আজ: বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ইং, ১১ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৩ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

২৮ জুন ২০১৭, বুধবার |

kidarkar

পুঁজিবাজারসহ প্রতিটি স্তরের দৃষ্টি আজ সংসদের দিকে: পাস হচ্ছে অর্থ বিল,২০১৭

parliamentশেয়ারবাজার রিপোর্ট: পুঁজিবাজারসহ দেশের অর্থনীতির প্রতিটি স্তরের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের দৃষ্টি আজ সংসদের দিকে থাকবে। ১০ম সংসদের ১৬তম অধিবেশন বসছে বিকাল ৪ টায়। আর আজকের আলোচনার মূল বিষয়বস্তু হচ্ছে বাজেট। ২০১৭-১৮ সালের বাজেট, বাজেট মঞ্জুরী দাবী এবং দায়মুক্ত ব্যয় নির্দিষ্টকরণ সম্পর্কে আলোচনা করা হবে। আজকের সংসদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে অর্থ বিল,২০১৭। সরকারের আর্থিক প্রস্তাবলী কার্যকরকরণ এবং কতিপয় আইন সংশোধন করে এই অর্থ বিল, ২০১৭ অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত সংসদে সকলকে গ্রহণ করতে প্রস্তাব করবেন। অত:পর অর্থ বিল,২০১৭ সকলের মাধ্যমে অর্থমন্ত্রী পাস করিয়ে নেবেন।

আর এই অর্থ বিল,২০১৭’তেই কি থাকছে তার জন্য মুখিয়ে থাকবে পুঁজিবাজারসহ অর্থনীতির প্রতিটি স্তরের সংশ্লিষ্টরা। কারণ কি কি পরিবর্তন আসছে, কোন স্তরের ট্যাক্সের পরিমাণ কি থাকছে, নতুন কোনো প্রণোদনা দেয়া হয়েছে কিনা ইত্যাদি বিষয় অর্থ বিল,২০১৭’তে থাকবে।

এদিকে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেটের সবচেয়ে আলোচ্য বিষয় ছিল ভ্যাট আইন কার্যকর। ২০১২ সাল থেকে বিভিন্ন ব্যবসায়ী মহলের সঙ্গে আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে আইনে বেশ কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। সঙ্গে বিধিমালারও কিছু পরিবর্তন করা হয়েছে প্রস্তাবিত বাজেটে। আগামী ১ জুলাই থেকে এই ভ্যাট আইন কার্যকর হবে। পরিবর্তনগুলো হলো:

১. টার্নওভার তালিকাভুক্তি সীমা ৩৬ লাখ টাকা পর্যন্ত কর অব্যাহতি দেওয়া হবে।
২. মূসক নিবন্ধন সীমা ৮০ লাখ থেকে বাড়িয়ে দেড় কোটিতে উন্নীত করা হয়েছে। ৩৬ লাখ থেকে দেড় কোটি টাকা বিক্রিসম্পন্ন ব্যবসায়ীকে ৪ শতাংশ হারে টার্নওভার কর দিতে হবে। দেড় কোটি টাকার বেশি বিক্রি হলে শুধু ভ্যাট নিবন্ধন নিতে হবে এবং ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট দিতে হবে।
৩. নতুন বিধান অনুযায়ী সরবরাহ গ্রহণ ও তার অনুকূলে মূসক চালান থাকলেই রেয়াত গ্রহণ করতে পারবেন।
৪. সহযোগীর সংজ্ঞা থেকে আত্মীয় বাদ দেওয়া হয়েছে।
৫. দেশীয় শিল্প যে ধরনের সুরক্ষা ১৯৯১ সালের আইন অনুযায়ী পেত, নতুন আইনের অধীনেও ওই সুরক্ষা অব্যাহত রাখা হয়েছে।
৬. বাণিজ্য সুরক্ষার জন্য আমদানি পর্যায়ে ১ হাজার ৬৬৬টি এইচএস লাইনের আওতায় বিদ্যমান সব পণ্যে সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা হয়েছে।
৭. নিত্যপণ্যে অব্যাহতি:
# সব প্রকার কৃষিজ পণ্য, হাঁস-মুরগি, গবাদিপশু, পশুর মাংস, মাছ, ফলমূল, শাকসবজি, ভোজ্য তেল, চিনি, গুড়, লবণ, তুলা, পাট, রেসম সুতা মূসকের আওতার বাইরে রাখা হয়েছে।
# বাংলাদেশের অভ্যন্তরে সব অস্থায়ী হোটেল ও রেস্তোরাঁ খাদ্যদ্রব্য সরবরাহকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে। অর্থাৎ সাধারণ মানুষ যেসব হোটেলে খাওয়াদাওয়া করে, তাতেও ভ্যাট হবে না।
# জীবনরক্ষাকারী প্রায় সব ওষুধে মূসক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
# সমাজকল্যাণ কার্যক্রমকে মূসকের আওতার বাইরে রাখা হয়েছে। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যক্রমের জন্য পাঠ্যপুস্তক সরবরাহ কার্যক্রমে ৫ শতাংশ ভ্যাট অব্যাহতি।
# কৃষিকাজে ব্যবহৃত উপকরণ, যেমন: বীজ, সেচ সেবা, কীটনাশক, যন্ত্রপাতি মূসকের আওতার বাইরে।
#ডেইরি, ফাউন্ড্রি, পাটশিল্পের কাজে ব্যবহৃত সব যন্ত্রপাতিতে মূসক অব্যাহতি
# সব ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড ভ্যাটের আওতার বাইরে।
# ব্যাংকিং ও বিমা খাতের কমিশন ব্যতীত সব বিষয়ে মূসক অব্যাহতি প্রদান
# জীবনবিমা সম্পূর্ণ অব্যাহতিপ্রাপ্ত।
# স্টক মার্কেট ও তার সব কাজে মূসক অব্যাহতি
# কম্পিউটার ও কম্পিউটার যন্ত্রাংশের নতুন করে মূসক অব্যাহতি।
৮. দেশীয় সব সফটওয়্যার উৎপাদন ও সরবরাহকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে।
৯. বাংলাদেশে উৎপাদিত ফ্রিজ, টিভি, এসি, মোটরসাইকেলে বিদ্যমান অব্যাহতি বহাল রাখা হয়েছে।

শেয়ারবাজারনিউজ/ম.সা

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.