বিনিয়োগকারীর স্বার্থে অর্থমন্ত্রীর কাছে বিএসইসি‘র ৪ সুপারিশ
শেয়ারবাজার রিপোর্ট: পুঁজিবাজারের উন্নয়নে এবং সাধারন বিনিয়োগকারীর স্বার্থে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের কাছে ৪ দফা সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
সম্প্রতি বিএসইসি’র চেয়ারম্যান এম খায়রুল হোসেন অর্থমন্ত্রীর কাছে চার দফা সুপারিশ পত্র জমা দেন। কমিশন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এ বিষয়ে কমিশনের নির্বাহী পরিচালক এবং মূখপাত্র মো: সাইফুর রহমান শেয়ারবাজারনিউজ ডটকমকে বলেন, পুঁজিবাজার এবং সাধারন বিনিয়োগকারীর স্বার্থে কমিশন অর্থমন্ত্রীর কাছে চার দফা সুপারিশ করেছে। সম্প্রতি অর্থমন্ত্রীর কাছে এসব সুপারিশ করা হয়েছে।
চার দফা সুপারিশের মধ্যে রয়েছে, বিশেষ স্কীম কমিটি কর্তৃক পুঁজিবাজারে ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের জন্য প্রণীত তালিকার আইপিও-তে ২০ শতাংশ কোটা রাখার সময় আগামী ১ জুলাই, ২০১৭ থেকে ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৭ পর্যন্ত বাড়ানো। কারণ ক্ষতিগ্রস্তদের আইপিও কোটার মেয়াদ আগামী ৩০ জুন, ২০১৭ তারিখে শেষ হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রীর কাছে কমিশন যুক্তি দিয়েছে, আইপিও-তে ২০ শতাংশ কোটার মেয়াদ বাড়ালে ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবেন।
‘পুঁজিবাজারে ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের সহায়তা তহবিল’ এর মেয়াদ আগামী ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৭ তারিখে শেষ হচ্ছে। তাই ৯০০ কোটি টাকা এ তহবিলটির মেয়াদ আরো দুই বছর অর্থাৎ ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৯ পর্যন্ত করার সুপারিশ করেছে কমিশন। এ বিষয়ে কমিশন প্রস্তাবনায় উল্লেখ করেছে, নতুনভাবে স্কীমের সুবিধা গ্রহণকারী বিনিয়োগকারীগণ বেশি সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি সম্পূর্ণরুপে বাস্তবায়ন করার সম্ভাবনা সৃষ্টি হবে এবং অবন্টিত অর্থ বন্টিত হবে।
তহবিলটি বিনিয়োগকারীদের কাছে আকর্ষনীয় করার জন্য এর সুদ হার ৭.৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৬ শতাংশ করার সুপারিশ করেছে কমিশন। তবে এতে তহবিল এবং মার্চেন্ট ব্যাংক ও স্টক ব্রোকারদের সুদ হার কমবে। কারণ ৭.৫ শতাংশ সুদ হারের মধ্যে তহবিলের হার ৫ শতাংশ, আইসিবি’র সার্ভিস চার্জ বাবদ ১ শতাংশ এবং মার্চেন্ট ব্যাংক ও স্টক ব্রোকাররা পেতো ১.৫ শতাংশ। আর ৬ শতাংশ করা হলে তহবিলের সুদ হার হবে ৪ শতাংশ, আইসিবি ১ শতাংশ এবং মার্চেন্ট ব্যাংক ও স্টক ব্রোকাররা পাবেন ১ শতাংশ হারে।
এছাড়া মার্চেন্ট ব্যাংক এবং স্টক ব্রোকাররা দ্বিতীয় বার আবেদন করেও তহবিল থেকে অর্থ পাবেন। এক্ষেত্রে কমিশন বলছে, প্রণীত নীতিমালা অনুযায়ী মার্চেন্ট ব্যাংক এবং ব্রোকারেজদের দ্বিতীয়বার ঋণ প্রদানে কোন বাধা নেই। তাই প্রথমবার আবেদন করে যারা তহবিল থেকে ঋণ পেয়েছে এবং যথাসময় তা পরিশোধও করেছে তাদের মধ্যে কেউ যদি আবার ঋণ পেতে আবেদন করে তাহলে তাদের সকল শর্ত পূরণ স্বাপেক্ষে দ্বিতীয়বার ঋণ প্রদান করা যেতে পারে। এতে আরও অধিক ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী ঋণের আওতায় আসবে বলে মনে করছে কমিশন।
শেয়ারবাজারনিউজ/আ