উৎপাদন বন্ধ রাঙ্গামাটির লোকসান কমেছে
শেয়ারবাজার রিপোর্ট : উৎপাদন বন্ধ করে দেওয়া ওভার দ্য কাউন্টার মার্কেটের খাদ্য ও আনুষাঙ্গিক খাতের রাঙ্গামাটি ফুড প্রডাক্টস লিমিটেডের লোকসান কমেছে। মূলত কোম্পানিটির উৎপাদন বন্ধ থাকায় ঢাকার অফিস বন্ধ করে দেওয়ায় লোকসানের পরিমান কমেছে বলে ধারণা করছে বাজার সংশ্লিষ্ঠরা।
সম্প্রতি কোম্পানিটির প্রকাশিত তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি ১৫- মার্চ ১৫) কর পরিশোধের পর লোকসান করেছে ১ লাখ টাকা এবং শেয়ার প্রতি লোকসান করেছে ০.০৩ টাকা। যা তার আগের বছর একাই সময় লোকসান ছিলো ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা এবং শেয়ার প্রতি লোকসান করেছিলো ০.১৬ টাকা। সে অনুয়ায়ী গত এক বছরে কোম্পানির লোকসান কমেছে ৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা আর শেয়ার প্রতি লোকসানের পরিমান কমেছে ০.১৩ টাকা।
জানা যায়, রাঙ্গামাটি ফুড ২০০১ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ৩ কোটি টাকা। ২০০৯ সালের জুন মাসে কোম্পানিটিকে নানা অনিয়মের কারণে ওভার দ্য কাউন্টার (ওটিসি) মার্কেটে পাঠিয়ে দেয় বিএসইসি। এদিকে তালিকাভুক্তির পর ২০০২ সালে মাত্র ৫ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছে। তারপর ২০০৩ থেকে এখন পর্যন্ত লোকসান দেখিয়ে বিনিয়োগকারীদের ডিভিডেন্ড থেকে বঞ্চিত করেছে।
যেখানে কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ৩ কোটি টাকা। সেখানে ২ কোটি ৫৮ লাখ ৮০ হাজার টাকা পুঞ্জীভুত লোকসান নিয়ে বর্তমান এটি অস্তিত্ব সংকটে ভুগছে বলে জানা গেছে। কোম্পানিটির মোট ৩০ লাখ শেয়ারের মধ্যে পরিচালনা পর্ষেদের কাছে রয়েছে ৩৩.৩৩ শতাংশ, প্রতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ১৫.৩৮ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ৫১.২৮ শতাংশ শেয়ার। সে ক্ষেত্রে কোম্পানিটির অর্ধেকেরও বেশি শেয়ারের মালিক সাধারণ বিনিয়োগকারীরা।
অন্যদিকে চলতি বছরের শুরুতে কোম্পানির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিলো, পন্য বিক্রি না হওয়ার কারণে কোম্পানির উৎপাদন বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এ কারণে ঢাকার অফিস ছেড়ে দিয়েছে কোম্পানিটি।
এদিকে দীর্ঘদিন ধরে এ কোম্পানিতে বিনিয়োগকারীদের বিপুল পরিমাণ অর্থ আটকে রয়েছে। ২০০৯ সালের ৩০ জুন এ কোম্পানির সর্বশেষ লেনদেন হয়। প্রায় ৬ বছর ধরে বিনিয়োগকারীদের অর্থ এ কোম্পানিতে আটকে রয়েছে। ১০ টাকা ফেসভ্যালুর এ কোম্পানির সর্বশেষ লেনদেন হয় ১৩.৮০ টাকা।
৩০ জুন,২০১৪ সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, এ কোম্পানির কর পরিশোধের পর লোকসান হয়েছে ২৭ লাখ ৪০ হাজার টাকা ও শেয়ার প্রতি লোকসান ০.৯১ টাকা। গত অর্থবছরের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল যথাক্রমে ৬ লাখ ৭০ হাজার টাকা ও ০.২২ টাকা। এদিকে সমাপ্ত অর্থবছর কোম্পানির শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্যের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১.৩৭ টাকা। অন্যদিকে শেয়ারহোল্ডারদের শেয়ার প্রতি ইক্যুইটির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪১ লাখ ২০ হাজার টাকা।
এমতাবস্থায় এ কোম্পানিটিতে বিনিয়োগ করা ভুক্তভোগী বিনিয়োগকারীরা তাদের অর্থ ফেরত দেয়ার দাবিও জানিয়েছেন। এজন্য বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) অনতিবিলম্বে পদক্ষেপ নেয়া দরকার বলে মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।
শেয়ারবাজারনিউজ/মু/সা