শেয়ারবাজার রিপোর্ট: পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ আরো বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে দ্য সিটি ব্যাংক লি: এর পরিচালনা পর্ষদ। মিউচ্যুয়াল ফান্ড এবং অল্টারনেটিভ ইনভেস্টমেন্ট ফান্ডের মাধ্যমে বিনিয়োগ বাড়ানো হবে।

এর জন্য ব্যাংকটি সম্পদ ব্যবস্থাপক কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করবে। অঙ্গপ্রতিষ্ঠানটি তহবিল ব্যবস্থাপনা কোম্পানি হিসেবে পরিচালিত হবে।

২৫ মে বৃহষ্পতিবার বিকাল ৪টায় অনুষ্ঠিত পর্ষদ সভায় এমন সিদ্ধান্ত হয়েছে। ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

ব্যাংকটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানান, সম্পদ ব্যবস্থাপক কোম্পানি যাত্রা করার জন্য সংশ্লিষ্ট নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে আবেদন করা হবে।  কোম্পানি প্রতিষ্ঠার পরই মিউচ্যুয়াল ফান্ড এবং অল্টারনেটিভ ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড গঠন করা হবে। এতে পুঁজিবাজারে ব্যাংকটির বিনিয়োগ বাড়বে।

তারা আরো জানান, নিয়ম মেনে লেনদেন করলে পুঁজিবাজার থেকে ভাল মুনাফা অর্জন সম্ভব। ইতিমধ্যে ব্যাংকটির দুটি অঙ্গপ্রতিষ্ঠান সিটি ব্যাংক ব্রোকারেজ এবং  সিটি ব্যাংক ক্যাপিটাল রিসোর্স পুঁজিবাজারে ব্যবসা করছে।

৩১ ডিসেম্বর, ২০১৬ সমাপ্ত বছরে ব্যাংকটি পুঁজিবাজার থেকে কমিশন এক্সচেঞ্জ এবং ব্রোকারেজ বাবদ ২৪২ কোটি টাকা আয় করেছে। এর মধ্যে শুধু শেয়ার এবং ডিবেঞ্চার বিক্রি করেই ব্যাংকটি ১৬২ কোটি টাকা আয় করেছে। অথচ এর আগের বছর এখান থেকে মুনাফা এসেছিল সাড়ে ৫ কোটি টাকা।

এছাড়া শেয়ারে ডিভিডেন্ড থেকে আয় হয়েছে ৩১ কোটি টাকা। যা এর আগে ছিল ২০ কোটি টাকা।

আলোচিত বছরে ব্যাংকটির পর্ষদ ২৪ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ডের সুপারিশ করেছে। ১৫ জুন বার্ষিক সাধারন সভা (এজিএম) অনুষ্ঠান হবে।

এদিকে চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) কমেছে। জানুয়ারি’১৭ থেকে মার্চ’১৭ পর্যন্ত ইপিএস হয়েছে  ০.৬৭ টাকা। যা এর আগে ছিল ০.৭৯ টাকা।

তবে প্রথম প্রান্তিকে পুঁজিবাজার থেকে ব্যাংকটির আয় বেড়েছে।  কমিশন এক্সচেঞ্জ এবং ব্রোকারেজ বাবদ ৬৬ কোটি টাকা আয় হয়েছে। যা আগের বছর ছিল ৪৮ কোটি টাকা।

উল্লেখ্য, বৃহষ্পতিবার ডিএসই-তে লেনদেন শেষে সিটি ব্যাংকের শেয়ারের সমাপনি দর ৩৩ টাকা নির্ধারণ হয়। গত এপ্রিল মাসে ব্যাংকটির শেয়ার দর ছিল ৪২ টাকা।

শেয়ারবাজারনিউজ/আ