যে কারণে রহিমা ফুডের শেয়ারে উল্লম্ফন
শেয়ারবাজার রিপোর্ট: রহিমা ফুডের মালিকানায় আবারও পরিবর্তন আসছে। কিন্তু এবারও স্টক এক্সচেঞ্জে কোন প্রকার ঘোষণা ছাড়াই ডিএসই’র ব্লক মার্কেটে রহিমা ফুডের উদ্যোক্তা ও পরিচালকেরা ৪৩ কোটি ৬৩ লাখ ৫৮ হাজার টাকার শেয়ার বিক্রি করেছেন। যা ডিএসই’র আজকের লেনদেন বাড়ারও অন্যতম কারণ।
ডিএসই থেকে জানা যায়, আজ রহিমা ফুডের ৪০ লাখ ৪০ হাজার ৩৫৬টি শেয়ার ব্লক মার্কেটে ১০৮ টাকা দরে ৪ বারে লেনদেন হয়েছে।
এ বিষয়ে কোম্পানি সচিবের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা হলে তারা ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
আর এমন খবরে কোম্পানিটির শেয়ার দর আজ ডিএসই-তে ৯.৯৮ শতাংশ বেড়ে সর্বশেষ ১১৬.৮০ টাকায় লেনদেন হয়েছে। অপরদিকে সিএসই-তে এর শেয়ার দর ১০৬ টাকা থেকে ১১৭ টাকা পর্যন্ত উঠেছে।
উল্লেখ্য, ২০ কোটি টাকা পরিশোধিত মূলধনের কোম্পানিটির শেয়ার সংখ্যা ২ কোটি ২০০। এর ৯.৩০ শতাংশ বা ১৮ লাখ ৬০ হাজার শেয়ার পরিচালনা পর্ষদের কাছে রয়েছে।
এর আগে রহিমা ফুডের পরিচালকদের সব শেয়ার সিটি সুগার ইন্ডাষ্ট্রিজের কাছে ট্রান্সফার করা হয়েছে। এ কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের সভায় কোম্পানির ৮ পরিচালকের হাতে থাকা ১ কোটি ৫ লাখ ৯৬ হাজার ৮৭০টি শেয়ার সিটি’র কাছে ট্রান্সফার করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
জানা যায়, কোম্পানির স্পন্সর শেয়ারহোল্ডার চেয়ারম্যানের স্ত্রী রাফিয়া চৌধুরী তার হাতে থাকা ১৮ লাখ ৫৯ হাজার ৩৮টি শেয়ার, চেয়ারম্যান পুত্র রামি রউফ চৌধুরী তার হাতে থাকা ৪০ লাখ ৪০ হাজার ৩৫৬টি শেয়ার, চেয়ারম্যানের আরেক পুত্র রাবি রউফ চৌধুরীর হাতে থাকা ৪০ লাখ ৪০ হাজার ৩৫৬টি শেয়ার সিটি সুগারের কাছে ট্রান্সফার করেছে। এছাড়া কোম্পানির অন্যান্য পরিচালক মোহাম্মদ সোয়েব ১ লাখ ২৫ হাজার শেয়ার, জাবেদ আলম ২ লাখ ৩১ হাজার ৫০০ শেয়ার, নাজমুন নাহার ১ লাখ শেয়ার, নুরুন নাহার ১ লাখ ৫৭০টি শেয়ার এবং মেহেরুন নাহার ১ লাখ শেয়ার ট্রান্সফার করেছে।
আর এমন খবরে কোম্পানিটির শেয়ার দর ১৫০ টাকা পর্যন্ত উঠেছিল।
তবে কোম্পানিটির পক্ষ থেকে মালিকানা পরিবর্তন সংক্রান্ত পরস্পরবিরোধী তথ্য আসার ঘটনা খতিয়ে দেখতে একটি তদন্ত কমিটি করেছে শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। কমিটির সদস্যরা হলেন_ সংস্থার উপপরিচালক মো. আল মাসুম মৃধা, ডিএসইর উপ-মহাব্যবস্থাপক শফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া ও জ্যেষ্ঠ নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইকরাম হোসেন। কমিটি ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিলেও এ বিষয়ে এখনো কোন সিদ্ধান্ত হয়নি।
এ বিষয়ে কমিশনের কর্তারা বলছেন, রহিমা ফুডের তদন্ত প্রতিবেদন এনফোর্সমেন্ট বিভাগে রয়েছে।
শেয়ারবাজারনিউজ/আ