আজ: বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪ইং, ১৪ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৬ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

০৭ জুন ২০১৭, বুধবার |

kidarkar

এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে এগিয়ে যাচ্ছে পুঁজিবাজারের ব্যাংকগুলো

bangladesh bankশেয়ারবাজার রিপোর্ট: বাংলাদেশে ১৪ তফসিলি ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিং লাইসেন্স রয়েছে। এর মধ্যে কার্যক্রম পরিচালনা করছে ১১টি ব্যাংক। এদের মধ্যে পুঁজিবাজারের ব্যাংকগুলো দেশব্যাপী এ ব্যবসায় এগিয়ে যাচ্ছে।

এজেন্ট ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনাকারী ১০ ব্যাংক হলো: ডাচ্-বাংলা, ব্যাংক এশিয়া, আল-আরাফাহ্ ইসলামী, সোস্যাল ইসলামী, মধুমতি ব্যাংক, মিউচুয়াল ট্রাস্ট, এনআরবি কমার্সিয়াল, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক, মিডল্যান্ড ব্যাংক এবং ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লি:।

এর মধ্যে ডাচ্-বাংলা, ব্যাংক এশিয়া, আল-আরাফাহ্ ইসলামী, সোস্যাল ইসলামী, মিউচুয়াল ট্রাস্ট, স্ট্যান্ডার্ড এবং ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি ২০১৭ এর প্রথম তিন মাসে (জানুয়ারি-মার্চ) এজেন্ট ব্যাংকিং কার্যক্রমে ১১ ব্যাংকের সম্মিলিতভাবে এজেন্ট সংখ্যা ১ হাজার ৭৫৫, আউটলেট সংখ্যা ৩ হাজার ২৩, পুরুষ হিসাব সংখ্যা ৫ লাখ ৬১, নারী হিসাব সংখ্যা ২ লাখ ১২ হাজার ৪৩৮, রেমিট্যান্স এসেছে ৫৭২ কোটি ৪৭ লাখ টাকা এবং হিসাবগুলোয় মোট স্থিতি ৪৮১ কোটি ৩৮ লাখ টাকা।

এর আগের প্রান্তিকে (অক্টোবর’১৬-ডিসেম্বর’১৬) এজেন্ট ব্যাংকিং কার্যক্রমে ছিল ১০ ব্যাংক। তাদের সম্মিলিতভাবে এজেন্ট সংখ্যা ১ হাজার ৬৪৬, আউটলেট সংখ্যা ২ হাজার ৬০১, পুরুষ হিসাব সংখ্যা ৩ লাখ ৮৫ হাজার ৩৮৭, নারী হিসাব সংখ্যা ১ লাখ ৫৯ হাজার ১৪৯, রেমিট্যান্স এসেছে ৩০৯ কোটি ৫৬ লাখ টাকা এবং মোট স্থিতি ৩৮০ কোটি ৬৮ লাখ টাকা ছিল।

এজেন্ট ব্যাংকিং বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মত, বাংলাদেশ ব্যাংক চলমান অন্তর্ভুক্তি কার্যক্রমের আওতায় ব্যাংকিং সেবাকে ব্যয় সাশ্রয়ীভাবে জনসাধারণের দোরগোড়ায় বিশেষভাবে গ্রামীণ অঞ্চল কিংবা লাভজনকভাবে যেখানে প্রচলিত ব্যাংকিং সেবা নিয়ে যাওয়া সম্ভবপর নয় সেসব অঞ্চল এবং ভৌগলিকভাবে বিচ্ছিন্ন চরাঞ্চলসহ বাংলাদেশের প্রত্যন্ত এলাকার সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর জন্য মৌলিক সেবা প্রদানের নিমিত্তে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর সহায়তায় এজেন্ট ব্যাংকিং কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। এজেন্ট ব্যাংকিং কার্যক্রম সম্প্রসারণ এবং এর নিরাপত্তা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার জন্য বিভিন্ন সময় কেন্দ্রীয় ব্যাংক গাইডলাইন প্রণয়ন করেছে।

গ্রাহকের ব্যাংক হিসাব: ২০১৭ এর প্রথম তিন মাসে আউটলেটের মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যাংকের মোট হিসাব খোলা হয়েছে ৭ লাখ ১২ হাজার ৪৯৯টি। যা ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৬ শেষে ছিল ৫ লাখ ৪৪ হাজার ৫৩৬টি। এর মধ্যে শীর্ষে রয়েছে ডাচ্-বাংলা ব্যাংক। আগের প্রান্তিক থেকে ১ লাখ ১০ হাজার ৩৬৭ বা ৩০ শতাংশ বেড়ে ৪ লাখ ৭৭ হাজার ৯৯৩টি হিসাব সংখ্যা হয়েছে। দ্বিতীয় অবস্থানে ব্যাংক এশিয়ার ৩২ হাজার ৩৩১টি বা ২৪ শতাংশ বেড়ে হিসাব সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৬২ হাজার ৩৭৮টি। তৃতীয় অবস্থানে থাকা আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকের হিসাব সংখ্যা বেড়েছে ১০ হাজার ১৫৭ বা ৩৩ শতাংশ।

এজেন্ট ব্যাংকিং এ গ্রাহকের হিসাবের মোট স্থিতি: এজেন্ট আউটলেটে গ্রাহকের বিভিন্ন হিসাবে মোট স্থিতির পরিমাণ ৪৮১ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। এর মধ্যে আগের প্রান্তিক থেকে ২২ শতাংশ বেড়ে ২২৬ কোটি ৮৩ লাখ টাকা স্থিতি নিয়ে শীর্ষে অবস্থান করছে ডাচ্-বাংলা ব্যাংক। দ্বিতীয় অবস্থানে উঠে এসেছে আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড, তাদের গ্রাহক হিসাবে মোট স্থিতির পরিমাণ ১১৯ কোটি ৯৬ লাখ টাকা যা আগের প্রান্তিক থেকে ৫০ শতাংশ বেশি। গ্রাহক হিসাবে মোট স্থিতির পরিমাণ ১১৬ কোটি ৭২ লাখ টাকা নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে নেমেছে ব্যাংক এশিয়া। আগের প্রান্তিকে ব্যাংক এশিয়া দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল।

রেমিট্যান্স: এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেটের মাধ্যমে বিদেশ থেকে প্রবাসিরা মোট ৫৭২ কোটি ৪৭ লাখ টাকা রেমিট্যান্স পাঠিয়েছে। এর মধ্যে আগের প্রান্তিক থেকে ৩২ শতাংশ বেড়ে ২৬৯ কোটি ৮৪ লাখ টাকা রেমিট্যান্স নিয়ে শীর্ষে অবস্থান করছে ব্যাংক এশিয়া। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ডাচ্-বাংলা ব্যাংক লিমিটেড, তাদের হিসাবে মোট রেমিট্যান্স এসেছে ২১১ কোটি ২৬ লাখ টাকা যা আগের প্রান্তিক থেকে ৩৯৯ শতাংশ বেশি। ৮৩ কোটি ৪২ লাখ টাকা রেমিট্যান্স নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড। তবে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে কোন রেমিট্যান্স আসেনি।

শেয়ারবাজারনিউজ/আ   

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.