গরম থেকে বাঁচতে ঘরের ভেতরে গাছ লাগান
শেয়ারাবাজার ডেস্ক: মানিপ্লান্ট নামের গুল্মের সাথে আমরা আগে থেকেই পরিচিত। নামে টাকার গাছ হলেও এতে কোন টাকা জন্মে না। তবে ঘরের স্নিগ্ধতা বজায় রাখে এই ছোট ছোট গাছ।
আমাদের শ্বাস-প্রশ্বাসের সাথে প্রচুর পরিমাণে জীবাণু থাকে। ঘরে বাইরে সারাদিন ভ্রমণ করে আরও বেশি রোগ-জীবাণু আমাদের ঘরে প্রবেশ করে। এসব জীবাণু থেকে রক্ষা পেতে আমাদের ঘরে অক্সিজেনের প্রয়োজন। এক্ষেত্রে গাছের থেকে ভাল আর কি বা হতে পারে।
আপনার ঘর এবং অফিসের পরিবেশ সুন্দর করার জন্য কিছু ছোট ছোট মানিপ্লান্টের গাছ লাগাতে পারেন। যেমন- অর্কিড, বনসাই, ডেকোরেশন গাছ, পাতাবাহার, ক্যাকটাস, অ্যালোভেরা, থানকুনিসহ বিভিন্ন ধরনের গাছ। গাছের ধরন বুঝে কোন গাছ কোথায় রাখতে হবে তা ঠিক করতে হবে। কোন গাছটা ড্রইং রুমে রাখলে বেশি মানিয়ে নিবে, কনটি বেলকুনিতে বা কোনটি বেডরুমে ভাল লাগবে তা ঠিক করতে হবে।
যেমন বনসাইয়ের জন্য চাই প্রাকৃতিক আলো-বাতাস, বৃষ্টির পানি। তাই বনসাই বারান্দায় রাখতে পারেন। চাইলে মাঝে মাঝে ঘরের মধ্যেও রাখতে পারেন। অর্কিড গাছ রঙ্গীন রশি দিয়ে ঝুলিয়ে দিতে পারেন। এতে দেখতে যেমন ভালো লাগবে তেমনি গাছও ভাল থাকবে।
ড্রইং রুমের জানালার পাশে রাখতে পারেন ডেকোরেশন গাছ। বারান্দায় কাঠের কিংবা বাঁশের তাক তৈরি করে নিবেন। তার উপরে সাজিয়ে রাখতে পারেন গাছ। এতে করে একসঙ্গে অনেক গাছ সাজিয়ে রাখতে পারবেন। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের ক্যাকটাস গাছ পছন্দমত জায়গায় সাজিয়ে রাখতে পারেন।
গাছের যত্নের জন্য বাড়িতেই সার তৈরি করতে পারেন। ব্যবহার করা চা-পাতা ও ডিমের খোসা গুঁড়ো করে ভালো করে মিশিয়ে এক-দুই সপ্তাহ রোদে রাখুন। গাছের সার হিসেবে খুব ভালো কাজ করবে। তবে কখনও ভিজে মাটিতে সার ব্যবহার করা উচিত নয়। সপ্তাহে অন্তত একদিন সব গাছ রোদে রাখতে হবে। তবে কড়া রোদে না রাখাই ভালো।
গাছের যত্ন সঠিকভাবে না করতে পারলে এসব গাছ ঠিকমত বাঁচে না। আঁধারের গাছ হিসেবে এদের পরিচিতি থাকলেও আলোবাতাস এদের ও প্রয়োজন আছে। তাই মাঝে মাঝে রোঁদে রেখে আসবেন কিছুক্ষণের জন্য।
শেয়ারবাজারনিউজ/মু