বিসিএসের সিলেবাস অনুযায়ী দৈনিক পড়াশুনা: পর্ব-২ (ইংরেজি)
শেয়ারবাজার ডেস্ক: ৩৮তম বিসিএসের প্রিলি পরীক্ষার আবেদন শুরু হয়েছে। আগামী ১০ আগষ্ট পর্যন্ত আগ্রহীরা আবেদন করতে পারবেন। ইতিমধ্যেই বিসিএস প্রত্যাশীরা যার যার মতো প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন। শেয়ারবাজারনিউজ ডটকমের এই বিভাগে শুরু হয়েছে বিসিএসের সিলেবাস অনুযায়ী দৈনিক পড়াশুনা। গতকাল বাংলা বিষয়ের ওপর সিলেবাস ও বাংলা ভাষার ইতিহাস সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেয়া হয়েছে। আজ ইংরেজি বিষয়ের ওপর সিলেবাস সম্পর্কে আলোচনা ও সিলেবাসের শুরু থেকে কি কি পড়তে হবে সে বিষয়ে আলোকপাত করা হলো।
মূলত সিলেবাস অনুযায়ী কৌশলগত ভাবে পড়লেই সফল হওয়া যায় এমনটাই জানিয়েছেন বিসিএস ক্যাডাররা। তাই আজকের পড়াশুনা শুরুর আগে প্রথমেই জেনে নেই বিসিএসের ইংরেজি সিলেবাস।
ইংরেজী ভাষা ও সাহিত্য – ৩৫ নম্বর
১) Spelling/Synonyms / Antonyms – ৪ টি বা ৬ টি প্রশ্ন
২) Analogy – ৩টি বা ৪ টি প্রশ্ন
৩) Phrasal verbs/ Idioms / Phrase / Group verbs – ৫ টি বা ৭ টি প্রশ্ন
৪) Appropriate preposition / Adjective / Adverb – ৪ টি বা ৬ টি প্রশ্ন
৫) Gerund / Clause /Adjective / Adverbs / syntax – ৫ টি বা ৭ টি প্রশ্ন
৬) Narration / Voice / Sequence of Tense / Correction – ৮ টি বা ১০ টি প্রশ্ন
৭) BCS question previous year / Literature – ৪ টি বা ৬ টি প্রশ্ন
তো শুরু করা যাক আজকের পড়াশুনা?
ইংরেজি সাহিত্য
ইংরেজি সাহিত্য বলতে বোঝায় ইংরেজি ভাষায় রচিত সাহিত্য। এই সাহিত্যধারার সূচনা ঘটেছিল খ্রিস্টীয় ৮ম থেকে ১১শ শতাব্দীর মধ্যে কোনো এক সময়ে রচিত মহাকাব্যবেওউল্ফ-এর মাধ্যমে। এই কাব্যটি স্ক্যান্ডিনেভিয়া অঞ্চলের পটভূমিতে রচিত হলেও ইংল্যান্ডের জাতীয় মহাকাব্যের স্বীকৃতি পায়। ইংরেজি সাহিত্যের পরবর্তী উল্লেখযোগ্য কীর্তি হল কবি জিওফ্রে চসারের (১৩৪৩-১৪০০) রচনাবলি; বিশেষত দ্য ক্যান্টারবেরি টেলস ।
রেনেসাঁর যুগে, বিশেষত ১৬শ শতাব্দীর শেষভাগে ও ১৭শ শতাব্দীর প্রথম ভাগে, উইলিয়াম শেকসপিয়র, বেন জনসন, জন ডান সহ অন্যান্য কবি ও নাট্যকারেরা ছিলেন ওই সময়ের প্রধান কাব্য ও নাট্যসাহিত্যের রচয়িতা। ১৭শ শতাব্দীর শেষ ভাগে অপর এক বিখ্যাত কবি জন মিলটন (১৬০৮-৭৪) রচনা করেছিলেন মহাকাব্য প্যারাডাইস লস্ট (১৬৬৭)। ১৭শ শতাব্দীর শেষ ভাগে ও ১৮শ শতাব্দীর প্রথম ভাগটি ছিল ব্যঙ্গসাহিত্যের যুগ। এই যুগেই জন ড্রাইডেন ও আলেকজান্ডার পোপের কাব্য ও জনাথন সুইফটের গদ্যরচনাগুলি রচিত হয়েছিল। ১৮শ শতাব্দীতেই ড্যানিয়েল ডিফো, স্যামুয়েল রিচার্ডসন ও হেনরি ফিল্ডিংয়ের রচনার মাধ্যমে ইংরেজি সাহিত্যে উপন্যাস সাহিত্যের সূচনা ঘটে।
