ক্যাশ ডিভিডেন্ডে রেকর্ড: বাজারের জন্য ইতিবাচক
শেয়ারবাজার রিপোর্ট: বিগত বছরগুলোর তুলনায় সদ্য সমাপ্ত ২০১৬ অর্থবছরে ক্যাশ ডিভিডেন্ড দেয়া কোম্পানির সংখ্যা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১২ সালে যেখানে ১১৬টি কোম্পানি ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছিল সেখানে ২০১৬ সালে ক্যাশ ডিভিডেন্ড দেয়া কোম্পানির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯২টি। আর এটি বাজারের জন্য অত্যন্ত ইতিবাচক বলে মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।
ডিএসই থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, ২০১ সালে বোনাস শেয়ার দিয়েছিল ১৬৫ কোম্পানি। ঐ বছরে ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছিল ১১৬ কোম্পানি। তারপরের বছর অর্থাৎ ২০১৩ সালে বোনাস শেয়ার দিয়েছিল ১৫২ কোম্পানি। ঐ বছরে ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছিল ১২৮ কোম্পানি। ২০১৪ সালে বোনাস শেয়ার দিয়েছিল ১৪৪ কোম্পানি। ঐ বছরে ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছিল ১৫৯ কোম্পানি। তারপরের বছর অর্থাৎ ২০১৫ সালে বোনাস শেয়ার দিয়েছিল ১৪৬ কোম্পানি। ঐ বছরে ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছিল ১৭৬ কোম্পানি।
সর্বশেষ শেষ হওয়া ২০১৬ সমাপ্ত অর্থবছরে বোনাস শেয়ার দিয়েছে ১২৫ কোম্পানি। ঐ বছরে ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছিল ১৯২ কোম্পানি।
অর্থাৎ ২০১২ সাল থেকে এ পর্যন্ত ক্যাশ ডিভিডেন্ড দেয়া কোম্পানির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৬টি বা ৬৫.৫২ শতাংশ।
প্রতিবছর ক্যাশ ডিভিডেন্ড দেয়া কোম্পানির সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়া পুঁজিবাজারের জন্য ইতিবাচক বলে মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।
তারা বলছেন, একটি কোম্পানির আর্থিক ভীত কতটুকু মজবুত সেটা নির্ভর করে কোম্পানির দেয়া ক্যাশ ডিভিডেন্ডের ওপর। বোনাস শেয়ার ইস্যু কোম্পানি দুর্বলতা প্রকাশ করে। সেদিক থেকে তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির ক্যাশ ডিভিডেন্ডের পরিমাণ বৃদ্ধি বাজারকে আরো গতিশীল করবে বলে মনে করেন তারা।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সাবেক চেয়ারম্যান ড. এ বি মির্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, বিনিয়োগকারীরা ক্যাশ ডিভিডেন্ডের প্রতি আকৃষ্ট বেশি হওয়ায় মূলত স্টক ডিভিডেন্ডের পরিমাণ কমেছে। এছাড়া কোম্পানিগুলো তাদের বিজনেস এক্সাপানশন না করা, স্পন্সর/পরিচালকদের শেয়ার বিক্রির ওপর লইকন জারি করাও ক্যাশ ডিভিডেন্ড বৃদ্ধির অন্যতম কারণ।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ৩০ নভেম্বর বিএসইসির এক নির্দেশনায় কোম্পানির স্পন্সর অথবা পরিচালক বা যেসব কোম্পানির ৫ শতাংশের ওপরে শেয়ার ধারণ রয়েছে তাদের বোনাস শেয়ার বিক্রির ক্ষেত্রে দুই বছর দেয়া হয়।
শেয়ারবাজারনিউজ/ম.সা