শেয়ারবাজার ডেস্ক: দেশের ২১ হাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কোনো প্রধান শিক্ষক নেই। এই শূন্যতা কাটাতে এবার উদ্যোগ নিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। শূন্য ২১ হাজার পদের মধ্য থেকে তাই চলতি দায়িত্বে (কারেন্ট চার্জ) ১৬ হাজার সহকারী শিক্ষককে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে।

মঙ্গলবারই ঢাকা জেলায় ৮৭ জনকে এ পদে নিয়োগ দিয়ে আদেশ জারি করা হয়েছে। সচিবালয়ে প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির নেতাদের সঙ্গে এক বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান এ কথা জানান।

মন্ত্রী বলেন, ‘১২ জেলা থেকে পাওয়া গ্রেডেশন (জ্যেষ্ঠতা) তালিকা থেকে আমরা পদোন্নতির সুপারিশ করেছি। তাদের মধ্য থেকেই অস্থায়ীভাবে চলতি দায়িত্ব দিয়ে স্কুলগুলো পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রধান শিক্ষকের শূন্য পদে নিয়োগ ঢাকা জেলার মধ্য দিয়েই শুরু করতে চাই। অন্যান্য জেলা থেকে শিক্ষকদের গ্রেডেশনের তালিকা পেলে সেখানেও প্রধান শিক্ষকের শূন্য পদে সহকারী শিক্ষকদের চলতি দায়িত্বে নিয়োগ দেওয়া হবে।’

মাঠপর্যায়ে প্রধান শিক্ষকের অধিকাংশ পদ শূন্য থাকায় শিক্ষার মানোন্নয়ন, বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনাসহ সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখা সম্ভব হচ্ছে না বলেও জানান মন্ত্রী।

প্রধান শিক্ষকের পদ দুটি প্রক্রিয়ায় পূরণ করা হয়ে থাকে জানিয়ে মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘মোট শূন্য পদের ৩৫ শতাংশ পিএসসির (সরকারি কর্মকমিশন) মাধ্যমে সরাসরি নিয়োগ এবং ৬৫ শতাংশ সহকারী শিক্ষকদের পদোন্নতির মাধ্যমে পূরণ করা হয়ে থাকে।’

সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, ২০১৪ সালে প্রধান শিক্ষক পদটি তৃতীয় থেকে দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নীত করায় এ পদে পিএসসির পদোন্নতি দেওয়ার কথা। কিন্তু বিদ্যমান নিয়োগবিধিতে প্রধান শিক্ষকের পদটি তৃতীয় শ্রেণি থাকায় এই বিধি সংশোধন না হওয়া পর্যন্ত পিএসসির মাধ্যমে ওই পদে পদোন্নতি প্রদানে জটিলতা সৃষ্টি হয়। ফলে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের অধিকাংশ শূন্যপদ পূরণ করা সম্ভব হয়নি।

অনুষ্ঠানে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব আসিফ-উজ-জামান, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক আবু হেনা মো. মোস্তাফা কামাল, বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. আতিকুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক আবুল বাশার উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ারবাজারনিউজ/মু