পাকিস্তানকে হারলো বিসিবি একাদশ
শেয়ারবাজার ডেস্ক: ফতুল্লায় একদিনের প্রস্তুতি ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে ২৬৯ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে বিপর্যয়ে পড়েছিল বিসিবি একাদশ। তবে অবশেষে চরম একটি নাটকীয় পূর্ণ একটি ম্যাচ শেষ হল। ক্ষণে ক্ষণে রঙ বদলেছে ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলি স্টেডিয়াম। শেষ পর্যন্ত রূদ্ধশ্বাস এই ম্যাচটিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে ১ উইকেটে তুলে নিল নাসির হোসেনের নেতৃত্বাধীন বিসিবি একাদশ।
পাকিস্তানের করা ২৬৮ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তানের দুই পেসার জুনায়েদ খানের বলে কোনো রান না করেই ফিরেছেন জাতীয় দলে সদ্য সুযোগ পাওয়া রনি তালুকদার। অপরদিকে রাহাত আলির বলে ওপেনার তামিম ইকবাল এলবিডব্লু হয়ে সাজ ঘরে ফিরে যান।রাহাত আলীর বলে এলবিডব্লু হওয়ার আগে তামিম মোটে ৯ রান করেন। দুই ওপেনারের ব্যার্থতার পর মিডল অর্ডারে সাব্বির রহমানের অসাধারণ সেঞ্চুরির পর যখন নিশ্চিত জয়ের পথে বিসিবি একাদশ, তখন হঠাৎই পাকিস্তানি পেসারদের সাঁড়াসি আক্রমণ। একের পর এক উইকেট হারিয়ে কক্ষপথচ্যুত হয়ে পড়ে বিসিবি একাদশ।
কিন্তু নবম উইকেট জুটিতে মোহাম্মদ শহিদকে সঙ্গে নিয়ে সোহাগ গাজী ৩১ রানের জুটি গড়লে জয়ের দ্বার আবারও উম্মোচন হয়ে যায়। কিন্তু ৪৭তম ওভারের ৫ম বলে জুনায়েদ খানের বলে সোহাগ গাজী বোল্ড হয়ে গেলে আবারও তৈরী হয় অনিশ্চয়তার দোলাচল।
শেষ পর্যন্ত পাকিস্তানি পেসারদের চোখ রাঙানি উপেক্ষা করে ৭ বল হাতে রেখেই মোহাম্মদ শহিদ আর তাইজুল ইসলাম বিসিবি একাদশকে পৌঁছে দেন জয়ের বন্দরে। ৪৯তম ওভারের পঞ্চম বলে জুনায়েদ খানকে বাউন্ডারি মেরেই বিসিবি একাদশের জয় নিশ্চিত করেন মোহাম্মদ শহিদ।
১৯৯৯ সাল থেকে ২০১৫। ১৬ বছর? মনে হয় কত যুগ। কত কিছুই বদলে এই দেড় দশকে। কিন্তু পাল্টায়নি একটি ছবি। ‘পাকিস্তান’ বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের কাছে অবধ্য হয়েই ছিল। কোনো ধরনের ক্রিকেটেই পাকিস্তানকে হারাতে পারেনি বাংলাদেশ। ১৯৯৯ সালের বিশ্বকাপে ওয়াসিম আকরামের সেই পাকিস্তানকে হারানোর পর এই পথম দেশটির জাতীয় দলের বিপক্ষে জয় পেলো বাংলাদেশের কোন দল।তবে আফসোস রয়ে যাবে, আইসিসির খাতায় এই ম্যাচটি অফিসিয়াল হিসেবে গণ্য হবে না।
শেয়ারবাজার/রা