আজ: শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ইং, ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

২৯ জুন ২০১৭, বৃহস্পতিবার |

kidarkar

২০০ বছরের পুরনো আমগাছ : যার অবস্থান বাংলাদেশে!!

mango-treeশেয়ারবাজার ডেস্ক: ঠাকুরগাঁও, ১৯ এপ্রিল- প্রায় দুই বিঘা জায়গাজুড়ে শুয়ে-বসে-দাঁড়িয়ে আছে ২০০ বছরের বেশি বয়সী এক প্রাচীন আমগাছ। গাছটি একাই যেন আমবাগান। অক্টোপাসের মতো বৃদ্ধ এ আমগাছটি থেকে মাটিতে নেমে এসেছে ১৯টি মোটা মোটা ডাল। গাছটির উচ্চতা আনুমানিক ৮০ ফুট আর ঘের ৩০ ফুট।

এবিষয়টি অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি। এই সূর্যপুরী প্রাচীন আমগাছ রয়েছে ঠাকুরগাঁওয়ে বালিয়াডাঙ্গিতে। গাছটির বয়স ২০০ বছরেরও বেশি বলে জানালেন ওই এলাকার বাসিন্দা সোহাগ আহম্মেদ।

জানা গেছে, ঠাকুরগাঁও থেকে বালিয়াডাঙ্গি উপজেলার দূরত্ব ২৫ কিলোমিটার। উপজেলা সদর থেকে ১০ কিলোমিটার ভেতরে হরিণমারী। একটি ছোট ব্রিজ পেরিয়ে হরিণমারীর পিচঢালা পথ। তার দুইধারে সারি সারি কাঁঠালগাছ। গাছের ডালে ডালে পাখির কিচির মিচির। খানিকটা হেলেদুলে রাস্তাটি চলে গেছে গ্রামের ভেতর। রাস্তার দু’পাশে বিস্তীর্ণ ঘন সবুজ ধানক্ষেত।

রাস্তার পাশে জনবসতির দূরে পাকা রাস্তার শেষে দাঁড়িয়ে আছে ২০০ বছরের পুরনো আমগাছটি। দূর থেকে মনে হয় গাছটি একাই যেন আমবাগান। কিন্তু কাছে যেতেই তাক লেগে যাবে। আরে বাগান কোথায় একটি আমগাছই ছড়িয়ে গেছে দৃষ্টিসীমার অনেক অনেক দূরে।

বৃদ্ধ এ আমগাছটি অক্টোপাসের মতো মাটিতে নেমে এসেছে ১৯টি মোটা মোটা ডাল। গাছটির উচ্চতা আনুমানিক ৮০ ফুট আর ঘের ৩০ ফুটের মতো। নুয়ে পড়া মোটা ডালগুলো দেখলেই মনে হয় গাছটি অতি প্রাচীন। গাছটিতে অনেক ছোট ছোট আম ধরেছে। গাছটি ছায়া মেলেছে বিস্তীর্ণ জায়গাজুড়ে।

এলাকাবাসী মোমেন স্বপন জানান, নিচে মোহরের কলস রেখে নাকি গাছটির চারা লাগানো হয়েছিল।

গাছটির বর্তমান মালিক নূর ইসলাম জানান, কোন আমলে আমগাছটি লাগানো হয়েছে, তা তার জানা নেই। প্রাচীন এই গাছটি সম্পর্কে তিনি জেনেছেন, তার দাদার কাছ থেকে। তার দাদা আবার জেনেছেন তার দাদার কাছ থেকে। এভাবেই ধারণা করা হয়, গাছটির বয়স ২০০ বছরেরও বেশি। যুগ যুগ ধরে এই আমগাছটি নূর ইসলামদের দিয়ে আসছে রসালো ও সুস্বাদু আম। এখনো এ গাছ থেকে প্রতিবছর প্রায় ৪০০ মণ আম পাওয়া যায়।

শেয়ারবাজারনিউজ/এস. এস

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.