আজ: শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ইং, ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

২৮ মে ২০১৭, রবিবার |

kidarkar

সেহরি খাওয়ার সময় যেসব বিষয় মেনে চলবেন

photo-1495908689শেয়ারবাজার ডেস্ক: সেহরি খাওয়া রোজার অবিচ্ছেদ্য একটি অংশ। রমজানে সেহরির খাবার রোজাদারের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা সারা দিনের প্রয়োজনীয় শক্তির জন্য সেহরির খাবারের ওপর নির্ভর করতে হয়। তাই সেহরির খাবার বাছাইয়ে সতর্ক হতে হবে। বেশি বেশি খাওয়া নয় বরং সঠিক স্বাস্থ্যকর সেহরিই একান্ত কাম্য।

আমাদের দেশে মানুষের মধ্যে সেহরির যে খাদ্যাভ্যাস দেখা যায়, সেটি পুরোপুরি স্বাস্থ্যসম্মত নয়। খেয়াল করলে দেখা যাবে, আমাদের দেশে সেহরির বেশির ভাগ খাবারই হচ্ছে উচ্চ চর্বিসমৃদ্ধ ও তেলে ভাজা। এগুলো খেয়ে রোজা রাখলে শরীর এমনিতেই ক্লান্ত হয়ে পড়ে। রোজায় সুস্থ থাকতে সেহরি খাওয়ার সময় কিছু বিষয় খেয়াল রাখা জরুরি।

স্বাস্থ্যসম্মত পুষ্টিকর সেহরি না খেলে যেসব সমস্যা হয়
১) পানিশূন্যতা

২) পেটে ব্যথা, এসিডিটি, বমি বমি ভাব

৩) মাথাব্যথা, মাথা ঘোরানো

৪) খাবার হজমে সমস্যা

৫) পাতলা পায়খানা বা কোষ্ঠকাঠিন্য

৬) মনোযোগের অভাব, কর্মশক্তি কমে যাওয়া

৭) ঘুমের সমস্যা ইত্যাদি।

সেহরির খাবার কেমন হবে? 
* সেহরির খাবারে স্বাদের চেয়ে খাদ্যগুণকে বেশি গুরুত্ব দিন। সেহরিতে বেশি করে তরল খাবার খান। পাশাপাশি যেসব খাবারে পানি আছে এমন খাবার খান। যেমন : লেবু, কমলা, শসা, তরমুজ, ডাবের পানি ইত্যাদি।

* সেহরিতে চর্বিজাতীয় খাবার খাওয়া বাদ দিন। কারণ, এ জাতীয় খাবার শরীরের তাপ বাড়ায়। খুব বেশি ভারী খাবার সেহরিতে না খাওয়া ভালো।

* এ সময় শুকনো ও প্রক্রিয়াজাত খাবার খাবেন না। এ ধরনের খাবার শরীরকে পানিশূন্য করে।

* সেহরিতে অন্তত এক লিটার পানি পান করুন। এই পানি শরীরের ক্ষতিকর উপাদান বের করে দিয়ে ক্ষুধার চাহিদাকে অনেকটা কমাবে।

* সেহরির সময় চা বা কফি পান থেকে বিরত থাকুন। এগুলো পানিশূন্যতা বাড়ায়।

* সেহরিতে বেশি করে আমিষ/প্রোটিনজাতীয় খাবার খান। এতে ক্ষুধা কম লাগবে, তবে শরীরে শক্তি থাকবে।

* সেহরিতে কখনো খাবার খাওয়া বাদ দেবেন না। এতে শরীর দুর্বল হয়ে পড়বে। সারা দিন শরীরে শক্তি ধরে রাখার জন্য সেহরির সময় খাবার খাওয়া খুব জরুরি।

সেহরিতে যা খাবেন না
* উচ্চ চর্বিসমৃদ্ধ এবং তেলে ভাজা খাবার সেহরিতে খাবেন না। এ ছাড়া পাকস্থলীতে অস্বস্তি করে এমন খাবার এড়িয়ে চলুন।

* এ সময় লবণাক্ত খাবার পরিহার করুন। আচার, বেশি মসলাজাতীয় খাবার, প্রক্রিয়াজাত খাবার, ভারি ডেজার্ট, কোমল পানীয় ইত্যাদি এড়িয়ে চলুন।

* ধূমপান থেকে বিরত থাকুন।

লেখক : সহকারী অধ্যাপক, গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজ, সাভার, ঢাকা।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.