অনুযায়ী কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ১.৪৬ টাকা এবং শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) হয়েছে ১৮.৭০ টাকা।

কোম্পানিটির ইস্যু ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছে আলফা ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড।

শেয়ারাবাজারনিউজ/এম.আর

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.