শেয়ারে বিদেশিদের সরাসরি বিনিয়োগের সুযোগ দিল বাংলাদেশ ব্যাংক
শেয়ারবাজার রিপোর্ট: বিদেশি বিনিয়োগকারীরা নিজেদের হিসাব থেকে বাংলাদেশি টাকায় সরাসরি দেশীয় কোম্পানির শেয়ারে বিনিয়োগ করতে পারবেন। তাই এখন থেকে মুদ্রার মান পরিবর্তনজনিত কোন ঝুঁকিতে পড়তে হবে না বিদেশিদের জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
গতকাল প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বিষয়টি স্পষ্ট করে সকল ব্যাংককে (টাকার অথোরাইজড ডিলার) ব্যাখ্যা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
প্রজ্ঞাপনে, ফরেইন এক্সচেঞ্জ ট্রাঞ্জেকশন-২০০৯ বিধিমালার চ্যাপ্টার ৯ এর পরিচ্ছদ ২(এ)(বি) ও চ্যাপ্টার ৪ এর পরিচ্ছদ ১৬ সম্পর্কে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে।
ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, শেয়ার কেনার জন্য প্রবাসীদের ব্যাংকের বিদেশি শাখা কিংবা প্রতিনিধির কাছে থাকা নিজ হিসাবে টাকা জমা করতে হবে। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক টাকা জমা হওয়া হিসাবের উপর সার্টিফিকেট ইস্যু করতে পারে। দেশিও কোম্পানির শেয়ার কেনার ক্ষেত্রে টাকা প্রদানে সার্টিফিকেটটি সহায়তা করবে। সার্টিফিকেট ইস্যুর জন্য দুটি ছক তৈরি করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এ বিষযে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক উর্ধ্বতন কর্মকর্তা শেয়ারবাজারনিউজ ডটকমকে বলেন, সার্টিফিকেট ইস্যুকারী ব্যাংক প্রবাসী হিসাবধারীর কেনা শেয়ারের মূল্য টাকা কিংবা বৈদেশিক মুদ্রায় পরিশোধ করতে পারবে। এক্ষেত্রে মুদ্রার মান একইভাবে হিসাব করা হবে। অর্থাৎ প্রবাসী বিনিয়োগকারীরা শুধু শেয়ার কেনার নির্দেশ দিবেন বাকী সব কাজ ব্যাংক করবে।
তিনি আরো বলেন, ফরেন ডিরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট (এফডিআই) আরো সহজ ও ঝুঁকিমুক্ত করার জন্য বিধিমালার ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে। কারণ বৈদেশিক মুদ্রার মান খুবই অস্থিতিশীল। প্রতিদিনই এর দর উঠানামা করে।
তাছাড়া এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য জাপানের বিনিয়োগ উন্নয়ন সংস্থা দি জাপান এক্সটার্নাল ট্রেড অর্গানাইজেশন (জেট্রো) বাংলাদেশ ব্যাংককে অনুরোধ করেছিল।
ফরেইন এক্সচেঞ্জ ট্রাঞ্জেকশন-২০০৯ বিধিমালার চ্যাপ্টার ৯ এর পরিচ্ছদ ২(এ)(বি) এ বলা হয়েছে, কেবল মাত্র ব্যাংকের মাধ্যমে টাকায় পরিবর্তন যোগ্য বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময়ে শেয়ার কিনতে পারবেন প্রবাসীরা। চ্যাপ্টার ৪ এর পরিচ্ছদ ১৬ এ বলা হয়েছে ব্যাংক শুধুমাত্র টাকায় রুপান্তরযোগ্য বৈদেশিক মুদ্রায় প্রবাসীদের হিসাব খুলতে এবং রক্ষণাবেক্ষণ করতে পারে। সেক্ষেত্রে হিসাবে থাকা ফান্ডের মানের কোন পরিবর্তন হবে না।
প্রসঙ্গত ২০১৬-২০১৭ হিসাব বছরের প্রথম ৬মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) এফডিআই এসেছে ১.৭ বিলিয়ন ডলার। এছাড়া পুঁজিবাজারে বিদেশি বিনিয়োগ আলোচিত সময়ে এসেছে ১৮ কোটি ৪০ লাখ ডলার।
শেয়ারবাজারনিউজ/আ