আজ: শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ইং, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৮ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

০৭ মে ২০১৭, রবিবার |

kidarkar

ইপিএসে প্রবৃদ্ধির শীর্ষ ১০ কোম্পানি

eps_%e0%a6%87%e0%a6%aa%e0%a6%bf%e0%a6%8f%e0%a6%b8শেয়ারবাজার রিপোর্ট: তৃতীয় প্রান্তিকের (জুলাই১৬-মার্চ১৭) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে জুন ক্লোজিং ১৭৪ কোম্পানি। এর মধ্যে আগের বছরের তুলনায় শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) বেড়েছে ৭৭ কোম্পানির। তার মধ্যে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে অবস্থান করছে ১০ কোম্পানি। এগুলো হলো- দেশ বন্ধু পলিমার, ডোরিন পাওয়ার জেনারেশন অ্যান্ড সিস্টেম, ড্রাগণ সোয়েটার অ্যান্ড স্পিনিং, আরএসআরএম স্টীল,  দেশ গার্মেন্টেস, মুন্নু জুট স্টাফলার, জিবিবি পাওয়ার, নর্দার্ণ জুট, জাহিন স্পিনিং  এবং সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেড। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রবৃদ্ধির শীর্ষে থাকা কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ইপিএস বেড়েছে ২০১১ সালে তালিকাভুক্ত প্রকৌশল খাতের দেশ বন্ধু পলিমার লিমিটেড। তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ০.৫৭ টাকা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ০.০১ টাকা। সে হিসেবে কোম্পানির ইপিএস বেড়েছে ০.৫৬ টাকা বা ৫৬০০ শতাংশ।

এর পরই আছে ২০১৬ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া বিদ্যুৎ ও জ্বালানী খাতের কোম্পানি ডোরিন পাওয়ার জেনারেশন অ্যান্ড সিস্টেম লিমিটেড। তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পনির শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫.৬৯ টাকা, যা আগের বছর একই সময় restated ইপিএস ছিল ০.৩৫ টাকা। সে হিসেবে কোম্পানির ইপিএস বেড়েছে ৫.৩৪ টাকা বা ১৫২৫.৭১ শতাংশ।

জানা গেছে, মূলত ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ডোরিন পাওয়ারের আয় শুধু একটি কোম্পানির (মাদার) ওপর নির্ভর করেছে। সে সময় কোম্পানিটি ৬৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতো। আর এই বিদ্যুৎ উৎপাদন ছিল গ্যাসের ওপর নির্ভর করে। যে কারণে কোম্পানির ইপিএস অনেক কম ছিল। কিন্তু ২০১৬-১৭ অর্থবছরে কোম্পানির সঙ্গে সাবসিডিয়ারি কোম্পানি যুক্ত হয়েছে। ৬৬ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎ উৎপাদনের সঙ্গে আরো ১১০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ যোগ হয়ে মোট ১৭৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। আর এই বাড়তি বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে ফার্নেস অয়েলের ওপর নির্ভর করে। এছাড়া গরমের ঋতু থাকায় বিদ্যুৎতের চাহিদা ব্যাপক হারে বেড়েছে। যে কারণে কোম্পানির ইপিএস তৃতীয় প্রান্তিকে এতোটা বেড়েছে।

ড্রাগণ সোয়েটার অ্যান্ড স্পিনিংয়ের শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১.১৯ টাকা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ০.৪৫ টাকা। সে হিসেবে কোম্পানির ইপিএস বেড়েছে ০.৭৪ টাকা বা ১৬৪.৪৪ শতাংশ।

আরএসআরএম স্টীলের শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৬.০২ টাকা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ২.৩৮ টাকা। সে হিসেবে কোম্পানির ইপিএস বেড়েছে ৩.৬৪ টাকা বা ১৫২.৯৪ শতাংশ।

দেশ গার্মেন্টেসের শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৬.৫৩ টাকা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ২.৬৩ টাকা। সে হিসেবে কোম্পানির ইপিএস বেড়েছে ৩.৯০ টাকা বা ১৪৮.২৮ শতাংশ।

মুন্নু জুট স্টাফলারের শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ০.৬০ টাকা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ০.২৫ টাকা। সে হিসেবে কোম্পানির ইপিএস বেড়েছে ০.৩৫ টাকা বা ১৪০ শতাংশ।

জিবিবি পাওয়ারের শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ০.৯১ টাকা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ০.৪১ টাকা। সে হিসেবে কোম্পানির ইপিএস বেড়েছে ০.৫০ টাকা বা ১২১.৯৫ শতাংশ।

নদার্ণ জুটের শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ০.৫৩ টাকা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ০.২৫ টাকা। সে হিসেবে কোম্পানির ইপিএস বেড়েছে ০.২৮ টাকা বা ১১২ শতাংশ।

জাহিন স্পিনিংয়ের শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১.১৭ টাকা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ০.৫৯ টাকা। সে হিসেবে কোম্পানির ইপিএস বেড়েছে ০.৫৮ টাকা বা ৯৮.৩০ শতাংশ।

সাইফ পাওয়ারটেকের শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪.৫২ টাকা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ২.৫৭ টাকা। সে হিসেবে কোম্পানির ইপিএস বেড়েছে ১.৯৫ টাকা বা ৭৫.৮৭ শতাংশ।

শেয়ারবাজারনিউজ/এম.আর

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.