আজ: বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪ইং, ১৪ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৭ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

১৫ এপ্রিল ২০১৭, শনিবার |

kidarkar

আফগানিস্তানে ডোনাল্ড ট্রাম্পের কৌশল নিয়ে অনিশ্চয়তা

usafghanশেয়ারবাজার ডেস্ক: আফগান সরকার বলছে, বৃহস্পতিবার পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ নানগারহারে আমেরিকা তাদের সবচেয়ে শক্তিশালী বোমা ফেললে সেখানে ইসলামিক স্টেট গোষ্ঠীর ৩৬ জন যোদ্ধা নিহত হয়েছে। পারমাণবিক ক্ষমতাসম্পন্ন নয় এমন বোমার মধ্যে ‘মোয়াব’ নামের এই বোমাকে সবচেয়ে শক্তিশালী হিসেবে ধরা হয়।

বিবিসির দক্ষিণ এশিয়া সম্পাদক জিল ম্যাকগিভারিং বলছেন, এই হামলা হলো এমন সময় যখন আফগানিস্তানে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কৌশল নিয়ে অনিশ্চয়তা চলছে এবং শান্তির লক্ষ্যে মস্কোতে রাশিয়া তার নিজস্ব কূটনৈতিক উদ্যোগ শুরু করছে।

আফগান সরকারি কর্মকর্তারা এই হামলা সমর্থন করে বলেছেন তাদের সাথে সমন্বয় করেই সেটা করা হয়েছিল। আফগান প্রেসিডেন্টের একজন মুখপাত্র বিবিসিকে বলেছেন, ৩০০ মিটার দীর্ঘ সুড়ঙ্গ ব্যবস্থা ধ্বংস করা হয়েছে এবং একজন শীর্ষস্থানীয় আইএস কমান্ডার নিহত হয়েছেন।

এখানে কোনো সন্দেহ নেই যে, গভীর পাহাড়ি এলাকায় এবং পাকিস্তান সীমান্তর কাছে ইসলামিক স্টেট এর ঘাঁটি ধ্বংস করতে যুক্তরাষ্ট্র এবং আফগান বাহিনীকে অনেক বেগ পেতে হচ্ছে। আফগানিস্তানে আইএস ছোট হলেও উল্লেখযোগ্য হুমকি। তাদের হাজারখানেক যোদ্ধা আছে এবং তারা গত বছর ধারাবাহিক ভাবে কয়েকটি হামলা পরিচালনা করেছে, যাদের মধ্যে অনেকগুলোই ছিল সাম্প্রদায়িক।

আইএসকে লক্ষ্যবস্তু করার সিদ্ধান্ত এমন সময় এসেছে যখন আফগানিস্তানে সার্বিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে, এবং দেশের সবচেয়ে বড় সরকারবিরোধী বাহিনী, তালেবানরা ক্রমশ সাফল্য পাচ্ছে। আফগান সৈন্যদের জন্য আন্তর্জাতিক সমর্থন অত্যন্ত জরুরি, এবং সিনিয়র আমেরিকান সামরিক কমান্ডাররা তাদের সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য ওয়াশিংটনে নতুন প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের আফগান কৌশল কী হবে, সেটা এখনো পরিষ্কার না।

অতীতে তিনি বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রকে এ ধরনের জাতি-গঠন প্রক্রিয়া থেকে বের হয়ে আসতে হবে। হয়তো তিনি এই দীর্ঘ সময় ধরে চলা এবং ব্যয়বহুল সংঘাত থেকে বের হয়ে আসতে চাইবেন, কিন্তু একই সাথে তিনি ইসলামিক স্টেট গোষ্ঠীর সম্প্রসারণ প্রতিহত করার অঙ্গীকারও করেছেন।

এই সবই হচ্ছে এমন সময়ে যখন আফগানিস্তানে শান্তির লক্ষ্যে রাশিয়া বহুপক্ষীয় বৈঠকের আয়োজন করেছে, যেখানে প্রধান আঞ্চলিক শক্তিগুলো অংশ নেবে- যেমন, চীন, পাকিস্তান, ভারত এবং ইরান।

যুক্তরাষ্ট্র এই বৈঠকে যোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তারা রাশিয়ার এই উদ্যোগ নিয়ে সন্দিহান এবং তালেবানদের সাথে রাশিয়ার আলোচনার বিরোধী।  সূত্র : বিবিসি বাংলা

শেয়ারবাজারনিউজ/মু

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.