আজ: শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ইং, ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

১৩ এপ্রিল ২০১৫, সোমবার |

kidarkar

ওজন কমাতে প্রয়োজনীয় খাবার

vaশেয়ারবাজার ডেস্ক: ওজন কমাতে কত কিছুই না করে থাকি।  সকালে হাটা হাটি,  সাঁতার কাটা এবং রাতে জিম। অনেকে ওজন কমাতে ডায়েট করার জন্য বিভিন্ন রকম খাবার খেয়ে থাকে। এর জন্য আলাদাভাবে রান্না করতে হয়। এবার আর আলাদাভাবে রান্নার প্রয়োজন নেই, আমরা দৈনন্দিন যে খাবারগুলো খেয়ে থাকি তার মধ্যেই রয়েছে ওজন কমানোর প্রয়োজনীয় খাবার।

ওজন কমানোর এই খাবারসমূহ আপনি সরাসরি খেতে পারেন কিংবা আপনার মনমত রান্না করে খেতে পারেন। অনেকেই ঘি এবং বিভিন্ন চর্বিজাতীয় খাবার পরিহার করেণ। কিন্তু আপনি নিজ হাতে স্বাস্থ্যসম্মত ভাবে এ সকল খাবার রান্না করে খেলে আপনার ওজন কমতে থাকবে। এসকল খাবার খুব সহজেই তৈরি করা যায়।

মসুর বা মুগ ডাল
বাংলাদেশের ঘরে ঘরে প্রায় প্রত্যেহ ডাল রান্না করা হয়। ডালে ভিটামিন এ, বি, সি এবং ই, বিভিন্ন ধরণের খনিজ যেমন- ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম এবং আয়রন রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা সবসময় ডাল খাবার জন্য বলে থাকেন। কারন, এতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন ও ফাইবার রয়েছে। সবচেয়ে ভাল কথা হল মসুর ডালে কোন চর্বি নেই। এটি শরীরের ওজন হ্রাস করতে সাহায্য করে। ওজন হ্রাসের সাথে সাথে মসুর ডাল বিপাক ক্রিয়ায় সাহায্য করে, ইমিউন সিস্টেমের উপকার করে এবং বিভিন্ন মারাত্মক রোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে।

শাক
সবুজ শাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, বি, সি এবং ই, বিভিন্ন ধরণের খনিজ যেমন- ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম এবং আয়রন রয়েছে। আশ্চর্যজনক হলেও সত্যি যে, প্রতি এক কাপ শাকে মাত্র ১০ ক্যালোরি থাকে। এক বাটি শাক খাবার পর আপনার পেট পরিপূর্ণ হয়ে যাবে। আপনার ক্ষুধা নিবারণের সাথে সাথে আপনার ওজন হ্রাসের ক্ষেত্রেও কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে। পালংজাতীয় শাকে ভাল পরিমাণে ফাইবার থাকার কারনে শরীরের কোষ্ঠকাঠিন্য রোগ দূর হয়। এছাড়াও শাক পরিপাকতন্ত্র পরিষ্কার করে।

করল্লা
করল্লা নাম শুনলেই একেকজনের মুখের ভঙ্গিমা পরিবর্তন হয়ে যায়। কিন্তু, সঠিকভাবে রান্না করা হলে এর তিক্ত স্বাদ পরিবর্তন করা যায়। করল্লা শরীরের অতিরিক্ত ক্যালোরি পোড়াতে সাহায্য করে। করল্লা শরীরের ইনসুলিনের পরিমাণ বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। চুলকানি, সোরিয়াসিস এবং ছত্রাকজনিত সমস্যা দূর করে। করল্লাকে সূপ এর মত তৈরি করে খেলে এর স্বাদও ভাল লাগবে আবার ক্যালোরির পরিমাণও কমে যাবে।

কাজুবাদাম
টরেন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় পাওয়া গেছে, যারা সাদা রুটির সাথে কাজুবাদাম মিশিয়ে খায় তারা শরীরে যে পরিমাণে শর্করা পায়, যারা শুধু সাদা রুটি খায় তাদের তুলনায় বেশি। রক্তে শর্করার পরিমাণ বৃদ্ধি পাবার ফলে রক্তচাপের পরিমাণ অস্বাভাবিক হতে পারে।
কাজুবাদাম ওজন হ্রাসের ক্ষেত্রে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। এতে ভিটামিন এ, প্রোটিন, ফাইবার এবং ফলিক এসিড রয়েছে। এটি রক্তে শর্করার পরিমাণ অবিচলিত রাখে।

আপেল
পেন স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় পাওয়া যায়, পাস্তা খাবার পূর্বে একটি আপেল খেলে ক্যালোরির পরিমাণ হ্রাস পায়। আপেল ওজন হ্রাসের খাবার সমূহের মধ্যে অন্যতম। তাই, মসলাদার খাবারের পরিবর্তে প্রতিদিন আপেল খাওয়ার অভ্যাস করুন।

ওজন কমানো জন্য না খেয়ে থাকলে তা আপনার শরীরকে আরও অসুস্থ করে তুলবে। তাই, অবশ্যই পরিমিত খাবার গ্রহণ করুন। যেসব খাবার স্বাস্থ্যের জন্য ভাল নয়, সেসব খাবার কে পরিত্যাগ করুন।

শেয়ারবাজারনিউজ/মু

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.