আজ: বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ইং, ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

১০ জুন ২০১৭, শনিবার |

kidarkar

তিব্বতের মৃতদেহ সৎকারের চিত্র চালিয়ে দেয়া হচ্ছে মুসলমান অত্যাচার নামে

barmaশেয়ারবাজার রিপোর্ট: বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যেভাবে মৃতদেহ সৎকার করা হয় তিব্বত তার থেকে সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম। যেমন নিষিদ্ধ এই দেশ তেমনি এর আচার আচরণ খুবই রহস্যজনক। কিন্তু সম্প্রতি তিব্বতের মৃতদেহ সৎকারের চিত্র বিভিন্ন ওয়েবসাইটে ভেসে উঠছে। আর তা চালিয়ে দেয়া হচ্ছে বার্মায় মুসলমান নিধন নামে। যা ধর্মকে প্রবাহিত করছে। তাই বিভ্রান্তি দূর করতে এসব চিত্রের রহস্য তুলে ধরা হলো:

তিব্বতিদের সবচেয়ে ব্যতিক্রমী আচার হলো মৃতদেহের সৎকার। এদের মৃতদেহ সৎকার পদ্ধতি খুবই অদ্ভুত। কোনো তিব্বতি যদি মারা যায়, তবে ওই মৃতদেহ কাউকে ছুঁতে দেওয়া হয় না। ঘরের এক কোণে মৃতদেহটি বসিয়ে চাদর অথবা পরিষ্কার কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখা হয়। মৃতদেহের ঠিক পাশেই জ্বালিয়ে রাখা হয় পাঁচটি প্রদীপ। তারপর পুরোহিত পোবো লামাকে ডাকা হয়। পোবো লামা একাই ঘরে ঢোকে এবং ঘরের দরজা-জানালা সব বন্ধ করে দেয়। এরপর পোবো মন্ত্র পড়ে শরীর থেকে আত্মাকে বের করার চেষ্টা করে। প্রথমে মৃতদেহের মাথা থেকে তিন-চার গোছা চুল টেনে ওপরে আনে। তারপর পাথরের ছুরি দিয়ে মৃতদেহের কপালের খানিকটা কেটে প্রেতাত্মা বের করার রাস্তা করে দেওয়া হয়। শবদেহকে নিয়ে রাখে একটা বড় পাথরের টুকরোর ওপর। ঘাতক একটি মন্ত্র পড়তে পড়তে মৃতদেহের শরীরে বেশ কয়েকটি দাগ কাটে। দাগ কাটার পর একটি ধারালো অস্ত্র দিয়ে সেই দাগ ধরে ধরে মৃতদেহকে টুকরো টুকরো করে কেটে ফেলা হয়। তারপর পশুপাখি দিয়ে খাওয়ানো হয়।
তিব্বতের সামাজিক অবস্থার কথা বলতে গেলে বলতে হয় এমন এক সমাজের কথা, যা গড়ে উঠেছিল আজ থেকে প্রায় ছয় হাজার বছর আগে। তখন পীত নদীর উপত্যকায় চীনারা জোয়ার ফলাতে শুরু করে। অন্যদিকে আরেকটি দল রয়ে যায় যাযাবর। তাদের মধ্য থেকেই তিব্বতি ও বর্মী সমাজের সূচনা হয়।

শেয়ারবাজারনিউজ/ম.সা

barma 2barma 3

barma 4barma 6barma 4barma 7

 

barma 8barma 9barma 5

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.