আজ: শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ইং, ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

৩০ মে ২০১৭, মঙ্গলবার |

kidarkar

কুম্বলেকে নিয়ে ‘অখুশি’ কোহলিরা!

koholiশেয়ারবাজার ডেস্ক: ভারতীয় ক্রিকেট দলের কোচ হিসেবে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি পর্যন্তই মেয়াদ অনিল কুম্বলের। প্রশ্ন উঠেছে, তাঁর চুক্তির মেয়াদ আর বাড়বে কি না! ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) নতুন কোচ চেয়ে বিজ্ঞাপন দিয়েছে—প্রশ্নটা সে কারণে নয়। ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক বিরাট কোহলিসহ অন্য খেলোয়াড়েরা তাঁর ওপর ‘খুশি’ নয় বলেই কুম্বলেকে হয়তো বিদায় নিতে হবে খুব শিগগির।

নতুন কোচ চেয়ে বিসিসিআইয়ের বিজ্ঞাপনটা অন্য কারণে। এক বছর আগে কুম্বলেকে যখন কোচের পদে নিয়োগ দেওয়া হয়, সেটা হয়েছিল সাধারণ প্রক্রিয়া না মেনেই, সরাসরি। পুরো বিষয়টিকে নিয়মের মধ্যে আনার জন্যই এই বিজ্ঞাপন—বোর্ডের দাবি এমনই। তবে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আগে ভারতীয় শিবিরের যে খবর বিভিন্ন গণমাধ্যমে উঠে আসছে, তাতে এটা মোটামুটি স্পষ্ট, কুম্বলেকে ভারতীয় ক্রিকেটাররা পছন্দ করছেন না বলেই এই বিজ্ঞাপন-প্রক্রিয়া।

ইন্ডিয়া টুডে জানিয়েছে, ভারতীয় ক্রিকেট দলে সিনিয়র-জুনিয়রনির্বিশেষে কারও কাছেই কুম্বলে নিরঙ্কুশ পছন্দ নন। খেলোয়াড়দের অভিযোগ, কুম্বলে নাকি দলে মাত্রাতিরিক্ত ‘কর্তৃত্বপরায়ণ’। এতটাই যে কোহলির মতো সিনিয়ররাও নিজেদের মতামত স্বাধীনভাবে প্রকাশ করতে পারেন না। ব্যাপারটা নিয়ে দলের মধ্যে তৈরি হয়েছে অস্বস্তিকর এক পরিবেশ। ব্যাপারটা নাকি ভাবিয়ে তুলেছে বিসিসিআইকে। তারা আরও একটি ‘গ্রেগ চ্যাপেল-সৌরভ গাঙ্গুলী’ ঘটনার জন্ম দিতে চায় না। দলের অধিনায়কের সঙ্গে যদি হেড কোচের মতের অমিল থাকে, তাহলে সেটিকে বিপজ্জনক মনে করেই নতুন কোচের সন্ধান করছে ভারতীয় ক্রিকেট-কর্তারা।

কুম্বলের অধীনে দারুণ সফল ভারতীয় দল। ১৩ টেস্টের ১০টিতেই দল জিতেছে। হার ও ড্র একটি করে। পরপর পাঁচটি সিরিজ জয় তাঁকে পরিণত করেছে অন্যতম সফল কোচে। তাঁর অধীনে ওয়ানডে ক্রিকেটেও সফল ভারত। সিরিজ জিতেছে নিউজিল্যান্ড ও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে।
ভারতীয় দলের সাফল্যে কুম্বলের অবদান নিয়ে বলতে গিয়ে অধিনায়ক কোহলির উক্তি কিন্তু আগুনে ঘিই ঢালছে। ইংল্যান্ডে এসেই কোহলি দলের সাফল্যে কোচ কুম্বলের অবদানই স্বীকার করতে চাননি। বলেছেন, ‘দল যখন ভালো খেলে, তখন সাফল্যের ভাগীদার সবাই হয়। নির্দিষ্ট কোনো ব্যক্তি দলকে সাফল্য এনে দিতে পারেন না।’

গত বছর শচীন টেন্ডুলকার, সৌরভ গাঙ্গুলী ও ভিভিএস লক্ষ্মণের সমন্বয়ে গঠিত বোর্ডের উপদেষ্টা কমিটির সুপারিশেই সংক্ষিপ্ত তালিকায় না থাকা সত্ত্বেও ভারতীয় ক্রিকেট দলের কোচ হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন কুম্বলে। উপদেষ্টা কমিটি রবি শাস্ত্রীর মতো শক্তিশালী প্রার্থীকে টপকে কুম্বলেকে কোচ করার সুপারিশ করেছিল।

২০০৭ সালে সৌরভ গাঙ্গুলীর সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে ভারতীয় ক্রিকেট দলের কোচের চাকরি হারিয়েছিলেন গ্রেপ চ্যাপেল। সৌরভ গাঙ্গুলীর সঙ্গে সে সময় বেশ কয়েকজন সিনিয়র ক্রিকেটারও চ্যাপেলের ওপর খুব বিরক্ত ছিলেন। পরবর্তী সময়ে শচীন টেন্ডুলকার, জহির খান ও হরভজন সিংরাও চ্যাপেলের প্রতি নিজেদের অসন্তুষ্টির কথা স্বীকার করেন। সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে

শেয়ারবাজারনিউজ/মু

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.