অন্যদিকে ১৮শ শতাব্দীর শেষভাগে ও ১৯শ শতাব্দীর প্রথম ভাগে রোম্যান্টিক কবি উইলিয়াম ওয়ার্ডসওয়ার্থ স্যামুয়েল টেলর কোলরিজ, পার্সি বিশি শেলি, লর্ড বায়রন ও জন কিটসের উত্থান ঘটে।
ভিক্টোরীয় যুগে (১৮৩৭-১৯০১) উপন্যাস ইংরেজি সাহিত্যের প্রধান বিভাগ হয়ে ওঠে। এই সময়কার প্রধান ঔপন্যাসিক ছিলেন চার্লস ডিকেন্স। অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ব্রন্টিভগিনীগণ ও টমাস হার্ডি। ১৯শ শতাব্দীর শেষ ভাগে এঁরাই ছিলেন ইংরেজি সাহিত্যের প্রধান ব্যক্তিত্ব। ১৯শ শতাব্দীতেই আমেরিকান সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ কীর্তিগুলি রচিত হতে শুরু করে। এই সময়কার আমেরিকান সাহিত্যিকদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য মবি ডিক উপন্যাসের রচয়িতা ঔপন্যাসিক হারমান মেলভিল, কবি ওয়াল্ট হুইটম্যান ও এমিলি ডিকিনসন। ১৯শ শতাব্দীর শেষভাগে ও ২০শ শতাব্দীর গোড়ার দিকে প্রধান আমেরিকান ঔপন্যাসিকদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হেনরি জেমস। অন্যদিকে ২০শ শতাব্দীর প্রথম দুই দশকের একজন বিশিষ্ট ব্রিটিশ সাহিত্যিক হলেন পোলিশ-বংশোদ্ভুত জোসেফ কনরাড।
২০শ শতাব্দীতে আইরিশ লেখকরা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। এঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য আধুনিকতাবাদ আন্দোলনের দুই কেন্দ্রীয় চরিত্র জেমস জয়েস ও স্যামুয়েল বেকেট। আমেরিকান আধুনিকতাবাদী সাহিত্যিকদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কবি টি. এস. এলিয়ট ও এজরা পাউন্ড এবং ঔপন্যাসিক উইলিয়াম ফকনার। ২০শ শতাব্দীর মধ্যভাগে ব্রিটিশ কমনওয়েলথের বিভিন্ন রাষ্ট্রে ইংরেজি ভাষায় সাহিত্য রচনা শুরু হয়। এই সব দেশের অনেক সাহিত্যিক সাহিত্যে নোবেল পুরস্কারও লাভ করেন। ২০শ ও ২১শ শতাব্দীর অনেক প্রধান সাহিত্যিকই যুক্তরাজ্যের বাইরের অধিবাসী। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী সাহিত্যের বিভিন্ন দিকগুলিকে উত্তর-আধুনিক সাহিত্য হিসেবে চিহ্নিত করা শুরু হয়।
ইংরেজি সাহিত্যের কয়েকজন উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব
