২০০ কোটি টাকার কাজ পেলো ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড
শেয়ারবাজার ডেস্ক: গভীর সমুদ্রে মাছ ধরার কাজে ব্যবহারের জন্য ২০০ কোটি টাকার একটি বিশেষায়িত জাহাজ নির্মাণের কাজ পেয়েছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রকৌশল খাতের কোম্পানি ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড লিমিটেড। গতকাল মঙ্গলবার এই জাহাজের নির্মাণকাজ শুরু উপলক্ষে চট্টগ্রাম ক্লাবে এক অনুষ্ঠান হয়।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, ঢাকায় নিযুক্ত নরওয়ের রাষ্ট্রদূত সিসেল ব্লিকেন, ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সাখাওয়াত হোসেন।
জানা যায়, গভীর সমুদ্রে মাছ ধরার কাজে ব্যবহারের জন্য ২৫ মিলিয়ন ডলার বা প্রায় ২০০ কোটি টাকার একটি বিশেষায়িত জাহাজ নির্মাণের কার্যাদেশ পেয়েছে ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড। নির্মাণকাজ শুরু হতে যাওয়া এই জাহাজ লম্বায় ৮০ মিটার হবে। এতে একসঙ্গে দুই হাজার মেট্রিক টন মাছ সংরক্ষণ করা যাবে। জাহাজটির নির্মাণকাজ শেষ হতে সময় লাগবে প্রায় দুই বছর। জাহাজটিতে মাছ ধরা ও সংরক্ষণের অত্যাধুনিক যন্ত্র সংযোজন করা হবে।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, জাহাজটিতে সংযোজনের জন্য মোট ১৫ মিলিয়ন ডলারের যন্ত্রাংশ আমদানি করতে হবে। এর মধ্যে সাত মিলিয়ন ডলারের যন্ত্রাংশ আনা হবে নরওয়ে থেকে। বাকি ৮ মিলিয়ন আনা হবে অন্যান্য দেশ থেকে। এ হিসেবে এই এক জাহাজে ওয়েস্টার্ন মেরিনসহ বাংলাদেশের সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলোর হাতে থাকবে ১০ মিলিয়ন ডলার। এর বাইরে জাহাজটি নির্মাণে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ১০০ লোকের কর্মসংস্থান হবে।
অনুষ্ঠানে নরওয়ের রাষ্ট্রদূত সিসেল ব্লিকেন বলেন, জাহাজটি সময়মতো এবং মান বজায় রেখে নির্মাণ করতে পারলে নরওয়েতে বাংলাদেশের জন্য বড় সুযোগ তৈরি হবে। কারণ, নরওয়েতে মাছ ধরার জাহাজের চাহিদা রয়েছে।
ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাখাওয়াত হোসেন বলেন, গত পাঁচ বছরে বাংলাদেশের জাহাজ নির্মাণ প্রতিষ্ঠানগুলো মোট ২৫টি জাহাজ রপ্তানি করে ১৫ কোটি মার্কিন ডলার আয় করেছে। এর মধ্যে ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড এককভাবে রপ্তানি করেছে ১৩টি জাহাজ। বিশ্বমন্দার কারণে বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে জাহাজ নির্মাণশিল্পে দেশীয় নির্মাতাদের দীর্ঘ মেয়াদে ৪ শতাংশ সুদে অর্থায়নের সুযোগ দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
শেয়ারবাজারনিউজ/এম.আর