সূচক পড়তে দেয়নি বিনিয়োগকারীরা
শেয়ারবাজার রিপোর্ট: সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের উর্ধ্বমুখী প্রবণতায় লেনদেন শেষ হয়েছে। তবে এ উত্থানের মাত্র খুবই সামান্য। এইদিন শুরুতে উত্থান থাকলেও ৪০ মিনিট পর আর্থিক ও বীমা খাতের ব্যাপক সেল প্রেসারে কমতে থাকে সূচক। এবং শেষ দিকে ক্রয় চাপে সূচকে সামান্য উত্থান ঘটে। সোমবার সূচক কিছুটা বাড়লেও কমেছে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ার দর। আর টাকার অংকে লেনদেন আগের দিনের তুলনায় কিছুটা কমেছে। আজ দিন শেষে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৯৯৫ কোটি টাকা।
এ প্রসঙ্গে একাধিক মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউজের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, গত সপ্তাহের ধারবাহিক উত্থানের পর রোববার বিনিয়োগকারীদের মধ্যে মুনাফা তুলে নেয়ার ঝোঁক বিরাজ করে। ফলে বাজারে পতন ঘটে। গতকালের কারেকশনের পর আজকে আবারও উত্থানে ফিরেছে বাজার। আর্থিক ও বীমা খাতে ব্যাপক সেল প্রেসারে সূচক নিম্নমুখী থাকলে শেষ পর্যন্ত সূচক পড়তে দেয়নি বিনিয়োগকারীরা।
সোমবার ডিএসইর ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ০.২৬ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫৬৯৫ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ২ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১৩০৫ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৪ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ২০৬১ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ৩২৫টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১০৬টির, কমেছে ১৭৩টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৬টির। আর দিনশেষে লেনদেন হয়েছে ৯৯৫ কোটি ৪০ লাখ ৯৩ হাজার টাকা।
এর আগের কার্যদিবস অর্থাৎ রোববার ডিএসইর ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ৫ পয়েন্ট কমে অবস্থান করে ৫৬৯৫ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৩ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১৩০৭ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৬ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ২০৬৬ পয়েন্টে। আর ওইদিন লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ১০৩ কোটি ৭৫ লাখ ৭৭ হাজার টাকা। সে হিসেবে আজ ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ১০৮ কোটি ৩৪ লাখ ৮৪ হাজার টাকা।
এদিকে, দিনশেষে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) ব্রড ইনডেক্স ১ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১০ হাজার ৭২৭ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ২৫১টি কোম্পানির ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৭৮টির, কমেছে ১৩৪টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৯টির। আর দিনশেষে লেনদেন হয়েছে ৫৫ কোটি ৯৯ লাখ ৯০ হাজার টাকা।
শেয়ারবাজারনিউজ/মু