জেফ্রি চসার (ইংরেজি ভাষায়: Geoffrey Chaucer) (আনু. ১৩৪৩ – ২৫শে অক্টোবর, ১৪০০): একজন ইংরেজ লেখক, কবি, দার্শনিক, আমলা, রাজউপদেষ্টা ও কূটনীতিক ছিলেন। তিনি অনেক গ্রন্থ লিখেছেন। তবে অসমাপ্ত বর্ণনামূলক গল্পসমগ্র দ্য ক্যান্টারবেরি টেল্স-এর জন্যই তিনি সবচেয়ে বেশি স্মরণীয় হয়ে আছেন। চসারকে কেউ কেউ ইংরেজি সাহিত্যের জনক বলে অভিহিত করেছেন। তিনিই প্রথম ইংরেজ লেখক যিনি সমসাময়িক মর্যাদাসম্পন্ন ফরাসি বা লাতিন ভাষায় নয়, বরং ইংল্যান্ডের লোকমুখের কথ্য মধ্য ইংরেজি ভাষায় শিল্পগুণসম্পন্ন সাহিত্য রচনা করেন।
উইলিয়াম শেকসপিয়র ( ইংরেজি: William Shakespeare উইলিয়াম্ শেইক্স্পিয়ার্) (ব্যাপ্টিজম ২৩ এপ্রিল, ১৫৬৪; মৃত্যু ২৩ এপ্রিল, ১৬১৬): ছিলেন একজন ইংরেজ কবি ও নাট্যকার। তাঁকে ইংরেজি ভাষার সর্বশ্রেষ্ঠ সাহিত্যিক এবং বিশ্বের একজন অগ্রণী নাট্যকার মনে করা হয়। তাঁকে ইংল্যান্ডের “জাতীয় কবি” এবং “বার্ড অব অ্যাভন” (অ্যাভনের চারণকবি) নামেও অভিহিত করা হয়ে থাকে। তাঁর যে রচনাগুলি পাওয়া গিয়েছে তার মধ্যে রয়েছে ৩৮টি নাটক,১৫৪টি সনেট, দুটি দীর্ঘ আখ্যানকবিতা এবং আরও কয়েকটি কবিতা।
মূল নিবন্ধ: শেকসপিয়রীয় মিলনান্তক নাটক
|
মূল নিবন্ধ: শেকসপিয়রীয় ঐতিহাসিক নাটক
|
মূল নিবন্ধ: শেকসপিয়রীয় বিয়োগান্তক নাটক
|
|
|
মূল নিবন্ধ: শেকসপিয়রের অপ্রামাণিক রচনা
|
জেন অস্টেন (ইংরেজি: Jane Austen) (১৬ ডিসেম্বর, ১৭৭৫ – ১৮ জুলাই, ১৯১৭): ছিলেন একজন ইংরেজ ঔপন্যাসিক। ইংল্যান্ডের ভদ্রসমাজের পটভূমিকায় রচিত তাঁর রোম্যান্টিক কথাসাহিত্য তাঁকে ইংরেজি সাহিত্যের সর্বাপেক্ষা বহুপঠিত লেখকদের সারিতে স্থান দিয়েছে। তাঁর বাস্তবতাবাদী দৃষ্টিভঙ্গি ও তীক্ষ্ণ সমাজ বিশ্লেষণ গবেষক ও সমালোচক মহলে তাঁর ঐতিহাসিক গুরুত্বের স্থানটি পাকা করেছে।
উপন্যাস
- সেন্স অ্যান্ড সেন্সিবিলিটি (১৮১১)
- প্রাইড অ্যান্ড প্রেজুডিস (১৮১৩)
- ম্যান্সফিল্ড পার্ক (উপন্যাস)|ম্যান্সফিল্ড পার্ক (১৮১৪)
- এমা (১৮১৬)
- নর্থাঙ্গার অ্যাবি (১৮১৭) মরণোত্তর প্রকাশিত
- পারসুয়েশন (১৮১৭) মরণোত্তর প্রকাশিত
বড় গল্প
- লেডি সুসান (novella)
- দি ওয়াটসন্স (incomplete novel)
- স্যান্ডিটন (incomplete novel)
কিশোর উপন্যাস
- দি থ্রি সিস্টার্স
- লাভ অ্যান্ড ফ্রেন্ডশিপ
- দি হিস্ট্রি অফ ইংল্যান্ড
- ক্যাথেরিন, অর দি বাওয়ার
- দি বিউটিফুল ক্যাসান্ড্র
মার্ক টোয়েইন
স্যামুয়েল ল্যাঙ্গহোর্ণ ক্লিমেন্স (নভেম্বর ৩০, ১৮৩৫ – এপ্রিল ২১, ১৯১০), ছিলেন একজন মার্কিন রম্য লেখক, সাহিত্যিক ও প্রভাষক। তিনি অবশ্য “মার্ক টোয়েইন” ছদ্মনামেই বেশী পরিচিত।
উল্লেখযোগ্য রচনাসমূহ: দ্য অ্যাডভেঞ্চারস অব হাকলবেরি ফিন, দ্য অ্যাডভেঞ্চারস অব টম সয়্যার।
