আজ: বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ইং, ১১ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৩ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

০৫ জুন ২০১৭, সোমবার |

kidarkar

গ্যাস ব্যবসায় শীর্ষস্থান পেতে প্রাক্সায়ারের সঙ্গে লিন্ডের একীভূত করণে চুক্তি: বাংলাদেশে প্রভাব পড়বে না

linde-bdশেয়ারবাজার রিপোর্ট: বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ দুই গ্যাস ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান জার্মানির লিন্ডে এজি এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্সায়ার ইনকরপোরেশন একীভূত হওয়ার পথে এগুচ্ছে। এর জন্য কোম্পানি দুটি ১ জুন তারিখে একীভূতের কার্যক্রম সম্পন্নের জন্য চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জার্মানির লিন্ডে এজি দেশে লিন্ডে বাংলাদেশ লি: নামে ব্যবসা করছে। প্রতিষ্ঠানটি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত।

তবে প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে বিশ্বে গ্যাস ব্যবসায় শীর্ষ দুই প্রতিষ্ঠান একীভূত হলেও বাংলাদেশে লিন্ডের ব্যবসায় এর কোন প্রভাব পড়বে না।

লিন্ডে মূলত হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য সংক্রান্ত গ্যাস উৎপাদন হিসেবে বিশ্বজুড়ে ব্যাপকভাবে পরিচিত। শ্বাস-প্রশ্বাস সংক্রান্ত অসুস্থতায় লিন্ডের উৎপাদিত অক্সিজেন গ্যাস ব্যবহৃত হয়। তবে কোম্পানিটি হাইড্রোজেনসহ অন্যান্য গ্যাসও উৎপাদন করে থাকে, যা বিভিন্ন ধরনের শিল্পকারখানায় ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

অন্যদিকে প্রাক্সায়ার হচ্ছে শিল্প সংক্রান্ত গ্যাসের অন্যতম শীর্ষ উৎপাদক। এ কোম্পানি হাইড্রোজেন, নাইট্রোজেনসহ শিল্প-কারখানায় ব্যবহৃত গ্যাস উৎপাদনে বেশি মনোযোগী।

এশিয়া ও ইউরোপে লিন্ডের ব্যাপক আধিপত্য রয়েছে। অন্যদিকে প্রাক্সায়ার নেতৃত্ব দেয় যুক্তরাষ্ট্র ও ল্যাটিন আমেরিকার বাজারে।

আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমে যাওয়া, বিশ্বের বেশিরভাগ অঞ্চলে শিল্পোৎপাদন ধীর গতি হয়ে পড়াসহ নানা কারণে ইন্ডাস্ট্রিয়াল গ্যাসের চাহিদা কমে গেছে। অন্যদিকে গ্যাসের বাজারের অন্যতম শীর্ষ দুই কোম্পানি ফ্রান্সের এয়ার লিকুইড এবং যুক্তরাষ্ট্রের এয়ার গ্যাস একীভূত হওয়ার কাছাকাছি চলে এসেছে। একীভূত হলে এদের ব্যবসার ব্যয় অনেক কমে আসবে। তখন এর সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে টিকে থাকা বেশ দুরুহ হবে। এমন বাস্তবতায় লিন্ডে ও প্রাক্সায়ার এবার মার্জার ইস্যুতে বেশ মরিয়া।

একীভূত হলে লিন্ডে ও প্রাক্সায়ার ৬৫ বিলিয়ন ডলারের কোম্পানিতে রূপান্তরিত হবে। গ্যাস ব্যবসায় তখন এটিই হবে এক নম্বর কোম্পানি।

উল্লেখ্য, ১৯৭৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত লিন্ডে বিডি’র ১৫ কোটি ২১ লাখ ৮০ হাজার টাকা। কোম্পানিটির ১১.১০ শতাংশ শেয়ার সাধারন বিনিয়োগকারী, ২৮.৯০ শতাংশ শেয়ার প্রতিষ্ঠান এবং ৬০ শতাংশ শেয়ার উদ্যোক্তা ও পরিচালকের কাছে রয়েছে।

চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১৬.১৬ টাকা।

২০১৬ সালে কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের ৩১০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছিল।

শেয়ারবাজারনিউজ/আ

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.