শেয়ারবাজার ডেস্ক: সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের নিম্নমুখী প্রবণতায় লেনদেন শেষ হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় টানা ৬ কার্যদিবস পতনে বিরাজ করছে বাজার। এইদিন শুরু থেকেই ব্যাংক, আর্থিক, বীমা, জ্বালানী ও বিদ্যুৎ এবং ওষুধ ও রসায়ন খাতের সেল প্রেসারে টানা নামতে থাকে সূচক। তবে এসব খাতের মধ্যে ব্যাংক এবং আর্থিক খাতের ব্যাপক হারে সেল ঘটেছে। বুধবার সূচকের পাশাপাশি কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার দরে। আর টাকার অংকে লেনদেন আগের দিনের তুলনায় কিছুটা কমেছে। আজ দিন শেষে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭১৪ কোটি টাকা।

এ প্রসঙ্গে একাধিক মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউজের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, আজকের বাজারে শুরুতে অন্যান্য খাতে বিনিয়োগকারীদের শেয়ার ক্রয়ের আগ্রহ থাকলেও ব্যাংক, আর্থিক খাতে সেল প্রেসার বেড়ে যায়। আর এতেই বাজারে সূচকের পতন ঘটে বলে মনে করছেন তারা

বুধবার ডিএসইর ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ৩৭ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৫৬৪৬ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১২৯৮ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ১৪ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ২০৯৩ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ৩২৭টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১২০টির, কমেছে ১৭০টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৭টির। আর দিনশেষে লেনদেন হয়েছে ৭১৪ কোটি ৮৪ লাখ ৩৪ হাজার টাকা।

এর আগের কার্যদিবস অর্থাৎ মঙ্গলবার ডিএসইর ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ৬ পয়েন্ট কমে অবস্থান করে ৫৬৮৩ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১৩০০ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৮ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ২১০৭ পয়েন্টে। আর ওইদিন লেনদেন হয়েছিল ৭৮২ কোটি ৬২ লাখ ৩৬ হাজার টাকা। সে হিসেবে আজ ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ৬৭ কোটি ৭৮ লাখ ২ হাজার টাকা।

এদিকে, দিনশেষে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) ব্রড ইনডেক্স ৭৯ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১০ হাজার ৫৯৫ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ২৩৭টি কোম্পানির ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৯৫টির, কমেছে ১১৬টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৬টির। আর দিনশেষে লেনদেন হয়েছে ৪৬ কোটি ৯১ লাখ ৬ হাজার টাকা।

শেয়ারবাজারনিউজ/মু