আজ: বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ইং, ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৪ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

২৬ এপ্রিল ২০১৭, বুধবার |

kidarkar

স্ট্যাট্রেজিক পার্টনারের খোঁজে সিএসই’র রোড শো

RoadShow 25 April 2017 (1)শেয়ারবাজার রিপোর্ট: স্ট্যাট্রেজিক পার্টনার বা কৌশলগত বিনিয়োগকারীর খোঁজে রোড শো করেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই)। গত ২৫ এপ্রিল ঢাকার রেডিশন ব্লু ওয়াটার গার্ডেনে অনুষ্ঠিত হওয়া এ রোড শো’তে দেশ বিদেশের বিভিন্ন ব্যাংক,মার্চেন্ট ব্যাংক, বিভিন্ন দেশের অ্যাম্বাসেডর বা হাই কমিশনাররা উপস্থিত ছিলেন। সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা যায়, ২০১৩ সালে সিএসই ডি-মিউচ্যুয়ালাইজড এক্সচেঞ্জে পরিণত হয়। এতে সিএসই নন-প্রফিট অর্গানাইজেশন থেকে প্রফিটেবল অর্গানাইজেশনে রূপান্তর হয়। ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন আইন অনুযায়ী, সিএসইকে পরিশোধিত মূলধনের ২৫ শতাংশ শেয়ার স্ট্যাট্রেজিক ইনভেষ্টরের কাছে হস্তান্তর করতে হবে। সে লক্ষ্যে যোগ্য কৌশলগত বিনিয়োগকারী খুঁজতে রোড শো’র আয়োজন করেছে সিএসই। রোড শো’তে সিএসইর বিভিন্ন ট্যাকনিক্যাল বিষয় উপস্থাপন করে স্টক এক্সচেঞ্জটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম.সাইফুর রহমান মজুমদার। তিনি সিএসইর আর্থিক ভীত, ভবিষ্যত পরিকল্পনা, প্রজেক্ট ফিন্যান্সিয়াল এবং ভ্যালুয়েশনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, বিভিন্ন ফোরামের মাধ্যমে সিএসই আজ আন্তজার্তিক ও দেশি স্টক এক্সচেঞ্জে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করছে। বাংলাদেশ ক্যাপিটাল মার্কেট উন্নয়নে বেশকিছু ধারণার পাইওনিয়র হয়ে কাজ করেছে। তার মধ্যে অটোমেটেড ট্রেডিং সিস্টেম, সেন্ট্রাল ডিপোজেটরি সিস্টেম প্রতিষ্ঠা, সিকিউরিটিজ ট্রেনিং ইন্সটিটিউট, ইন্টারনেট এবং মোবাইল ট্রেডিং সিস্টেম উল্লেখযোগ্য।  ডেরিভেটিভস মার্কেট, কমোডিটি এক্সচেঞ্জ, ক্লিয়ারিং করপোরেশন, বন্ড মার্কেটের উন্নয়ন, এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ড ইত্যাদি গঠনে সিএসই উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে। বর্তমানে ন্যাশনাল ক্লিয়ারিং করপোরেশন, ইটিএফ এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি এন্টারপ্রাইজের গঠন প্রক্রিয়া পাইপলাইনে রয়েছে।

উল্লেখ্য, রোড শো’তে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিএসইর চেয়ারম্যান ড. এ.কে.আব্দুল মোমেন। এছাড়া অনুষ্ঠানের পরিসমাপ্তি বক্তব্যে তিনি বলেন, বাংলাদেশের পুঁজিবাজার উন্নয়নে সিএসই যোগ্য স্ট্যাট্রেজিক পার্টনার খুঁজছে। এর মাধ্যমে স্টক এক্সচেঞ্জে আসন্ন বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রজেক্ট বাস্তবায়ন হবে। নিত্য নতুন প্রডাক্ট সিএসইতে অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে দেশিয় স্টক এক্সচেঞ্জ আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখবে।

সিএসইর চেয়ারম্যান আরো বলেন, গ্লোবাল ইনভেষ্টমেন্টে বাংলাদেশ খুবই লাভজনক একটি জায়গা। বিশেষ করে বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের মাধ্যমে আর্থিক উন্নতির অনেক সুযোগ রয়েছে। এক্ষেত্রে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ বেটার চয়েজ হতে পারে কারণ ভবিষ্যত উন্নতির জন্য সিএসইর ফান্ডামেন্টাল খুবই মজবুত। সিএসইতে স্ট্যাট্রেজিক ইনভেষ্টমেন্টের মাধ্যমে উভয় পক্ষ নিশ্চিতভাবে লাভবান হবে বলে জানান তিনি।

উল্লেখ্য, সিএসইর পরিচালক মেজর (অবসর) এমদাদুল ইসলাম অনুষ্ঠানের ইতি টানেন।

শেয়ারবাজারনিউজ/ম.সা

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.