আইপিও পেতে এমএল ডাইংয়ের আবেদন: আর্থিক অবস্থা দেখে নিন
শেয়ারবাজার রিপোর্ট: ফিক্সড প্রাইস পদ্ধতিতে প্রাথমিক গণ প্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে ২০ কোটি টাকা তুলতে চায় ফার গ্রুপের এমএল ডাইং লিমিটেড। এর জন্য কোম্পানিটি অভিহিত মূল্য ১০ টাকা করে ২ কোটি শেয়ার পুঁজিবাজারে ছাড়বে। তাই ইতিমধ্যে আইপিও অনুমোদন পেতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কাছে আবেদন করেছে কোম্পানিটি।
আইপিও’র টাকা কোম্পানিটি মেশিনারিজ এবং যন্ত্রপাতি স্থাপনে খরচ করবে। আর বাকী টাকা আইপিও খরচ মেটাতে ব্যয় করবে।
কোম্পানিটির ইস্যু ম্যানেজার হিসেবে কাজ করছে এনবিএল ক্যাপিটাল এন্ড ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট লি: এবং রূপালী ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড।
জানা যায়, ফার গ্রুপের আরো দুইটি প্রতিষ্ঠান পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত রয়েছে। এরা হলো: আরএন স্পিনিং এবং ফার ক্যামিকেল।
আইপিও প্রসপেক্টাস থেকে জানা যায়, ২০১৬-২০১৭ হিসাব বছরের অর্ধবার্ষিকে (জুলাই’১৬-ডিসেম্বর’১৬) কোম্পানিটির ১১৭ কোটি ৯০ লাখ ৫৪ হাজার টাকার পণ্য বিক্রি হয়েছে এবং শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ০.৭৪ টাকা। এই সময়ে শেয়ার প্রতি প্রকৃত সম্পদ মূল্য (এনএভি) হয়েছে ২১.৯৬ টাকা।
৩০ জুন, ২০১৬ হিসাব বছর শেষে কোম্পানিটির পণ্য বিক্রি হয়েছে ১৯২ কোটি ৩৫ লাখ ৪৮ হাজার টাকা এবং ইপিএস হয়েছে ১.৩৮ টাকা। এছাড়া এনএভি হয়েছে ২১.২২ টাকা।
এর আগের বছর অর্থাৎ ৩০ জুন, ২০১৫ সমাপ্ত অর্থ বছরে কোম্পানিটির মোট ১৭১ কোটি ২৮ লাখ ৪৫ হাজার টাকার পণ্য বিক্রি হয়েছে এবং ইপিএস ১.২৫ টাকা। এছাড়া এনএভি ছিল ২২.৫৩ টাকা।
ফার গ্রুপের অন্য দুই কোম্পানির কাছ থেকে সবচেয়ে বেশি কাঁচামাল কেনে এমএল ডাইংয়। গেল বছর এমএল ডাইং ৭০ কোটি ৯৫ লাখ টাকার ইয়ার্ণ কিনেছে আরএন স্পিনিং এর কাছ থেকে। যা ইয়ার্ণ বাবদ মোট খরচের ৪২.৯২ শতাংশ। আর ফার ক্যামিকেলের কাছ থেকে ৭ কোটি ২৪ লাখ টাকার ক্যামিকেল কিনেছে। যা ক্যামিকেল বাবদ মোট খরচের ৬২.৭৪ শতাংশ।
কোম্পানিটির বর্তমান পরিশোধিত মূলধন ১৪০ কোটি ৪১ লাখ টাকা। শেয়ার সংখ্যা ১৪ কোটি ৪ লাখ ১০ হাজার। কোম্পানিটির সবচেয়ে বেশি ২৫ শতাংশ বা ৩ কোটি ৫১ লাখ ০৮ হাজার ৩৫২টি শেয়ার লি জাং কুকের কাছে রয়েছে।
২০০২ সালের ১ জুলাই থেকে উৎপাদন শুরু করা কোম্পানিটি পাবলিক লিমিটেডে কোম্পানিতে রূপান্তর হয়েছে ২০১০ সালের ২ জুন।
শেয়ারবাজারনিউজ/আ