নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে সেমিতে খেলার আশা টিকিয়ে রাখলো বাংলাদেশ
শেয়ারবাজার রিপোর্ট: চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে গ্রুপপর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ২৬৬ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ২ ওভার বাকি থাকতেই জয় নিশ্চিত করলো বাংলাদেশ। ৫ উইকেটে নিউজিল্যান্ডকে হারালো বাংলাদেশ। এতে সেমিফাইনালে খেলার আশা টিকিয়ে রাখলো বাংলাদেশ।
সাকিব আল হাসান ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের কারণে জয় পায় টাইগাররা। আজকের খেলায় সাকিব আল হাসান ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ দুইজনই সেঞ্চুরি করেন। তবে সাকিব মাঠে শেষ পর্যন্ত টিকে না থাকতে পারলেও রিয়াদ শেষ পর্যন্ত মাঠে ছিলেন।
নিউজেল্যান্ডের দেওয়া ২৬৬ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমেই অনেকটাই দিসেহারা পরেছিলেন বাংলাদেশ। প্রথম ওভারের দ্বিতীয় বলেই শূন্য রানে ফিরে যান ফরমে থাকা তামিম ইকবাল। টিম সাউদির বলে এলবিডব্লিউ হওয়ার পর রিভিউ নিয়েছিলেন বাঁহাতি এই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান। তবে তাতে পাল্টায়নি আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত।
এরপর পরপর দুই বলে চার হাঁকিয়ে ফিরে গেলেন সাব্বির রহমান। দলীয় ১০ রানের মাথায় নিজের দ্বিতীয় ওভারে তাকে বিদায় করেন টিম সাউদি।
পরে টিম সাউদির বলেই এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন সৌম্য সরকার। ১৩ বলে ৩ রান করে ফিরেন বাঁহাতি এই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান। অ্যাডাম মিলনেকে এক চার হাঁকানোর পরের বলেই ফিরে যান মুশফিকুর রহিম। ঘণ্টায় ১৪৬ কিলোমিটার গতির বলে উপড়ে যায় মিডল স্টাম্প।
ইনিংসের গোড়াপত্তন করতে নেমে রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফেরেন ওপেনার তামিম ইকবাল। টিম সাউদির করা দ্বিতীয় বলেই লেগ বিফোরের শিকার হন আগের দুই ম্যাচে দারুণ খেলা এ বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।
নিজের দ্বিতীয় ওভারেই সাব্বিরকে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন সাউদি। সাব্বির ৮ রান করেন। নিজের তৃতীয় ওভারে এসে সৌম্য সরকারকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন সাউদি। সৌম্য ৩ রান করেন। দলীয় ৩৩ রানে সাজঘরে ফিরেন টাইগার দলের নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম। তার বিদায়ের পর চরম বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ।
শুক্রবার কার্ডিফে বৃষ্টির কারণে নির্ধারিত সময়ের এক ঘণ্টা পরে ম্যাচটি শুরু হয়। টস জিতে নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন।
মোসাদ্দেক এবং তাসকিন আহমেদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৬৫ রান সংগ্রহ করে কিউইরা। টাইগারদের হয়ে প্রথম আঘাত হানেন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে প্রথমবারের মতো সুযোগ পাওয়া তাসকিন আহমেদ।
লুক রনকি ১৬ রান করে তাসকিনের বলে মোস্তাফিজের হাতে ধরা পড়েন। শুরু থেকেই ভয়ংকর ছিলেন মার্টিন গাপটিল। তবে ব্যক্তিগত ৩৩ রানে রুবেল হোসেনের বলে লেগ বিফোরের শিকার হন এ ডানহাতি ব্যাটসম্যান।
এরপর কেন উইলিয়ামসন এবং রস টেইলর মিলে ৮৩ রানের জুটি গড়ে বড় সংগ্রহের ইঙ্গিত দেন। ব্যক্তিগত ৫৭ রান করে রান আউটের শিকার হন উইলিয়ামসন। এরপর নিজের দ্বিতীয় উইকেট তুলে নেন তাসকিন। ভয়ংকর হয়ে ওঠা রস টেইলরকে মোস্তাফিজের ক্যাচে পরিণত করেন তাসকিন। টেইলর ৬৩ রান করেন।
এরপর বোলিং ক্যারিশমা দেখান মোসাদ্দেক। নিজের দ্বিতীয় ওভারেই নেইল ব্রুম (৩৬) এবং কোরি এন্ডারসনকে (০) সাজঘরে ফেরত পাঠান মোসাদ্দেক।
এবার অলআউটের শংকা জাগে কিউই শিবিরের। রানের চাকা শ্লথ হয়ে আসে। নিজের তৃতীয় ওভারে আবারো জিমি নিশামকে (২৩) নিজের শিকারে পরিণত করেন মোসাদ্দেক। নিজের নবম ওভারে এসে অ্যাডাম মিলনেকে (৭) সরাসরি বোল্ড করেন মোস্তাফিজ।
শেয়ারবাজারনিউজ/এম.আর