আজ: শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ইং, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৭ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

২০ এপ্রিল ২০১৭, বৃহস্পতিবার |

kidarkar

আতঙ্কে বিনিয়োগকারীরা

bazarশেয়ারবাজার রিপোর্ট: চলতি মাসের ৪ এপ্রিলের পর থেকে ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত একটানা সূচকের পতন হয়। এরপরের দুই কার্যদিবস সামান্য সূচক বাড়লেও গত তিন কার্যদিবস আবার সূচকের পতন হয়েছে। সূচকের এই নাজেহাল অবস্থায় দৈনিক লেনদেনেও উল্লেখযোগ্যহারে ভাটা পড়েছে। আর বর্তমান মন্দাবাজার পরিস্থিতিতে বিনিয়োগকারীদের মনে আতঙ্ক তৈরি হচ্ছে। চলতি বছরের শুরু বাজারের অগ্রগতির ইঙ্গিত দিলেও এখন বিপরীত আচরণ করছে। যার নেপথ্যে আস্থাহীনতা কাজ করছে বলে মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।

এদিকে আজ সপ্তাহের কার্যদিবস দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের নিম্নমুখী প্রবণতায় লেনদেন শেষ হয়েছে। এইদিন শুরুতে মিশ্র প্রবণতা থাকলেও দুই ঘন্টা পর সেল প্রেসারে টানা নামতে থাকে সূচক। বৃহস্পতিবার সূচকের পাশাপাশি কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার দরে। আর টাকার অংকে লেনদেন আগের দিনের তুলনায় কিছুটা কমেছে। আজ দিন শেষে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৫৫৭ কোটি টাকা। আর বাজারের এমন পরিস্থিতি বিনিয়োগকারীদের অনাস্থার বহি:প্রকাশ বলে মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।

এ প্রসঙ্গে একাধিক মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউজের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, লেনদেনের শুরুতে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে শেয়ার কেনার ঝোঁক থাকলেও মাঝামাঝি সময়ে মুনাফাভোগী বিনিয়োগকারীদের মধ্যে মুনাফা তুলে নেয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়। এর কারণে বাজারে সেল প্রেসার বেড়ে যায়। পরিণতিতে সূচকের পতন ঘটে।

তারা আরও বলেন, বেশ কয়েক দিন ধরেই বাজারকে ঘীরে বিনিয়োগকারীদের আস্থা সংকট দেখা দিয়েছে। বাজারে তাদের অনাস্থার কারণেই টানা সূচকের পতন ঘটছে। এই পতন থেকে বেরিয়ে আসতে হলে বাজারে নতুন ইস্যুর দরকার বলে মনে করেন তারা।

বৃহস্পতিবার ডিএসইর ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ৩৩ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৫৫২১ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৭ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১২৭২ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৪ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ২০৫০ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ৩২৪টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৮৩টির, কমেছে ১৯৬টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৫টির। আর দিনশেষে লেনদেন হয়েছে ৫৫৭ কোটি ৮৮ লাখ ৯০ হাজার টাকা।

এর আগের কার্যদিবস অর্থাৎ বুধবার ডিএসইর ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ১৬ পয়েন্ট কমে অবস্থান করে ৫৫৫৫ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ২ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১২৭৯ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ১ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ২০৫৫ পয়েন্টে। আর ওইদিন লেনদেন হয়েছিল ৬৮৪ কোটি ১৮ লাখ ২৪ হাজার টাকা। সে হিসেবে আজ ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ১২৬ কোটি ২৯ লাখ ৩৪ হাজার টাকা।

এদিকে, দিনশেষে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) ব্রড ইনডেক্স ৭২ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১০ হাজার ৩৭২ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ২৪১টি কোম্পানির ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৬০টির, কমেছে ১৫১টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩০টির। আর দিনশেষে লেনদেন হয়েছে ৫৩ কোটি ৬৬ লাখ ৫২ হাজার টাকা।

শেয়ারবাজারনিউজ/মু/ম.সা

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.