আজ: শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ইং, ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

১১ মার্চ ২০১৭, শনিবার |

kidarkar

আবারও বুক বিল্ডিং আইন সংশোধন করবে কমিশন

BSECশেয়ারবাজার রিপোর্ট: আইপিওর বুক বিল্ডিং আইন আবারও সংশোধনের পরিকল্পনা করছে শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী শেয়ারের দর নির্ধারণে কোনো প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী সর্বোচ্চ ২ শতাংশ শেয়ার ক্রয়ের জন্য দরপ্রস্তাব করতে পারবে। আইপিওর আকার বড় হলে এ হার ১ শতাংশও করা হতে পারে। বর্তমানে কোনো প্রতিষ্ঠান সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ শেয়ার কিনতে দরপ্রস্তাব করতে পারে। সর্বশেষ আমারা নেটওয়ার্কসের শেয়ারদর ৩৯ টাকা নির্ধারণে পারস্পরিক যোগসাজশের অভিযোগ আসার পর আইনটি সংশোধনের এ পরিকল্পনা করছে সংস্থাটি।

বুক বিল্ডিং আইনের সর্বশেষ সংশোধন হয় ২০১৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর। সংশোধনীতে আইপিওতে প্রিমিয়াম চাইলেই বুক বিল্ডিং পদ্ধতি অনুসরণের বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়। দর নির্ধারণের সর্বনিম্ন সীমা আরোপ করা হলেও সর্বোচ্চ সীমা রাখা হয়নি।

আইপিওর বুক বিল্ডিং পদ্ধতির বিদ্যমান আইন অনুযায়ী আমারা নেটওয়ার্কসের শেয়ারদর (কাট-অব-প্রাইস) ৩৯ টাকার কম হলে কোম্পানিটির আইপিও প্রক্রিয়াই বাতিল হয়ে যেত। বিএসইসির এক কর্মকর্তা শেয়ারবাজারনিউজ ডটকমতে এ তথ্য জানিয়েছেন। এর ব্যাখ্যায় ওই কর্মকর্তা বলেন, দরটি এর কম হলে যে পরিমাণ নতুন শেয়ার ইস্যু করা হতো, তাতে কোম্পানিটির উদ্যোক্তা-পরিচালকদের অংশ ৩০ শতাংশের নিচে নামত। পাবলিক ইস্যু রুলস অনুযায়ী এ অবস্থায় কোনো কোম্পানি আইপিওতে যেতে পারে না।

যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণে প্রয়োজনে ডাচ্-অকশন পদ্ধতি ব্যবহার করা যায় কি-না, তাও বিবেচনা করা হচ্ছে বলে জানান বিএসইসির কর্মকর্তারা। তারা বলেন, এ পদ্ধতিতে কোনো প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী যে দরে শেয়ার ক্রয়ের প্রস্তাব করবে, তাকে সে দরেই শেয়ার নিতে হবে। এতে কেউ কারসাজি করতে চাইলে নিজেরই ক্ষতি হবে।

বিদ্যমান আইনের দুর্বলতার সুযোগে পারস্পরিক যোগসাজশে ১০টি প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর মাধ্যমেই চূড়ান্ত দর নির্ধারণ করা সম্ভব বলে মনে করে প্রধান শেয়ারবাজার ডিএসই ও এর ব্রোকারদের সংগঠন ডিবিএ। বেশি সংখ্যক প্রাতিষ্ঠানিক দরপ্রস্তাবের মাধ্যমেই যাতে চূড়ান্ত দর নির্ধারিত হয়, সেভাবে বিদ্যমান বুক বিল্ডিং আইনের সংশোধনের সুপারিশ করেছে তারা।

বিএসইসির কর্মকর্তারা জানান, ডিএসইর প্রস্তাব পাওয়ার আগেই কমিশন আইন সংশোধনের পরিকল্পনা নিয়ে কাজ শুরু করে। এ ছাড়া বিভিন্ন ক্যাটাগরির প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী সংখ্যা এবং তাদের মূলধন পর্যাপ্ততার ভিত্তিতে কোটা পুনর্নির্ধারণ করার বিষয়টিও কমিশনের বিবেচনায় রয়েছে। বর্তমানে ১০ ক্যাটাগরির প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের প্রতিটি ক্যাটাগরির জন্য সমান ১০ শতাংশ করে কোটা বরাদ্দ রয়েছে।

ডিএসইর কর্মকর্তারা জানান, বর্তমান বুক বিল্ডিং আইন অনুযায়ী কোন কোম্পানি কত টাকা মূলধন সংগ্রহ করবে, তা ঘোষণা করে। এ হিসাবেই প্রাতিষ্ঠানিক কোটা টাকার অঙ্কে নির্ধারিত হয়। আবার এ আইন অনুযায়ী দরপ্রস্তাবের ক্ষেত্রে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের দরপ্রস্তাব করতে হয় শেয়ারসংখ্যার ওপর, যা সাংঘর্ষিক। এরও সংশোধন দরকার।

শেয়ারবাজারনিউজ/আ

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.