আজ: বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ইং, ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

০৮ এপ্রিল ২০১৭, শনিবার |

kidarkar

স্মার্টফোনের আলোতে যে ক্ষতি হতে পারে!

smart phoneশেয়ারবাজার ডেস্ক: মানুষের সুখ-দুঃখের সার্বক্ষণিক সঙ্গী স্মার্টফোন। যতক্ষণ না স্মার্টফোনের চার্জ শেষ হচ্ছে বা আপনার চার্জ শেষ হচ্ছে, অর্থাৎ আপনার ক্লান্ত লাগছে বা ঘুম পাচ্ছে, ততক্ষণ আপনি স্মার্টফোন ব্যবহার করতেই থাকেন। অথচ এই অতিরিক্ত স্মার্টফোন ব্যাবহার আপনার মস্তিষ্ক, মন ও শরীরের ক্ষতি করে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত।

নিশ্চয়ই জানেন যে স্মার্টফোন থেকে সর্বদা নীল রঙের আলো নির্গত হয়। এ কারণে ঝলমলে রোদের মাঝেও স্মার্টফোনের কার্যক্রমকে পরিষ্কারভাবে দেখতে পান আপনি। এই ধরনের আলো আপনার অন্যান্য ডিভাইস, যেমন—ল্যাপটপ, টিভি, এসব গেজেট থেকেও নির্গত হয়।

মূলত সূর্যের আলোর অনুকরণে স্মার্টফোনের এই আলো তৈরি করা হয়েছে। আর আপনার মস্তিষ্ক এমনভাবে তৈরি হয়েছে, যা সূর্যের আলো যতক্ষণ থাকবে ততক্ষণ মেলাটোনিন নামক এক ধরনের হরমোন নিঃসরণ করতে থাকবে, এতে আপনার ঘুম আসা বাধাগ্রস্ত হবে। যেহেতু সূর্যের আলো এবং স্মার্টফোনের আলো একই ধরনের হয়, রাতে যখন আপনি স্মার্টফোন চালান তখন এই আলো আপনার মস্তিষ্ককে বিভ্রান্ত করে তোলে। মস্তিষ্ক দিন ভেবে নিয়ে মেলাটোনিন নিঃসৃত করতে থাকে, ফলে আপনি রাতে ভালোভাবে ঘুমাতে পারেন না।

বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিচ্ছেন, ঘুমানোর দুই থেকে তিন ঘণ্টা আগে যেকোনো ধরনের বৈদ্যুতিক ডিভাইস ব্যবহার বন্ধ করা উচিত। মস্তিষ্কের পাইনিল গ্ল্যান্ড থেকে মেলাটোনিন নির্গত হয়। নীল আলো অনিদ্রার প্রধান কারণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। আর বিশেষজ্ঞরা এর জন্য দায়ী করেছেন আলোক সংবেদনশীলতাকে, যার নাম মেলানোপসিন। এই মেলানোপসিন রেটিনার স্নায়ুর সঙ্গে যোগাযোগের জন্য যে কোষ, সেটার মধ্যে পাওয়া যায়, যা নীল আলো পেলেই সক্রিয় হয়ে ওঠে।

স্মার্টফোন আমাদের মন, মস্তিষ্ক ও শরীরের যে ক্ষতি গুলো করছেঃ

১। স্মার্টফোনের সবচেয়ে ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে কিশোর-কিশোরীদের ওপর। তারা প্রাপ্তবয়স্কদের থেকে অনেকখানি সংবেদনশীল। কারণ, স্মার্টফোনের কারণে কিশোর-কিশোরীদের বেশি রাত জাগা হয়। ফলে কিশোর বয়সে তাদের প্রাকৃতিক সারকাডিয়ান রিদম (কিশোর বয়সের শারীরবৃত্তিক বৃদ্ধি) ব্যাহত হয়।

২। রাতের বেলায় অতিরিক্ত আলোর প্রভাবে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে। এটি বুক এবং প্রস্টেট (মূত্রস্থলির গ্রিবাসংলগ্ন গ্রন্থিবিশেষ) ক্যানসারের অন্যতম কারণ।

৩। বাসায় লাগানো ওয়াই-ফাই এবং হাতে থাকা স্মার্টফোনের তড়িৎচৌম্বকীয় বিকিরণ শিশু স্বাস্থ্যের ক্ষতির কারণ হতে পারে। সূত্রঃ বিজনেস ইনসাইডার।

শেয়ারবাজারনিউজ/মু

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.