ব্যবসায়িক চুক্তির খবরে ইফাদ অটোর শেয়ার দর ও লেনদেন উর্ধ্বমূখী
শেয়ারবাজার রিপোর্ট: গাল্ফ অয়েল বাংলাদেশ লি: এর সঙ্গে যৌথ মালিকানায় লুব্রিকেন্টস অয়েল বা ইঞ্জিন অয়েল, গ্রীজ, গাড়ী রক্ষণাবেক্ষণ পণ্যের ব্যবসা করতে যাচ্ছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ইফাদ অটোস। সম্প্রতি দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর (এমওইউ) হয়েছে। কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
গাল্ফ অয়েল বাংলাদেশ লি: গাল্ফ অয়েল ইন্টারন্যাশনাল লি: (যুক্তরাজ্য) এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
এ বিষয়ে ইফাদের কোম্পানি সেক্রেটারি সিরাজুল ইসলাম বলেন, দেশে গাল্ফ অয়েলের লুব্রিকেন্টসের ব্যবসা ইফাদের সঙ্গে যৌথ মালিকানায় পরিচালিত হবে। এর ৪৯ শতাংশ শেয়ার নেবে ইফাদ। এতে ইফাদের খরচ হবে ১৬ লাখ ৮৫ হাজার মার্কিন ডলার। এ বিনিয়োগ থেকে প্রতি বছর ইফাদের ৪ কোটি ৩৬ লাখ টাকা মুনাফা আসবে। আর এ খরচ ইফাদের নিজস্ব অর্থায়নে করা হবে।
বিশ্বের অন্যতম প্রধান লুব্রিকেন্টস প্রস্তুত ও বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠানটি ২০০৩ সাল থেকে বাংলাদেশে ব্যবসা করছে। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ১ কোটি ৭৪ লাখ ৪৫ হাজার টাকা। এর ৫১ শতাংশের মালিকানা রয়েছে গাল্ফ অয়েল ইন্টারন্যাশনালের কাছে। বাকি ৪৯ শতাংশের মালিকানা রয়েছে গাল্ফ অয়েল বেনেলাক্স বি.ভি নেদারল্যাল্ডসের কাছে। গাল্ফ অয়েল বেনেলাক্স বি.ভি নেদারল্যাল্ডসের শেয়ার কিনে নিচ্ছে ইফাদ অটোস।
গাল্ফ অয়েল ইন্টারন্যাশনাল বিশ্বের ৭৩টি দেশে ব্যবসা করছে।
করের স্বর্গ হিসেবে বিবেচিত কেম্যান আইল্যান্ডে নিবন্ধিত গাল্ফ অয়েল বাংলাদেশে নিজস্ব ব্র্যান্ডের লুব্রিকেন্টস গ্রিজ ও কার কেয়ার প্রডাক্টস বাজারজাত করে থাকে। এ খাত সংশ্লিষ্টদের তথ্য অনুযায়ী, দেশের মোট সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকারও বেশি লুব্রিকেন্টস বা ইঞ্জিন অয়েলের বাজার রয়েছে। এ বাজারে গাল্ফের অংশ ৫-৬ শতাংশ। বর্তমানে ইঞ্জিন অয়েলের প্রায় ৩৪ শতাংশের বাজার এমজেএল বাংলাদেশের দখলে। দেশে ইঞ্জিন অয়েলের ব্যবসা ক্রমাগত বাড়ছে। বার্ষিক প্রবৃদ্ধি প্রায় ৩ থেকে ৪ শতাংশ। এমজেএল বাংলাদেশের পরের অবস্থানটি দখল করার লক্ষ্য নিয়ে যৌথ মালিকানায় ব্যবসা করার উদ্যোগ নিয়েছে গাল্ফ ও ইফাদ। এছাড়া গত ফেব্রুয়ারিতে ভারতীয় অশোক লেল্যান্ডের সহযোগিতায় স্থাপিত গাড়ি অ্যাসেমব্লিং কারখানার কার্যক্রম শুরু করেছে ইফাদ।
এদিকে এমন চুক্তির খবরে সপ্তাহের শেষ দুই কার্যদিবসে বিনিয়োগকারীদের চমক দেখিয়েছে ইফাদ অটোস লি:। গত দুই বছরেও এমন চমক দেখাতে পারেনি কোম্পানিটি।
গতকাল বৃহষ্পতিবার ডিএসই-তে লেনেদের শীর্ষে উঠে এসেছে ইফাদ অটোস। এর আগের দিনেও লেনদেনের শীর্ষে ছিল ইফাদ। আর লেনদেনের এমন গতি গত দুই বছরেও দেখা যায়নি।
বৃহষ্পতিবার কোম্পানিটির মোট ৭১ কোটি ৭২ লাখ ৯৬ হাজার টাকা। এদিন মোট ৫১ লাখ ৯৫ হাজার ৩৬৩টি শেয়ার ৫ হাজার ১৬৩বার হাতবদল করে। আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর ১.৭০ শতাংশ বেড়ে সর্বশেষ ১৩৭.৫০ টাকায় লেনদেন হয়েছে। আজ কোম্পানিটির সমাপনি দর নির্ধারণ হয়েছে ১৩৭.৪০ টাকা। আর দুই কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ার দর ১২৫.৯০ টাকা থেকে ১৩৭.৪০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। অর্থাৎ ৯.১৩ শতাংশ বেড়েছে।
বুধবার কোম্পানিটির মোট ৭৬ কোটি ১০ লাখ ৭৬ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল। এর আগে ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুতে কোম্পানিটির প্রায় ৭৪ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল।
উল্লেখ্য, তৃতীয় প্রান্তিক শেষে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫.০৫ টাকা।
শেয়ারবাজারনিউজ/আ