ইষ্টল্যান্ড ইন্স্যুরেন্সের ডিভিডেন্ড অনুমোদন
শেয়ারবাজার রিপোর্ট: ইষ্টল্যান্ড ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেড এর ৩০ তম সাধারন সভা ২৪ মে, ২০১৭ বুধবার বিকেল ৩টায় কোম্পানীর চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় পরিচালকদের প্রতিবেদন এবং ২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর তারিখে সমাপ্ত বছরের নিরীক্ষকের প্রতিবেদনসহ কোম্পানীর নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী উপস্থাপন করা হয়।
চেয়ারম্যান সভায় জানান, ইষ্টল্যান্ড ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেড ২০১৬ সালে ৮৬২ মিলিয়ন টাকা প্রিমিয়াম আয় করেছে এবং বিগত ৩০ বছরে অগ্নি, নৌ, মোটর ও বিবিধ বীমাখাতে মোট ২ হাজার ২৭৬ মিলিয়ন টাকার বীমাদাবি পরিশোধ করেছে। ২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কোম্পানীর মোট সম্পদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৩৪৭ মিলিয়ন টাকা। পরিচালনা পর্ষদের সুপারিশক্রমে ঘোষিত ১০ শতাংশ ক্যাশ এবং ৫ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড কোম্পানীর বার্ষিক সাধারন সভায় শেয়ারহোল্ডারদের দ্বারা অনুমোদন হয়।
বাংলাদেশের বীমা বাজার ক্ষুদ্র। বর্তমানে বেসরকারি খাতে ৪৬ টি নন-লাইফ বীমা কোম্পানী কার্যক্রম পরিচালনা করছে, যারা একে অপরের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে। ফলে কোম্পানীর প্রবৃদ্ধি ও লাভ বাধাগ্রস্ত এবং সার্বিকভাবে বীমাখাত কাঙ্ক্ষিত প্রবৃদ্ধি অর্জনে ব্যর্থ হচ্ছে। বীমা খাতের কল্যাণের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে হঠকারিতা থামাতে হবে এবং অসুস্থ প্রতিযোগিতা অবশ্যই বন্ধ করতে হবে।
ইষ্টল্যান্ড যাত্রা শুরুর পর থেকে ব্যবসায়িক নীতির ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও নৈতিকতা বজায় রেখে চলেছে। কোম্পানীর মৌল নীতি হচ্ছে নির্ভরযোগ্য বাজার কৌশল অনুসরণ এবং একইসঙ্গে বীমার বিশ্ব বাজার থেকে সর্বোত্তম সুবিধা অর্জন। কোম্পানী সর্বোত্তম নীতি ও কার্যক্রম অনুসরনের জন্য “ দি ইন্সটিটিউট অব কষ্ট এন্ড ম্যানেজমেন্ট একাউন্টেন্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএমএবি) কর্তৃক ২০১২, ২০১৩, ২০১৪ এবং ২০১৫ সালে সাধারণ বীমা খাতে “বেষ্ট কর্পোরেট এওয়ার্ড ” এবং বীমা খাতে পরিচ্ছন্ন বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশের জন্য “ দি ইন্সটিটিউট অব চার্টার্ড একাউন্টেন্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএবি) কর্তৃক ২০১৩ সালেও ‘সার্টিফিকেট অব মেরিট এওয়ার্ড’ সম্মানে ভূষিত হয়েছে।
২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণীর জন্য ইষ্টল্যান্ড ইন্স্যুরেন্স কে ক্রেডিট রেটিং ইনফরমেশন এন্ড সার্ভিসেস কোম্পানী লিমিটেড অঅ (ডাবল এ) হতে এএ+ (ডাবল এ প্লাস) রেটিংয়ে উন্নীত করেছে। এএ+ (ডাবল এ প্লাস) বীমাদাবি পূরণে অধিকতর সক্ষমতা, শক্তিশালী অর্থৈনৈতিক অবস্থান ও কারিগরি দক্ষতাকে নির্দেশ করে।
চেয়ারম্যান পরিশেষে অর্থ মন্ত্রণালয়, বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন, ডিএসই, সিএসই, এসবিসি, অন্যান্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা, সম্মানিত গ্রাহক এবং সম্মানিত শেয়ারহোল্ডারদের অব্যাহত সমর্থন ও সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশপূর্বক তাঁর বক্তব্য শেষ করেন।
কোম্পানীর পরিচালনা পর্ষদের সদস্যবৃন্দ ছাড়াও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সম্মানিত অতিথি এ সভায় উপস্থিত ছিলেন।
শেয়ারবাজারনিউজ/আ