আজ: শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ইং, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৭ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

০৬ মে ২০১৭, শনিবার |

kidarkar

মূলধন ঘাটতি পূরণে ২০০ কোটি টাকা পাচ্ছে রূপালী ব্যাংক

Rupali bankশেয়ারবাজার রিপোর্ট: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত রাষ্ট্রায়ত্ত রূপালী ব্যাংক-কে মূলধন ঘাটতি পূরণে ২০০ কোটি টাকা দিবে সরকার।

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত সম্প্রতি এ বিষয়ে অনুমোদন দিয়েছেন।এছাড়া রাষ্ট্রায়ত্ত আরো ৫ ব্যাংক-কে মূলধন ঘাটতি পূরণে প্রায় ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ছাড় করা হচ্ছে। শিগগির অর্থবিভাগ সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোকে এ অর্থ দেবে।

রূপালী ব্যাংকের খেলাপি ঋণের বিপরীতে যে ৭৫৫ কোটি টাকা প্রভিশন ঘাটতি রয়েছে। ব্যাংকটির মূলধন ঘাটতি ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ পর্যন্ত ১ হাজার ৪৭৫ কোটি টাকায় দাঁড়ায়। কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, সব ব্যাংককেই ২০১৯ সালের মধ্যে ব্যাসেল-৩ নীতিমালা পরিপালন করতে হবে। এই সময়ের মধ্যে রূপালী ব্যাংকের ন্যূনতম মূলধন বর্তমানের ১০ শতাংশ থেকে পর্যায়ক্রমে বাড়িয়ে উন্নীত করতে হবে ১২ দশমিক ৫০ শতাংশে।
ব্যাসেল-৩ হচ্ছে ব্যাংক খাতের মূলধন পর্যাপ্ততা ও তারল্য ঝুঁকি নিরসনে একটি বৈশ্বিক স্বেচ্ছাসেবী নিয়ন্ত্রক কাঠামো।

অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, সবচেয়ে বেশি অর্থ পাচ্ছে ঋণ অনিয়মে রুগ্ণ হয়ে পড়া বহুল আলোচিত বেসিক ব্যাংক। এই ব্যাংক পাচ্ছে ১ হাজার কোটি টাকা। এ ছাড়া রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক ব্যাংক সোনালী ৩০০ কোটি, রূপালী ২০০ কোটি, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক ১৪৯ কোটি, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক ১০০ কোটি ও গ্রামীণ ব্যাংক ২২ কোটি টাকা পাচ্ছে। চলতি অর্থবছরের বাজেটে সরকারি ব্যাংকগুলোর মূলধন ঘাটতি মেটাতে মোট ২ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। ওই টাকা থেকে ১ হাজার ৭০০ কোটি টাকা ছাড় করা হচ্ছে।

রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মূলধন ঘাটতি পূরণের বিষয়ে মার্চের শেষে এক বৈঠকে উপস্থাপিত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ৮ বাণিজ্যিক ব্যাংক ও দুই বিশেষায়িত ব্যাংকের এ পর্যন্ত মূলধন ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার কোটি টাকা। এ ঘাটতি মেটাতে ব্যাংকগুলোর পক্ষ থেকে ওই পরিমাণ টাকা নগদ কিংবা শেয়ার বা বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে জোগান দেওয়ার জন্য সরকারের কাছে আবেদন করে ব্যাংকগুলো।

অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ব্যাংকগুলোর মূলধন ঘাটতি মেটাতে গত তিন বছরে মোট সাড়ে ৯ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। ব্যাংকগুলোকে হাজার হাজার কোটি টাকা দেওয়া হলেও পরিস্থিতির কোনো উন্নতি হয়নি। বরং ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে ঘাটতি। বাড়ছে খেলাপি ঋণ ও লোকসান। এমন বাস্তবতায় আগামী বাজেটে আরও বেশি মূলধন ঘাটতি জোগানের দাবি এসেছে।

শেয়ারবাজারনিউজ/আ

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.