আজ: মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪ইং, ১০ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১২ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

২৭ মার্চ ২০১৭, সোমবার |

kidarkar

আগামী নির্বাচন হবে একাত্তরের ঘাতকদের পরাজিত করার নির্বাচন

nasimশেয়ারবাজার ডেস্ক: আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য, কেন্দ্রীয় ১৪ দলের মুখপাত্র এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৭১এর ঘাতকের দোসরদের চূড়ান্তভাবে পারজিত করতে দেশবাসীর প্রতি আহবান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আগামী নির্বাচন হবে ৭১এর ঘাতকদের চূড়ান্তভাবে পরাজিত করার নির্বাচন। এই নির্বাচনে ঘাতকের দোসরদের পারজিত করেতই হবে। পাকিস্তানের দোসরদের আগামী নির্বাচনে ক্ষমতায় আসতে দেয়া যাবে না। বাংলাদেশ থেকে এই জঙ্গিবাদের দোসরদের মূল উৎপাটন করতে হবে। ’
মোহাম্মদ নাসিম আজ শনিবার মিরপুর বদ্ধভূমি প্রাঙ্গণে কেন্দ্রীয় ১৪ দলে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। ২৫ শে মার্চ গণহত্যা দিবস উপলক্ষে এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
স্বেচ্ছাসেবক লীগ ঢাকা মহানগর উত্তরের সাংগঠনিক সম্পাদক মনোয়ারুল ইসলাম বিপুলের সঞ্চলনায় সভায় বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাদসের সাধারণ সম্পাদক শিরিন আখতার এমপি, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়–য়া, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ উত্তরের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক পংকজ দেবনাথ এমপি, ন্যাপ নেতা ইসমাইল হোসেন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
দেশ বিরোধী চক্রান্তকারীরা দেশের বিরুদ্ধে এখনও ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে মন্তব্য করে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, চক্রান্তকারীরা এখনও তৎপর রয়েছে। পাকিস্তান পরাজিত হয়েছে, কিন্তু তাদের দোসররা পরাজয় না মেনে, সব সময়ে দেশের বিরুদ্ধে একের পর এক ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। তাই ১৪ দলসহ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সকল শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য বলেন, চক্রান্তকারীদের চক্রান্ত এখনও শেষ হয়নি বলেই এখন বাংলাদেশে জঙ্গিরা হানা দেয়। ওরা পিছন দরজা দিয়ে ক্ষমতায় আসতে চায়।
নতুন প্রজন্মকে স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাস জানার আহবান জানিয়ে নাসিম বলেন, নতুন প্রজন্মকে জানতে হবে, বুঝতে হবে একদিনে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়নি। তোমাদের জানতে হবে কিভাবে, কার নির্দেশে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। কিভাবে বাংলাদেশের লাখ লাখ মানুষকে হত্যা করা হয়েছে।
রাশেদ খান মেনন বলেন, ২৫ মার্চের গণহত্যা ছিল পৈশাচিকতার এক ভয়াবহ উদাহরণ। এই গণহত্যা ছিল পাকিস্তান সরকারের চূড়ান্ত বিশ্বাসঘাতকতার বহিঃপ্রকাশ। ২৫ মার্চের গণহত্যার সংখ্যা নিয়ে যারা বিতর্ক করেন তাদের মতলব হলো বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে বিতর্কিত করা। এর আগে কেন্দ্রীয় ১৪ দলের নেতারা মিরপুর বদ্ধভূমিতে ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এদিকে দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন আয়োজিত ‘পঁচিশে মার্চ গণহত্যা ও লাখে প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন মোহাম্মদ নাসিম।
সংগঠনের সভাপতি আলমগীর মজুমদারের সভাপতিত্বে সভায় বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, সাম্যবাধী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

শেয়ারবাজারনিউজ/মু

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.