প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানার দাবি
শেয়ারবাজার ডেস্ক: দক্ষিণ কোরিয়ার ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট পার্ক গিউন হাইকে দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহার কেলেঙ্কারির ঘটনায় গ্রেফতারি পরোয়ানার দাবি জানিয়েছেন দেশটির প্রসিকিউটররা। তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানার সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন বলে প্রসিকিউসনের পক্ষ থেকে সোমবার জানানো হয়।
দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের কারণে গত মাসে তাকে প্রেসিডেন্টের পদ হারাতে হয়। এর পর গত সপ্তায় তাকে প্রায় ১৪ ঘন্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন দেশটির প্রসিকিউটররা। রাজধানী সিউলে প্রসিকিউটরের দপ্তরে পৌঁছানোর পর জনগণের কাছে নিজের কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা চান। এবং তার বিরুদ্ধে আনা দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করেন। একই সঙ্গে আন্তরিকভাবে তদন্ত কাজে সহযোগিতা করার কথাও জানান পার্ক।
দেশটির প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট পার্ক গত ডিসেম্বরে পার্লামেন্ট ভোটে অভিশংসিত হন। বড় ধরনের আর্থিক দুর্নীতির প্রশ্নে তাকে অপসারণের দাবিতে লাখ লাখ মানুষ রাজপথে নামার পর পার্লামেন্টে এ নিয়ে ভোট হয়।
চলতি মাসের শুরুতে দেশটির শীর্ষ আদালত তার অপসারণ নিশ্চিত করলে দেশটির এ নারী প্রেসিডেন্টের রাজনৈতিক কর্মজীবনের অবসান ঘটে। সামরিক সমর্থিত একনায়ক প্রেসিডেন্ট পার্ক চুং হির কন্যা পার্ক গিউন হাই। প্রেসিডেন্ট প্রাসাদেই বেড়ে ওঠেন।
পার্কের ঘনিষ্ঠ বান্ধবী চই সুন সিল রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার বিভিন্ন বড় বড় কোম্পানির কাছ থেকে জোরপূর্বক অর্থ আদায় করেছেন এমন অভিযোগের ব্যাপারে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
ঘুষ গ্রহণ ও দুর্নীতির মামলায় সুনকেও অভিযুক্ত করা হয়েছে। সুন পুলিশি হেফাজতে রয়েছেন। পার্কের বিরুদ্ধেও ক্ষমতার অপব্যবহার ও ঘুষ গ্রহণের একাধিক মামলা দায়ের করা হয়েছে। এসব মামলায় অভিযুক্ত হলে এক্ষেত্রে তিনি হবেন দক্ষিণ কোরিয়ার চতুর্থ নেতা।
গত সপ্তায় পার্ককে সিজ্ঞাসাবাদ করার সময় তার সমর্থকরা রাজধানী সিউলে তার বাড়ির বাইরে সমবেত হয়ে তাকে মুক্তি দিতে আহবান জানান। এসময় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে পার্ক সমর্থকদের সংঘর্ষে অন্তত দুইজন নিহত হয়।
শেয়ারবাজারনিউজ/মু