১৬৫ কোটি টাকা ফেরত পাচ্ছে পুঁজিবাজারের ৪ কোম্পানি
শেয়ারবাজার রিপোর্ট: সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির কাছ থেকে আদায় করা ৬১৫ কোটি ৫৫ লাখ টাকা ফেরত দিতে নির্দেশ দিয়েছে আপিল বিভাগ।
এর মধ্যে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৪ কোম্পানি ফেরত পাচ্ছে ১৬৪ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। পুঁজিবাজারের কোম্পানিগুলোর মধ্যে মেঘনা সিমেন্ট ৫২ কোটি টাকা, ইউনিক হোটেল এন্ড রিসোর্ট ১৭ কোটি ৫৫ লাখ টাকা এবং ইস্টার্ন হাউজিং ৩৫ কোটি টাকা ফেরত পাবে।
এছাড়া এস আলম গ্রুপের অন্য ৬ প্রতিষ্ঠানের সাথে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এস আলম কোল্ড রোল্ড স্টীল সম্মিলিতভাবে ৬০ কোটি টাকা ফেরত পাবে।
পাশাপাশি আইপিও’র পাইপ লাইনে থাকা বসুন্ধরা পেপার এবং ইস্টওয়েস্ট প্রপার্টি লি: সম্মিলিতভাবে ১৫ কোটি টাকা ফেরত পাবে।
১১টি প্রতিষ্ঠানকে ওই অর্থ ফেরত দিতে হাই কোর্টের দেওয়া আদেশের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ব্যাংকের করা আপিল বৃহস্পতিবার খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করে।
আদালতে ব্যবসায়ীদের পক্ষে শুনানি করেন আহসানুল করিম ও খায়রুল আলম চৌধুরী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
রায়ের পর আহসানুল করিম বলেন, হাই কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে ১১টি আপিল হয়েছিল। যেসব প্রতিষ্ঠান আদালতে রিট করেছিল, কেবল তাদের টাকাই ফেরত দিতে বলেছে আদালত।
২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদের নেতৃত্বাধীন নির্বাচনকালীন বিতর্কিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে সরিয়ে ক্ষমতা নেয় সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রিত ফখরুদ্দীন আহমেদের সরকার।
জরুরি অবস্থা জারি করে দুর্নীতি দমন অভিযানের কথা বলে গ্রেপ্তার করা হয় দেশের শীর্ষ রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীদের। ওই সময়ই ২০০৭ সালের এপ্রিল থেকে ২০০৮ সালের নভেম্বরের মধ্যে প্রায় ৪০ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ওই অর্থ আদায় করা হয়।
২০১০ সালে জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত জানান, তত্ত্বাবধায়ক আমলে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির কাছ থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল প্রায় ১ হাজার ২৩২ কোটি টাকা, যা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা রয়েছে।
শেয়ারবাজারনিউজ/আ