যেভাবে আইডিএলসির প্রবৃদ্ধি ৬৬ শতাংশ
শেয়ারবাজার রিপোর্ট: পোর্টফোলিও বিনিয়োগকারীদের কাছে আইডিএলসি’র ৪৫ কেটি ৫৪ লাখ ৬২ হাজার টাকা ঋণাত্বক অবস্থায় রয়েছে। আর্থিক খাতের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটির প্রকাশ হওয়া ২০১৭ বছরের প্রথম প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনে এমন তথ্য দেওয়া হয়েছে।
একই সাথে কোম্পানিটির প্রধান ব্যবসা সুদ আয় ৩ কোটি টাকা কমেছে। তা সত্ত্বেও আগের বছর একই সময়ের তুলনায় কোম্পানিটির ইপিএস প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি থেকে মার্চ) ৬৬ শতাংশ বেড়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১.৮৬ টাকা। যা এর আগের বছর একই সময়ে ছিল ১.১২ টাকা। আর কোম্পানিটির রাইট শেয়ার হিসাবে নিয়ে ২০১৭ বছরের প্রথম প্রান্তিকে ইপিএস আসে ১.৮০ টাকা।
আর এর পেছনে বিনিয়োগ আয় ও কমিশন, এক্সচেঞ্জ এবং ব্রোকারেজ থেকে আসা টাকার বড় ভূমিকা রয়েছে। আর এ দুটি খাত থেকে এসেছে যথাক্রমে ৩৩ কোটি ৩০ লাখ ২০ হাজার টাকা এবং ২২ কোটি ১১ লাখ ৯৬ হাজার টাকা। যা আগের বছরের তুলনায় বিনিয়োগ থেকে আয় ২৪ কোটি ২৩ লাখ ৮৬ হাজার টাকা এবং কমিশন, এক্সচেঞ্জ এবং ব্রোকারেজ থেকে আয় ১৪ কোটি ৯৪ লাখ টাকা বেশি। কোম্পানির পরিচালন মুনাফার ৩৪ শতাংশ এসেছেেএ দুটি খাত থেকে। এর আগের বছর ১৩ শতাংশ এসেছিল।
তবে কোম্পানিটির সুদ আয় কমলেও আমানতে সুদ হার নিম্নমূখী হওয়ায় প্রকৃত সুদ আয় বেড়েছে। আর এ খাত থেকে কোম্পানিটির আয় ২০৮ কোটি ৭১ লাখ টাকা। আর প্রকৃত সুদ আয় এসেছে ৯৪ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। যা এর আগের বছরের তুলনায় সামান্য বেশি।
যদিও কোম্পানিটির পরিচালন ব্যয় ১৩ কোটি ৮৪ লাখ টাকা বা ৩২ শতাংশ বেড়েছে। প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির পরিচালন ব্যয় ৫৬ কোটি ৭৯ লাখ টাকা।
কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি প্রকৃত সম্পদ মূল্য (এনএভি) প্রথম প্রান্তিকে হয়েছে ২৮.৯৭ টাকা। শেয়ার প্রতি নগদ কার্যকর প্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ৪.১৩ টাকা।
কোম্পানিটির রিটার্ন অন অ্যাসেট অর্থাৎ আয় সম্পদের ২.৮৮ শতাংশ এবং রিটার্ন অন ইক্যুইটির ২৪.২৩ শতাংশ।
২০১৬ সমাপ্ত বছরে কোম্পানিটি ৩০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছে। আর এ সময়ে ইপিএস হয়েছে ৭.০৮ টাকা। গতকাল ডিএসই-তে কোম্পানিটির শেয়ারের সমাপনি মূল্য ছিল ৭১.৬০ টাকা।
শেয়ারবাজারনিউজ/আ