আজ: শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ইং, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৭ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

২২ মে ২০১৭, সোমবার |

kidarkar

তৃতীয় প্রান্তিকে ওয়াইম্যাক্স ইলেক্ট্রোড কেমন ব্যবসা করেছে দেখে নিন

oimaxশেয়ারবাজার রিপোর্ট: পুঁজিবাজারে ফিক্সড প্রাইস পদ্ধতিতে আইপিও’র মাধ্যমে তালিকাভুক্তির অনুমোদন পাওয়া প্রকৌশল খাতের ওয়াইম্যাক্স ইলেক্ট্রোড লিমিটেড ২০১৬-২০১৭ হিসাব বছরের তৃতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনে কোম্পানিটির ইপিএস ৯ মাসে বেড়েছে। কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

উল্লেখ্য, গত ৯ মে বিএসইসি ৬০৪তম কমিশন সভায় কোম্পানিটিকে ১০ টাকা অভিহিত মূল্যে ১ কোটি ৫০ লাখ শেয়ার ইস্যু করে পুঁজিবাজার থেকে ১৫ কোটি টাকা সংগ্রহের অনুমোদন দিয়েছে। এ টাকা দিয়ে কোম্পানিটি নতুন ম্যাশিনারিজ স্থাপন, কাঁচামাল এবং আইপিওর খরচ বাবদ ব্যয় করবে।

যদিও কোম্পানিটিকে এখনো সম্মতি পত্র (কনসেন্ট লেটার) দেয়নি কমিশন। সম্মতি পত্র পেলেই আইপিও আবেদনের তারিখ ঘোষণা করা হবে জানিয়েছে কোম্পানিটি।

কোম্পানিটির ইস্যু ম্যানেজার হিসেবে কাজ করছে মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান এমটিবি ক্যাপিটাল লিমিটেড।

জানা যায়, ২০১৬-২০১৭ হিসাব বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই’১৬-মার্চ’১৭) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১.৫৭ টাকা। যা এর আগের বছর একই সময়ে ছিল ১.৪৩ টাকা। আলোচিত সময়ের ব্যবধানে কোম্পানিটির ইপিএস ১০ শতাংশ বেড়েছে।

এদিকে তৃতীয় প্রান্তিকের শেষ তিন মাসে (জানুয়ারি’১৭-মার্চ’১৭) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ০.৫৩ টাকা। যা এর আগের বছর একই সময়ে ছিল ০.৪৬ টাকা।

এছাড়া চলতি হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই’১৬ থেকে সেপ্টেম্বর’১৬) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ০.৫০ টাকা। যা এর আগের বছর একই সময়ে ছিল ০.৫৩ টাকা। দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর’১৬-ডিসেম্বর’১৬) ইপিএস হয়েছে ০.৫৪ টাকা। যা এর আগের বছর একই সময়ে ছিল ০.৪৪ টাকা।

উল্লেখ্য, কোম্পানিটির ইপিএস, এনএভি হিসাব করা হয়েছে বর্তমান পরিশোধিত মূলধন অনুযায়ী। কোম্পানিটির বর্তমান পরিশোধিত মূলধন ৩০ কোটি ৮৯ লাখ ২০ হাজার টাকা।

৩০ জুন, ২০১৬ সমাপ্ত হিসাব বছরের নিরীক্ষায় কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ২.১৯ টাকা। আগামী বছর অর্থাৎ ২০১৭ এ ইপিএস হবে ১.৫৮ টাকা, ২০১৮ এ হবে ২.২২ টাকা এবং ২০১৯ হিসাব বছর শেষে ইপিএস ২.২৫ টাকা হবে বলে জানিয়েছে কোম্পানিটি।

কোম্পানিটি বছরে ৭ হাজার ৩৪২ মেট্রিক টন পণ্য উৎপাদন ক্ষমতা রয়েছে। কোম্পানিটি ওয়েল্ডিং ইলেক্ট্রোড, জিআই ওয়্যার এবং নেইল (পেরেক) উৎপাদন করে। ৩০ জুন, ২০১৬ সমাপ্ত বছরে কোম্পানিটি মোট ৪১ কোটি টাকার পণ্য বিক্রি করেছে। এর মধ্যে ওয়েল্ডিং ইলেক্ট্রোড থেকে আয় এসেছে ৫ কোটি ৭৩ লাখ টাকা বা ১৪ শতাংশ, জিআই ওয়্যার থেকে এসেছে ১৪ কোটি ১৪ লাখ টাকা বা ৩৪.৪৮ শতাংশ এবং পেরেক বিক্রি থেকে আয় এসেছে ২১ কোটি ১৩ লাখ টাকা বা ৫১.৫২ শতাংশ। কোম্পানিটির কর্মকর্তারা জানান, তারা শুধু দেশে ব্যবসা করেন। তাদের কোন পণ্য বিদেশে রপ্তানি করা হয় না।

উল্লেখ্য, আইপিও’র মাধ্যমে ১৫ কোটি টাকা তুলবে কোম্পানিটি। এ টাকা থেকে ৩ কোটি ২ লাখ টাকা ব্যয়ে ওয়েল্ডিং ইলেক্ট্রোড প্ল্যান্ট, ৩ কোটি টাকা দিয়ে ২ সেট জিআই প্ল্যান্ট এবং ২ কোটি ৪৮ লাখ টাকা ব্যয়ে দুই সেট নেইল প্ল্যান্ট স্থাপন করা হবে। এ মেশিনগুলো ভারত থেকে আমদানি করা হবে এবং মোট ব্যয় হবে ৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা। বর্ধিত কারখানায় উৎপাদনের জন্য ৫ কোটি টাকার কাঁচামাল এবং বাকী দেড় কোটি টাকা আইপিও খরচে ব্যয় হবে।

শেয়ারবাজারনিউজ/আ

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.