আজ: শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ইং, ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

৩০ এপ্রিল ২০১৭, রবিবার |

kidarkar

পুঁজিবাজারের বিকাশ জরুরী

base_1493483469-Untitled-1

শেয়ারবাজার ডেস্ক: দেশের অর্থনীতির আকারের তুলনায় পুঁজিবাজার খুবই নগন্য।টেকসই প্রবৃদ্ধির জন্য এর বিকাশ জরুরী। দেশে শিল্প-বাণিজ্যের অর্থায়নে পুঁজিবাজারের অংশ মাত্র ১০ শতাংশ। বাকি ৯০ শতাংশ অর্থায়ন হয় ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে। অর্থনীতির জন্য এটি মোটেও স্বাস্থ্যকর নয়

ব্যাংকগুলো স্বল্প মেয়াদে আমানত নিয়ে দীর্ঘ মেয়াদে বিনিয়োগ করে। এটি ঝুঁকিপূর্ণ।টেকসই উন্নয়নের স্বার্থে এই পরিস্থিতির পরিবর্তন আনতে হবে।
শনিবার রাজধানীর একটি পাঁচতারকা হোটেলে ‘ফিন্যান্সিয়াল এ্যানালাইসিস ফর ইকোনোমিক রিপোর্টার’ বিষয়ক এক কর্মশালায় বক্তারা এসব কথা বলেন।

চার্টার্ড ফিন্যান্সিয়াল অ্যানালিস্ট (সিএফএ) সোসাইটি বাংলাদেশ এবং অর্থনৈতিক সংবাদদাতাদের সংগঠন ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) যৌথভাবে কর্মশালার আয়োজন করে। এতে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন।

সিএফএ সোসাইট বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট শহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে কর্মশালায় যুক্তরাজ্যের লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিক্স এন্ড পলিটিক্যাল সাইন্সের অধ্যাপক লুৎফি সিদ্দিকী, আইডিএলসি ফিন্যান্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সাবেক কমিশনার আরিফ খান, ইআরএফের সাধারণ সম্পাদক মো. জিয়াউর রহমান এবং সিএফএ সোসাইট বাংলাদেশের ভাইস প্রেসিডেন্ট মনিরুজ্জামান বক্তব্য রাখেন।

মির্জ্জা আজিজ তার বক্তব্যে বলেন, আমাদের অর্থনীতির আকারের তুলনায় পুঁজিবাজার খুবই নগন্য। কিন্তু টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে এর বিকাশ ঘটাতে হবে। তিনি বলেন,উন্নত ও উন্নয়নশীল অন্য দেশগুলোতে বিনিয়োগের বড় অংশই আসে পুঁজিবাজার থেকে। পুুঁজিবাজারের বিকাশ ঘটলে আমাদের বিনিয়োগেরও বড় অংশ এখান থেকে আসবে বলে তিনি মনে করেন।

বিশিষ্ট এই অর্থনীতিবিদ বলেন,আমাদের পুঁজিবাজারের অনেক কোম্পানিরই পারফরমেন্স তেমন ভালো নয়। কোম্পানিগুলো হয় মুনাফা করতে ব্যর্থ হচ্ছে,নয় এদের ম্যানেজমেন্ট ও উদ্যোক্তারা কোম্পানিকে লোকসানি দেখিয়ে টাকা সরিয়ে নিচ্ছে। এসব কোম্পানিতে বিনিয়োগ করে বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

তিনি আরো বলেন,অনেক কোম্পানি আইপিওর এক দুই বছর আগে থেকে কৃত্রিমভাবে মুনাফা বাড়িয়ে দেখায়। এই ধরনের প্রবণতা বন্ধে পাঁচ থেকে ১০ বছরের ব্যালান্সশিট পরীক্ষা করা প্রয়োজন।

মির্জ্জা আজিজ বলেন,বাংলাদেশ যে হারে প্রবৃদ্ধি অর্জন করছে,সেই হারে দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলতে পারছে না। এটি বাংলাদেশের জন্য বড় চ্যালেঞ্চ। প্রবৃদ্ধির ক্রমবর্ধমান এই হার ধরে রাখতে তিনি দক্ষ মানবসম্পদ তৈরিতে বাস্তবমূখী শিক্ষা পদ্ধতি চালুর আহবান জানান। একইসঙ্গে পুঁজিবাজারের টেকসই বিকাশের জন্য দক্ষ মানবসম্পদ তৈরিরপাশাপাশি আর্থিক শিক্ষার প্রসার এবং পুঁজিবাজারে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

অনুষ্ঠানে যুক্তরাজ্যের লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিক্স এন্ড পলিটিক্যাল সাইন্সের অধ্যাপক লুৎফি সিদ্দিকী তার বক্তব্যে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের কোম্পানীর সুশাসন, প্রোফাইল এবং পরিচালনা বোর্ডে কারা আছে,সেসব বিবেচনায় নিয়ে বিনিয়োগ করার পরামর্শ দেন।

বিএসইসির সাবেক কমিশনার মোঃ আরিফ খান বলেছেন,যে দেশের অর্থনীতি যত বড়,সে দেশের অর্থনীতির আকার তত বড় হয়। বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়নে পুঁজিবাজারকে সিড়ি হিসাবে ব্যবহার করা হয়। কিন্তু বাংলাদেশে তার বিপরীত অবস্থা বিরাজ করছে। তিনি পুঁজিবাজারকে বড় করার জন্য পেনসন ফান্ড,লাইফ ফান্ড ও বন্ড মার্কেটকে কাজে লাগানো যেতে পারে বলে তিনি মত দেন। খবর: বাসস

 

শেয়ারবাজারনিউজ/আ

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.