আজ: শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ইং, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৭ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

২০ মে ২০১৭, শনিবার |

kidarkar

বিনিয়োগকারীদের শিক্ষিত করবে বিএসইসি: তহবিলে স্টেক হোল্ডাররা কত করে দিবে দেখে নিন

BSECশেয়ারবাজার রিপোর্ট: দেশ ব্যাপি বিনিয়োগ শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার উদ্দেশ্যে বিনিয়োগ শিক্ষা তহবিল গঠন করেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এ জন্য পুঁজিবাজারের সকল স্টেক হোল্ডারদের-কে নির্ধারিত চাঁদা জমা দিতে চিঠি দিয়েছে কমিশন।

কমিশনের কর্মকর্তারা জানান, ১৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত বিএসইসি’র ৫৯৫তম সভার সিদ্ধান্ত অনুসারে ট্রেক হোল্ডারদের কাছে তহবিলের জন্য চাঁদা চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

২৬ ডিসেম্বর, ২০১৬ তারিখে গ্যাজেট আকারে বের হওয়া বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিনিয়োগ শিক্ষার উন্নয়ন ও প্রশিক্ষণ) বিধিমালা, ২০১৬ পরিপালনে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন কমিশনের কর্মকর্তারা।

চলতি বছরের ৮ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ব্যাপী বিনিয়োগ শিক্ষা কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।

চিঠিতে পুঁজিবাজারের স্টেক হোল্ডার অর্থাৎ সিডিবিএল দেড় কোটি টাকা, ডিএসই ১ কোটি টাকা ও সিএসই-কে ৫০ লাখ টাকা অনুদান দিতে বলা হয়েছে।

এছাড়া উভয় স্টক এক্সচেঞ্জের মোট ৪০০ স্টক ব্রোকার প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে, ৫৮ মার্চেন্ট ব্যাংক ৫০ হাজার টাকা করে, ২৭ সম্পদ ব্যাবস্থাক কোম্পানি ৫০ হাজার টাকা করে, ৭ ফান্ড ম্যানেজার ৫০ হাজার টাকা করে, ৩৭টি মিউচ্যুয়াল ফান্ড এবং করপোরেট বন্ড প্রত্যেকে ১০ হাজার টাকা করে তহবিলে অনুদান হিসেবে জমা দিবে।

কমিশন বলছে, সকল স্টেক হোল্ডারদের কাছ থেকে মোট ৫ কোটি ৮০ লাখ টাকা সংগ্রহ হবে।  আর কমিশন বিনিয়োগ শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনায় বছরে ৭ কোটি টাকা খরচ করবে। আর বাকী টাকা কমিশন বহন করবে।

কমিশন আরো বলছে, বিনিয়োগ শিক্ষা কার্যক্রম ২০১৬-২০১৭ হিসাব বছর থেকে আরো ৫ বছর চলবে। তাই পত্যেককে প্রতিবছর এর খরচ বহন করতে হবে। বিনিয়োগ শিক্ষা আইন অনুযায়ী কমিশন কার্যক্রম পরিচালনা করবে।

‘বাংলাদেশ একাডেমি ফর সিকিউরিটিজ মার্কেট’ (বিএএসএম) প্রতিষ্ঠা হলে বিনিযোগ শিক্ষা তহবিল বিলুপ্ত হবে।

ইতিমধ্যে কমিশন গত ৭ এপ্রিল খুলনায় বিনিয়োগ শিক্ষা মেলা করেছে। এছাড়া কমিশন বিনিয়োগ শিক্ষা বিস্তারে নিয়মিত সাধারন বিনিয়োগকারীদের নিয়ে ৩দিন ব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মসূচী করে। বিনিয়োগকারীরা কোন ধরণের ফি ছাড়াই এখানে প্রশিক্ষণ নিতে পারেন। প্রতিমাসে নারী বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি এবং সাধারন বিনিয়োগকারীদের জন্য দুটি প্রশিক্ষণ কর্মসূচী হয়।

কমিশনের কর্মকর্তারা বলছেন, মেলা, সভা, সেমিনার-সহ বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কর্মসূচীর মাধ্যমে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের জন্য বিনিয়োগকারীদের সচেতন করে তোলা হবে।

শেয়ারবাজারনিউজ/আ

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.