শেয়ারবাজার রিপোর্ট: সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) শুরু থেকে ক্রয় প্রেসারে বাড়তে থাকে সূচক। এরই ধারাবাহিকতায় টানা চার কার্যদিবস উত্থানে বিরাজ করছে বাজার। আজ ডিএসইতে লেনদেন করা ৩৩০ কোম্পানির মধ্যে ১২২টি কোম্পানির দর সংশোধন হয়েছে। বৃহস্পতিবার সূচকের পাশাপাশি বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ার দর। তবে টাকার অংকে লেনদেন আগের দিনের তুলনায় কিছুটা কমেছে। আজ দিন শেষে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ১৮৫ কোটি টাকা।

এ প্রসঙ্গে একাধিক মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউজের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, আজ লেনদেনের শুরু থেকেই ক্রয় প্রেসার লক্ষ করা যায়। শেষ দিকে বাজারে অন্যান্য খাতে সেল প্রেসার থাকা স্বত্ত্বেও সূচক বেড়েছে। শুরু থেকে অন্যান্য খাত গুলোতে বিক্রয় চাপ থাকলেও ব্যাংক, আর্থিক এবং বীমা খাতের ব্যপক আগ্রহ দেখা যায়। মাঝখানে মুনাফাভোগী বিনিয়োগকারীদের চাপ থাকলে বিনিয়োগকারীদের তিন খাতে শেয়ার ক্রয়ের ঝোক দেখা যায়। তাই বাজারে ক্রয় চাপ অব্যাহত থাকে। পরিণতিতে সূচকে উত্থান ঘটেছে।

বৃহস্পতিবার ডিএসইর ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ২১ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫৬৭১ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৩ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১৩১২ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ২০৪৯ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ৩৩০টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১৫৭টির, কমেছে ১২২টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৫১টির। আর দিনশেষে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ১৮৫ কোটি ৩৬ লাখ ৩০ হাজার টাকা।

এর আগের কার্যদিবস অর্থাৎ বুধবার ডিএসইর ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ২৭ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করে ৫৬৪৯ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১৩০৯ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৯ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ২০৪০ পয়েন্টে। আর ওইদিন লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৩০২ কোটি ১১ লাখ ৪০ হাজার টাকা। সে হিসেবে আজ ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ১১৬ কোটি ৭৫ লাখ ১০ হাজার টাকা।

এদিকে, দিনশেষে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সাধারণ মূল্য সূচক ৪৬ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১০ হাজার ৬৫৩ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ২৫১টি কোম্পানির ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১৩২টির, কমেছে ৭৭টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪২টির। আর দিনশেষে লেনদেন হয়েছে ৬৪ কোটি ২৪ লাখ ৯৮ হাজার টাকা।

শেয়ারবাজারনিউজ/মু