এ্যাডেলাইন ভার্জিনিয়া উল্ফ (১৮৮২-১৯৪১ খ্রিষ্টাব্দ) ইংরেজি ভাষার একজন সাহিত্যিক। উনিশ শতকের ব্রিটিশ আধুনিকতাবাদী লেখকদের মধ্যে তিনি অন্যতম। প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের মধ্যবর্তী সময়কালে তিনি লন্ডন লিটারেসি সোসাইটি এর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব ছিলেন। তাঁর উল্লেখযোগ্য রচনা হল, মিসেস ডাল্লাওয়ে(১৯২৫), টু দ্যা লাইটহাউজ (১৯২৭), ওরলান্ডো (১৯২৮)। তাঁর রচিত ভাষন সংকলন এ রুম ওয়ান’স ওন (১৯২৯) বইটি তাঁর উক্তি “নারী যখন ফিকশন লেখে তখন তার একটি কক্ষ আর কিছু অর্থ খুব প্রয়োজন।” এর জন্য বিখ্যাত। উল্ফ ডিপোলার ডিজঅর্ডার নামক একটি মানসিক রোগে ভুগেছিলেন। তিনি ১৯৪১ সলে ৫৯ বছর বয়সে আত্মহত্যা করেন।
টমাস স্টেয়ার্ন্স এলিয়ট, ওএম (ইংরেজি ভাষায়: Thomas Stearns Eliot; জন্ম: ২৬শে সেপ্টেম্বর, ১৮৮৮ – মৃত্যু: ৪ঠা জানুয়ারি, ১৯৬৫) ইংরেজি ভাষার একজন , কবি, নাট্যকার সাহিত্য সমালোচক এবং এবং বিংশ শতকের অন্যতম প্রতিভাশালী কবি। তিনি ১৮৮৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের মিশৌরির সেন্ট লুইসে জন্মগ্রহণ করেন। তবে মাত্র ২৫ বছর বয়সে ১৯১৪ সালে ইংল্যান্ডে চলে যান এবং ১৯২৭ সালে ৩৯ বছর বয়সে বৃটিশ নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন।
ইলিয়ট ১৯১৫ সালের দিকে তার কবিতা দি লাভ সং অফ জে আলফ্রেড প্রুফ্রক এর মাধ্যমে সবার নজর কাড়েন। এই কবিতার পরে তার ঝুলি থেকে একে একে বের হয় বিশ্ববিখ্যাত সব কবিতা। এদের মধ্যে দি ওয়েস্ট ল্যান্ড (১৯২২) , দি হলো মেন (১৯২৫) , অ্যাশ ওয়েন্সডে (১৯৩০) এবং ফোর কোয়ার্টার্স (১৯৪৫) অন্যতম। তার নাটকগুলোর মধ্যে অন্যতম ছিল মার্ডার ইন দ্যা ক্যাথেড্রাল (১৯৩৫)। আধুনিক সাহিত্যে অভূতপূর্ব অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ ১৯৪৮ সালে তিনি সাহিত্যে নোবেল পুরষ্কারে ভূষিত হন।
ভ্লাদিমির নাবোকভ
একজন রুশ-মার্কিন লেখক। তিনি শুরুতে রুশ ভাষায় সাহিত্য রচনা করলেও পরবর্তীতে ইংরেজিতে অভিনব গদ্যশৈলীতে উপন্যাস রচনার জন্য আন্তর্জাতিক খ্যাতিলাভ করেন। এছাড়া লেপিডপ্টেরিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার জন্য ও বেশ কিছু দাবার সমস্যা উদ্ভাবনের জন্যও তিনি স্মরণীয়।
নাবকফের লোলিটা (১৯৫৫) বিংশ শতাব্দীর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপন্যাস হিসেবে পরিচিত। এটি ইংরেজিতে তাঁর সেরা সাহিত্যকর্ম। পেইল ফায়ার (১৯৬২) নামের উপন্যাসটিও বহুল পরিচিত। নাবকফ যে শব্দ নিয়ে খেলতে ও খুঁটিনাটি বিস্তারিত বিবরণ দিতে ভালবাসতেন, দুটি উপন্যাসই তার সাক্ষ্য দেয়।
