ক্ষতিগ্রস্তদের আইপিও কোটার মেয়াদ বাড়বে
শেয়ারবাজার রিপোর্ট: ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারী হিসেবে নতুন কোম্পানির প্রাথমিক গণপ্রস্তাব বা আইপিওতে বিশেষ কোটা প্রাপ্তির সুযোগ আরো এক বছর বাড়িয়ে ২০১৮ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত করা হবে। এর জন্য শিগগিরই বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) অর্থমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানাবে। চলতি বছরের ৩০ জুন ক্ষতিগ্রস্তদের ২০ শতাংশ আইপিও কোটার মেয়াদ শেষ হচ্ছে।
এ বিষয়ে বিএসইসি’র মূখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো: সাইফুর রহমান শেয়ারবাজারনিউজ ডটকমকে বলেন, ক্ষতিগ্রস্তদের আইপিও কোটার মেয়াদ বাড়াতে শিগগিরই অর্থমন্ত্রীর কাছে আবেদন করা হবে। এ বিষয়ে কমিশন কাজ করছে।
দেশের পুঁজিবাজারে আইপিও’র শেয়ারে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। আর আইপিও’র শেয়ার বাজারে আসা মাত্র উচ্চ মূল্যে লেনদেন হচ্ছে। তাই এর মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতি পোষানোর সুযোগ রয়েছে।
অর্থমন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, পুঁজিবাজারে ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের লোকসান সমন্বয়ের কথা চিন্তা করে ২০১২ সালের ১ জুলাই থেকে চালু হওয়া আইপিওতে ২০ শতাংশ কোটা প্রাপ্তির সুযোগের সময়সীমা বাড়িয়ে ২০১৭ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত নির্ধারণ করে অর্থমন্ত্রণালয়।
দেশের পুঁজিবাজারের ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীরা এখনো তাদের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারেনি। তাই বর্তমান বাজার পরিস্থিতি অনুযায়ী কোটা সুবিধার মেয়াদ আবারো বাড়ানো উচিত বলে মনে করছে বিএসইসি। তাই এর মেয়াদ আরো বাড়ানোর জন্য মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ করবে বিএসইসি।
প্রসঙ্গত, ২০১১ সালের পুঁজিবাজারে ভয়াবহ ধসে পুঁজি হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছে লাখ লাখ বিনিয়োগকারী। পরবর্তীতে বিনিয়োগকারীদের আন্দোলনের মুখে পুঁজিবাজারের বড় ধরনের সংস্কার করে সরকার। এর মধ্যে ২০১১ সালের ২৩ নভেম্বর ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের ক্ষতি পুষিয়ে দিতে প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করে সরকার।
প্রণোদনার অংশ হিসেবে মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ থেকে ক্ষতিগ্রস্থ বিনিয়োগকারীদের জন্য আইপিওতে ২০ শতাংশ কোটায় আবেদন করার জন্য ১৮ মাস অর্থাৎ ২০১২ সালের ১ জুলাই থেকে ২০১৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় বেঁধে দেয়। পরবর্তীতে ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের লোকসান সমন্বয়ের কথা চিন্তা করে কোটা বরাদ্দের সময়সীমা দুই দফা বাড়িয়ে ২০১৫ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়।
শেয়ারবাজারনিউজ/আ