আইপিও হান্টার বিও হিসাবধারীর সংখ্যা কমছে
শেয়ারবাজার রিপোর্ট: প্রাথমিক গণ প্রস্তাবের ক্ষেত্রে শেয়ারবাজারে আইপিও হান্টারদের দৌরাত্মে প্রকৃত বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। কারণ আইপিও শেয়ার খুবই লাভজনক। তাই এক শ্রেণীর বিনিয়োগকারী নামে বেনামে অনেক বিও হিসাব খুলে শুধুমাত্র আইপিও লটারি জেতার জন্য আবেদন করেন। এদিকে পাবলিক ইস্যু বিধিমালায় সাধারণ বিনিয়োগকারীদের আইপিও কোটা কমানো হয়েছে। তাই অনেক আইপিও হান্টার হিসাব বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছেন। পরিণতিতে ২০১৬-২০১৭ হিসাব বছরে বিও হিসাবের সংখ্যা কমেছে বলে দাবী করেছে একাধীক ব্রোকারেজ হাউজের শীর্ষ কর্মকর্তারা।
সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি অব বাংলাদেশ লি: (সিডিবিএল) সূত্রে জানা গেছে, ৩০ জুন, ২০১৭ সমাপ্ত অর্থবছরে বিও হিসাব সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৯ লাখ ২৬ হাজার ৯৩২টি। যা গত অর্থছরে ছিল ৩১ লাখ ৫৩ হাজার ৪৪২টি।
এর মধ্যে পুরুষ বিনিয়োগকারীর বিও হিসাব ২১ লাখ ৩১ হাজার ৭৬টি। নারী বিনিয়োগকারীর বিও হিসাবের সংখ্যা ৭ লাখ ৮৪ হাজার ৩৫৮টি। বিভিন্ন কোম্পানির কাছে ১১ হাজার ৪৯৮টি বিও হিসাব রয়েছে।
আলোচিত সময়ে বাংলাদেশি বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাবের সংখ্যা ২৭ লাখ ৫৮ হাজার ৩৫টি এবং প্রবাসী বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাবের সংখ্যা ১ লাখ ৫৭ হাজার ৩৯৯টি।
সংশোধীত পাবলিক ইস্যু বিধিমালায় ফিক্সড প্রাইস পদ্ধতিতে সাধারণ বিনিয়োগকারী আইপিও শেয়ারের ৫০ শতাংশ এবং প্রাতিষ্ঠানিকেরা ৫০ শতাংশ শেয়ারের জন্য আবেদন করতে পারবে। আগে সাধারণ বিনিয়োগকারী আইপিও শেয়ারের ৮০ শতাংশ পেত। আর বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী আইপিও শেয়ারের ৬০ শতাংশ, প্রবাসী ১০ শতাংশ এবং বাকী ৩০ শতাংশ শেয়ারের জন্য সাধারণ বিনিয়োগকারীরা আবেদন করতে পারবেন।
তাছাড়া ২০১৬-২০১৭ হিসাব বছরে আইপিও অনুমোদন কমেছে। ডিএসই’র দেওয়া তথ্যমতে, আলোচিত সময়ে আইপিও’র মাধ্যমে কোম্পানিগুলো (মিউচ্যুয়াল ফান্ড সহ) ৩৯০ কোটি টাকার পুঁজি উত্তোলন করেছে। অথচ এর আগের বছর ৮৫৮ কোটি টাকার পুঁজি তুলেছিল কোম্পানিগুলো।
শেয়ারবাজারনিউজ/আ