আজ: শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ইং, ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

০৬ জুলাই ২০১৭, বৃহস্পতিবার |

kidarkar

৪জি লাইসেন্সধারীদের পুঁজিবাজারে শেয়ার ছাড়তে হবে

BTRC_LOGOশেয়ারবাজার রিপোর্ট: ৪জি লাইসেন্স প্রাপ্ত মোবাইল অপারেটরদের পুঁজিবাজারে শেয়ার ছাড়তে হবে। ৪জি লাইসেন্স প্রদান খসড়া বিধিমালায় টেলিকম নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) মোবাইল অপারেটর কোম্পানিগুলোর জন্য এমন বাধ্যবাধকতা রেখেছে।

সম্প্রতি খসড়া বিধিমালাটি জনমত যাচাইয়ের জন্য টেলিকম বিভাগের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।

তবে খসড়া বিধিমালায় ৪জি লাইসেন্স প্রাপ্ত মোবাইল অপারেটর কোম্পানিগুলোকে কী পরিমাণ শেয়ার পুঁজিবাজারে ছাড়তে হবে সে বিষয়ে কিছু বলা হয়নি।

এর আগে ২জি লাইসেন্স নবায়ন খসড়া বিধিমালায় মোবাইল কোম্পানিগুলোকে পুঁজিবাজারে শেয়ার ছাড়ার বিষয়ে বলা হয়েছিল। কিন্তু চূড়ান্ত বিধিমালায় বিষয়টি বাদ দেওয়া হয়েছিল।

বর্তমানে মোবাইল অপারেটরদের মধ্যে শুধুমাত্র গ্রামীণ ফোন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত রয়েছে। কোম্পানিটি ২০০৯ সালে তাদের ১০ শতাংশ শেয়ার প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের মাধ্যমে পুঁজিবাজারে শেয়ার ছেড়েছিল।

তবে বিভিন্ন সময়ে ‘রবি’ এবং ‘বাংলালিংক’ পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার ইচ্ছা পোষণ করলেও এ বিষয়ে আর কোন পদক্ষেপ নেয়নি।

৪জি লাইসেন্স প্রদান সংক্রান্ত খসড়া বিধিমালায় বলা হয়েছে, লাইসেন্স পেতে কোম্পানিগুলোকে দুই ধাপে ৭৫ কোটি টাকা করে মোট ১৫০ কোটি টাকা জামানত রাখতে হবে। বিটিআরসি’র বেধে দেওয়া সময়ের মধ্যে ৪জি সেবা চালু করতে পারলে সংশ্লিষ্ট কোম্পানিকে ৭৫ কোটি টাকা ফেরত দেওয়া হবে। বাকী ৭৫ কোটি টাকা বিটিআরসি’র কাছে জামানত হিসেবে থাকবে। ভবিষ্যতে কোন কোম্পানি বিটিআরসি’র কোন বকেয়া পরিশোধে ব্যর্থ হলে জামানত থেকে টাকা কেটে নেওয়া হবে।

লাইসেন্স নেয়ার ৯ মাসের মধ্যে কোম্পানিগুলোকে বিভাগীয় প্রধান কার্যালয়ে ৪জি সেবা চালু করতে হবে। আর ১৮ মাসের মধ্যে সকল জেলায় ৪জি সেবা পৌঁছে দিতে হবে। সারাদেশে ৪জি সেবা পৌঁছে দিতে কোম্পানিগুলোকে ৩ বছর সময় দেওয়া হবে। আর এ সময় সীমা পরিপূরনের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কোম্পানিকে আরো ২৫ কোটি টাকা ফেরত দেওয়া হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে খসড়া বিধিমালায়।

৪জি সেবা থেকে প্রাপ্ত মুনাফার ৫.৫০ শতাংশ বিটিআরসি’কে এবং ১ শতাংশ সামাজিক উন্নয়ন ফান্ডে জমা দিতে হবে বলে খসড়া বিধিমালায় বলা হয়েছে।

উল্লেখ্য, চলতি বছরেই সরকার ৪জি সেবা চালু করতে চায়। ইতিমধ্যে মোবাইল অপারেটররা ৪জি সেবা দিতে নেটওয়ার্কের উন্নয়নে কাজ করেছে। বর্তমান নেটওয়ার্কের আওতায় গ্রাহকেরা প্রতি সেকেন্ডে ডাউনলোড এবং আপলোড স্পীড ৫০ থেকে ১০০ মেগাবাইট করে পাবেন।

শেয়ারবাজারনিউজ/আ

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.