শেয়ারবাজার রিপোর্ট: বাজারের সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় বিনিয়োগকারীর মধ্যে চাঞ্চল্যতা ফিরে এসেছে। যার কারনে প্রতিদিনই বাড়ছে সূচক ও লেনদেন। তবে ধারবাহিকতায় উত্থানের ফলে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা বাজার কিছুটা পর্যবেক্ষণ করছেন। যে কারনে সূচকে বড় ধরণের কোন প্রভাব পড়ছে না বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে দেশের উভয় শেয়ারবাজারে সূচকের উর্ধ্বমুখী প্রবণতায় শেষ হয়েছে লেনদেন। এদিন লেনদেনের শুরুতে উত্থান-পতন থাকলেও ২ খন্টা পর ক্রয় প্রেসারে টানা বাড়তে থাকে সূচক। বৃহস্পতিবার সূচকের পাশাপশি ৬৩.৬৪ শতাংশ বা ২১০টি কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে। আর টাকার অংকে লেনদেন আগের দিনের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে। আজ দিন শেষে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৯ কোটি টাকা।

গতকাল কারেকশনের কারণে সূচকের পাশাপাশি কিছুটা কমেছিলো লেনদেন। আর এটা স্বাভাবিক চিত্র। কেননা শেয়ারবাজারে একদিন সূচক কমবে আর একদিন বাড়বে এমনটাই স্বাভাবিক। তবে ধারবাহিক বা মাত্রারিক্ত পতন-উত্থান শেয়ার বাজারের জন্য সুখবর নয়। তাই শেয়ার হোল্ডারের জেনে বুঝে বিনিয়োগের পরামর্শ দিয়েছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।

দিনশেষে ডিএসইর ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ৪৪ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫৮৩৪ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১০ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১৩২৬ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ১৪ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করে ২১৩১ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ৩৩০টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ২১০টির, কমেছে ৭০টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৫০টি কোম্পানির শেয়ার দর। যা টাকায় লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৯ কোটি ৩২ লাখ ৫৪ হাজার টাকা।

এর আগে বুধবার ডিএসই ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ৩৯ পয়েন্ট কমে অবস্থান করে ৫৭৯০ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৫ পয়েন্ট কমে অবস্থান করে ১৩১৬ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ১০ পয়েন্ট কমে অবস্থান করে ২১১৬ পয়েন্টে। ওইদিন লেনদেন হয় ৯১৪ কোটি ২৮ লাখ ৮০ হাজার টাকা। সে হিসেবে আজ ডিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ৯৫ কোটি ০৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা।

এদিকে দিনশেষে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) ব্রড ইনডেক্স ৮৭ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১০ হাজার ৯৩৯ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ২৪৯টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১৬৬টির, কমেছে ৫৮টির ও দর অপরিবর্তিত রয়েছে ২৫টির। যা টাকায় লেনদেন হয়েছে ৫৪ কোটি ৩৪ লাখ ৩ হাজার টাকা।

শেয়ারবাজারনিউজ/মু