আজ: বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ইং, ১১ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৩ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

২৯ মে ২০১৭, সোমবার |

kidarkar

ত্বকের যত্নে কাঠকয়লা!

koilaশেয়ারবাজার ডেস্ক: কাঠকয়লা সৌন্দর্য দুনিয়ায় নতুন আলোড়ন ফেলা শব্দ। বহু মানুষ এই উপাদানটি তাদের ত্বকের সমস্যাগুলির জন্য ব্যবহার করে থাকে । এর আন্টিফাঙ্গাল ও আন্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য কার্যকরভাবে ত্বকের ময়লা এবং বিষক্রিয়াগত বস্তু টেনে বের করে পরিষ্কার করে। এটি রূপচর্চায় যুক্ত করে নতুন মাত্রা এবং ত্বকের স্বাস্থ্য ও ঝিলিক দুটোই বাড়াতে সাহায্য করে।

কাঠকয়লা শুধুমাত্র যে ত্বক থেকে ময়লা পরিষ্কার করে তাই নয়, ব্রণ ও ফুসকুড়ি রোধ করে এমনকি বয়স বৃদ্ধির ছাপ দূর করে। ত্বকের যত্ন নিতে এই চমৎকার উপাদানটি সম্পর্কে আসুন জেনে নেয়া যাকঃ

১। মধুর সাথে কাঠকয়লাঃ
এক চামচ মধুর সাথে এক চামচ কাঠ কয়লার গুড়ো মেশান। তারপর মুখ এবং ঘাড়ে মিশ্রণটি প্রয়োগ করুন। প্রায় ৫ মিনিটের জন্য মুখে রেখে মুখের কোন ক্লেনজার দিয়ে ভাল করে ধুয়ে ফেলুন। এই মিশ্রণটি মুখের ব্রণ ও ফুসকুড়ি রোধ করতে সাহায্য করবে।

২। অ্যালোভেরা জেল এবং কাঠকয়লাঃ
এক চা চামচ কয়লার গুড়োর সাথে এক টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে নিন। আলতো করে আপনার মুখ এবং ঘাড়ের উপর মিশ্রণটি প্রয়োগ করুন। ১০ মিনিট রেখে ভেজা কাপড় দিয়ে মাস্কটি তুলে ফেলুন। ব্রণের সাথে লড়াইয়ে পারদর্শী এই মাস্কটি মাসে একবার ব্যবহার করলে দারুণ সুফল পাবেন।

৩। চা গাছের তেল এবং কাঠকয়লাঃ
তিন ফোঁটা চা গাছের তেলের সাথে এক চা চামচ কাঠকয়লা ও দুই চা চামচ জল একসাথে মিশিয়ে আপনার মুখ এবং ঘাড়ের উপর মিশ্রণটি ব্যবহার করুন। ১০ মিনিট রাখার পর ফেস ওয়াশ দিয়ে ধুয়ে ভালভাবে ধুয়ে ফেলুন। প্রতি মাসে এই মাস্কটির ব্যবহার করলে ত্বকের বলি রেখা রোধ করতে সাহায্য করে।

৪। গোলাপ জল এবং কাঠকয়লাঃ
এক চা চামচ কাঠকয়লার সাথে এক টেবিল চামচ গোলাপ জল মেশান। এরপর মিশ্রণটি আপনার মুখ এবং ঘাড়ের উপর প্রয়োগ করুন। ১০ মিনিট পরে ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ত্বকের সব ধরনের ময়লা এবং অশুদ্ধতা নির্মূল করতে এটি সাপ্তাহে একবার ব্যবহার করতে পারেন। সূত্রঃ বোল্ড স্কাই।

শেয়ারবাজারনিউজ/মু

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.