আজ: মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪ইং, ১০ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৩ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

০১ জুলাই ২০১৭, শনিবার |

kidarkar

স্মিথ-ওয়ার্নাররা অষ্ট্রেলিয়া ক্রিকেটে থাকছেন না

australiaশেয়ারবাজার ডেস্ক: মাসে মাসে স্মিথ-ওয়ার্নারদের অ্যাকাউন্টে যে বেতন জমা পড়ত বোর্ডের, তা আজ থেকে বন্ধ হয়ে গেছে। সেই সঙ্গে বেকার হয়ে পড়লেন ডেভিড ওয়ার্নারদের মতো অস্ট্রেলিয়ার ২৩০ পেশাদার ক্রিকেটার। অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে নতুন চুক্তিতে স্বাক্ষর না করায় অনিশ্চয়তার মুখে আগস্টে বাংলাদেশ সফরে মূল দল পাঠানোর ব্যাপারটিও। বোর্ডের সঙ্গে ক্রিকেটারদের সম্পর্কছিন্নতাকে সে দেশের মিডিয়া অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটের ‘অন্ধকার সময়’ বলে মনে করছেন। কেননা অতীতে কখনোই এমনটা ঘটেনি সেখানে। অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট বোর্ড (সিএ) গতকালই এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ক্রিকেটারদের সঙ্গে চুক্তি না হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে। ‘এটা দুঃখজনক যে, ৩০ জুন নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বোর্ডের দেওয়া নতুন চুক্তিতে ক্রিকেটাররা স্বাক্ষর করেনি। নতুন করে ক্রিকেটারদের জন্য চুক্তিপত্র নির্ধারণ করা আর সম্ভব নয়। এসিএর সঙ্গে কয়েক দফা আলোচনার পরও তারা ক্রিকেটারদের স্বার্থ সংরক্ষণের ইতিবাচক দিকগুলো মূল্যায়ন করেনি।’ ক্রিকেটাররা চুক্তি না করায় ১৫ দিনে অন্তত ১২ লাখ অস্ট্রেলিয়ান ডলার বাঁচবে, যা তারা দেবে ন্যাশনাল কমিউনিটি ফ্যাসিলিটিজ ফান্ডিং স্কিমে। এই অর্থ তৃণমূলের কিছু ক্লাবের উন্নয়নে দেওয়া হবে বলেও বোর্ডের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে।

বোর্ডের এই অনড় অবস্থায় রোববার ক্রিকেটারদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট সংস্থা (এসিএ) একটি জরুরি মিটিং ডেকেছে। সেখান থেকেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। যদিও এসিএর পক্ষ থেকে এটা নিশ্চিত করা হয়েছে যে, চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর না করলেও আগামী জুলাইয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের জন্য যে ‘এ’ দল ঘোষণা করা হয়েছে, তারা নিয়মিত অনুশীলন করবে এবং সফরে অংশ নেবে। যার অর্থ চুক্তি না করলেও খেলা বয়কট করছেন না ক্রিকেটাররা। গেল নভেম্বরে অস্ট্রেলিয়ান বোর্ড তাদের এই নতুন আর্থিক প্রস্তাবনা তৈরি করে। গত কুড়ি বছরে ‘পে মডেল’-এ বোর্ডের লভ্যাংশের প্রায় ২৬ শতাংশ পেতেন চুক্তিতে থাকা ক্রিকেটাররা। এ অনুযায়ী যে বছর বোর্ডের বেশি লাভ হতো সেই বছর বেশি অর্থ পেতেন ওয়ার্নাররা, লাভ কম হলে বেতনের অঙ্কটাও কম। আর যে ক্রিকেটার বেতনের যে স্তরে থাকতেন, তাদের ভাগও আনুপাতিক হারে বাড়ত। কিন্তু এবারের প্রস্তাবনায় শুধু ২০ তারকা ক্রিকেটার (১৭ পুরুষ আর ৩ নারী) ২০ মিলিয়ন অস্ট্রেলিয়ান ডলার লাভের অংশ পাবেন। তাতে করে দেখা যায়, পুরুষ ক্রিকেটাররা পাবেন ১৬ মিলিয়ন আর নারী ক্রিকেটাররা বাকি ৪ মিলিয়ন। বাকি প্রায় ১৮০ ক্রিকেটারের চুক্তি হবে নির্দিষ্ট বেতনের অঙ্কে। তবে এই বেতন প্রত্যেক বছর বাড়বে। এখনকার ৩১১ মিলিয়ন ডলার থেকে বেড়ে মোট বেতনের অঙ্কটা ২০২২ সাল নাগাদ ৪৯৯ মিলিয়ন ডলার হবে। গড়ে প্রত্যেক নারী ক্রিকেটারের বেতন ১৫০ শতাংশ বাড়বে। ঘরোয়া ক্রিকেটারদের বেতনও বাড়বে। কিন্তু ক্রিকেটারদের সংস্থা এসিএ একটি হিসাব করে দেখে যে, বোর্ডের এই প্রস্তাবনায় আগের মডেলের মোট লাভের ২০ শতাংশ খেলোয়াড়দের পাওয়ার হিসাব পূর্ণ হচ্ছে না।

তারা বিশ্লেষণ করে দেখেছে যে, সামনেই টিভি স্বত্ব থেকে বিলিয়ন ডলার আর বিগ ব্যাশের আয় থেকে মোটা অঙ্ক লাভ করতে যাচ্ছে অস্ট্রেলিয়ান বোর্ড। সেই হিসাবে ক্রিকেটারদের যে অর্থ তারা দেবে, সেটা বেশ কম।

শেয়ারবাজারনিউজ/ম.সা

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.