আজ: শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ইং, ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৮ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

২৪ মে ২০১৭, বুধবার |

kidarkar

শিশুদের ফলের রস খাওয়ানো থেকে সাবধান!

chaildশেয়ারবাজার ডেস্ক: বাচ্চা কান্না করলেই তাদের কান্না থামানোর জন্য কতো কিছু দিয়েই না কান্না থামানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু বাচ্চাদের এক বছর না হলে কখনই ফলের রস খাওয়াবেন না এমনটাই জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ ফলের রস থেকে কোনও পুষ্টিই পায় না শিশুরা।

শিশু চিকিত্সকদের মতে, মাতুদুগ্ধ এক বছরের নীচে শিশুদের পুষ্টির জন্য যথেষ্ট। ফলের রস বের করে ছেঁকে খাওয়ালে নষ্ট হয়ে যায় ফলে ডায়েটারি ফাইবার। এতে শিশু পুষ্টি তো পায়ই না, বরং বেড়ে যায় ওজন।

আমেরিকান অ্যাকাডেমি অব পেডিয়াট্রিকসের গবেষক মেলভিন হেম্যান বলেন, “বাবা-মায়েরা মনে করেন ফ্রুট জুস খুবই পুষ্টিকর। কিন্তু ফলের রস কখনই টাটকা ফলের বিকল্প হতে পারে না। আবার বাচ্চার মুখের স্বাদের জন্য মায়েরা এতে চিনিও মেশান। ফলে অযথা ক্যালোরি যোগ হয়। এক বছরের নীচের বাচ্চাদের জন্য তা অপ্রয়োজনীয়। এক বছর বয়সের পর ফলের রস দেওয়া গেলেও তা বেশি পরিমাণে খেলে পুষ্টির বদলে ক্যালোরিই পৌঁছবে শরীরে, সেই সঙ্গেই দাঁতের ক্ষয়ও হতে পারে।

২০০১ সালে এই বিষয় সংক্রান্ত প্রথম রিপোর্ট প্রকাশ করে আমেরিকান অ্যাকেডমি অব পেডিয়াট্রিকস। যে রিপোর্টে বলা হয়েছিল ৬ মাসের নীচে শিশুদের ফলের রস খাওয়ানোর প্রয়োজন নেই। নতুন রিপোর্টে বলা হয়েছে এক বছর বয়স পর্যন্ত মাতৃদুগ্ধ ও ইনফ্যান্ট থেকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি পেয়ে যাবে শিশুরা। এক বছর বয়সের পর থেকে সুষম ডায়েটের সঙ্গে খাওয়ানো যেতে ফলের রস। তবে তা যেন ১০০ শতাংশ টাটকা ফলের হয় এবং মাত্রা সীমিত থাকে। ১-৩ বছর বয়স পর্যন্ত ৪ আউন্স (১১৩.৩ গ্রাম) ফলের রসই যথেষ্ট।

বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, শিশুদের বোতল বা সিপি কাপে ভরে ফ্রুট জুস দেওয়া উচিত নয়। এ ভাবে তারা সারা দিন ধরে ফলের রস খেতে থাকে। ফলের মধ্যে থাকা কার্বোহাইড্রেট থেকে দাঁতের ক্ষয় হতে পারে। বিশেষ করে শোওয়ার সময় কখনই শিশুকে ফলের রস দিয়ে ঘুম পাড়ানো উচিত নয়। দাঁত ওঠার পর থেকেই শিশুদের গোটা ফল খেতে শেখান। এতে ফলের সম্পূর্ণ পুষ্টি ও ডায়েটারি ফাইবার ওদের শরীরে পৌঁছবে। অতিরিক্ত ওজনও বাড়বে না।

শেয়ারবাজারনিউজ/মু

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.