টনি মরিসন (প্রদত্ত নাম ক্লো আর্ডেলিয়া উওফোর্ড; ১৮ই ফেব্রুয়ারি, ১৯৩১) একজন মার্কিন ঔপন্যাসিক, সম্পাদিকা ও প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ের এমেরিটাস অধ্যাপিকা তাঁর উপন্যাসের বৈশিষ্ট্য হল মহাকাব্যিক রীতি, তীক্ষ্ণ কথোপকথন এবং পুঙ্খানুপুঙ্খ চরিত্রায়ন। তাঁর বিখ্যাত উপন্যাসগুলো হল দ্য ব্লুয়েস্ট আই (১৯৭০), সুলা(১৯৭৩), সং অফ সলোমন (১৯৭৭) এবং বিলাভেড (১৯৮৭)।
সালমান রুশদি
স্যার আহমেদ সালমান রুশদি (জন্ম: ১৯শে জুন, ১৯৪৭) একজন ব্রিটিশ ভারতীয় ঔপন্যাসিক ও প্রাবন্ধিক। তার দ্বিতীয় উপন্যাস মিডনাইটস চিলড্রেন ১৯৮১ সালে বুকার প্রাইজ অর্জন করেছিল। তার লেখার অনেকটা অংশ জুড়েই থাকে ভারতীয় উপমহাদেশ। বলা হয়ে থাকে যে তিনি জাদু বাস্তবতার সাথে ঐতিহাসিক কল্পকাহিনী একত্রিত করে লিখেন। পূর্ব ও পশ্চিমের মধ্যে অসংখ্য সংযোগ, বিচ্ছিন্নতা ও অভিপ্রয়াণ তার লেখার অন্যতম বিষয়বস্তু।
১৯৮৮ সালে প্রকাশিত তার চতুর্থ উপন্যাস দ্য স্যাটানিক ভার্সেস বিশ্বব্যাপী একটি বড় আকারের বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছিল। বইটি প্রকাশের পর বেশ কয়েকটি দেশের মুসলিমরা প্রতিবাদ জানায় যা অনেক সময় সহিংস রূপ ধারণ করে। তাঁকে মৃত্যুর হুমকি দেয়া হয়। ইরানের প্রধান ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ রুহুল্লাহ খোমেনি এই বই রচনার জন্য ১৯৮৯ সালের ১৪ই ফেব্রুয়ারি তার বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের ফতোয়া জারি করেছিল।
রুশদি ১৯৯৯ সালের জানুয়ারিতে ফ্রান্সের Ordre des Arts et des Lettres-এর একজন কমান্ডার মনোনীত হন।[১] ২০০৭ সালের জুন মাসে রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথসাহিত্যে বিশেষ অবদানের জন্য তাকে নাইট ব্যাচেলর উপাধিতে ভূষিত করেন। ২০০৮ সালে দ্য টাইমস ১৯৪৫ সালের পর থেকে যুক্তরাজ্যের সেরা ৫০ জন সাহিত্যিকের তালিকায় তাঁকে ১৩তম স্থান প্রদান করে।
২০০০ সালের পর থেকে রুশদি মূলত নিউ ইয়র্ক সিটির ইউনিয়ন স্কোয়ার এলাকায় বাস করে আসছেন।[৪] ২০০৭ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের আটলান্টায় অবস্থিত ইমোরি ইউনিভার্সিটিতে ডিস্টিংগুইশড রাইটার ইন রেসিডেন্স হিসেবে ৫ বছরের জন্য কাজ শুরু করেন। ২০০৮ সালের মে মাসে তাকে অ্যামেরিকান একাডেমি অফ আর্টস অ্যান্ড লেটারস এর একজন সম্মানসূচক বিদেশী সদস্য পদ প্রদান করা হয়।
২০১০ সালের নভেম্বরে তার রুকা অ্যান্ড দ্য ফায়ার অফ লাইফ উপন্যাসটি প্রকাশিত হয়। সে বছরেরই শুরুর দিকে তিনি আত্মজীবনী রচনা শুরু করেছেন বলে ঘোষণা দেন।
বিসিএসের সিলেবাস অনুযায়ী দৈনিক পড়াশুনা: পর্ব-১ (বাংলা)
শেয়ারবাজারনিউজ/ম.সা