শেয়ারবাজার রিপোর্ট: সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে দেশের উভয় শেয়ারবাজারে সূচকের নিম্নমুখী প্রবণতায় শেষ হয়েছে লেনদেন। এদিন শুরু থেকে ক্রয় চাপে উত্থান থাকলেও দেড় ঘন্টা পর সেল প্রেসারে নামতে সূচক। এবং শেষ ভাগে একবার ঘুড়ে দাঁড়ানোর চেষ্টা করলেও ব্যহত হয় বাজার। মঙ্গলবার সূচকের পাশাপশি ৫৩.৪৭ শতাংশ বা ১৭৭টি কোম্পানির শেয়ার দর কমেছে। আর টাকার অংকে লেনদেন আগের দিনের তুলনায় কিছুটা কমেছে। আজ দিন শেষে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৯৬২ কোটি টাকা।

গত কয়েক দিনের ধারবাহিক উত্থানের পর বিনিয়োগকারীদের মধ্যে মুনাফা তুলে নেয়ার ঝোঁক বিরাজ করে। কোন শেয়ারে সামান্য লাভ থাকলেই তা বিক্রি করতে শুরু করেন তারা। এরই জের ধরে তাই গতকালের মত আজও বাজার কিছুটা নিম্নমুখী বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে এ অবস্থা খুব একটা স্থায়ী নয়। কেননা টানা পতন কিংবা টানা উত্থান কোনোটাই বাজারের জন্য ইতিবাচক নয়।

দিনশেষে ডিএসইর ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ৫ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৫৮১৯ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ২ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১৩২২ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ১ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করে ২১৩৪ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ৩৩১টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১১০টির, কমেছে ১৭৭টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৪টি কোম্পানির শেয়ার দর। যা টাকায় লেনদেন হয়েছে ৯৬২ কোটি ২২ লাখ ৯৬ হাজার টাকা।

এর আগে রোববার ডিএসই ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ২০ পয়েন্ট কমে অবস্থান করে ৫৮২৪ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৩ পয়েন্ট কমে অবস্থান করে ১৩২৪ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ০.৩৩ পয়েন্ট কমে অবস্থান করে ২১৩৩ পয়েন্টে। ওইদিন লেনদেন হয় ১ হাজার ১৪৭ কোটি ৬০ লাখ ৭৯ হাজার টাকা। সে হিসেবে আজ ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ১৮৫ কোটি ৩৭ লাখ ৮৩ হাজার টাকা।

এদিকে দিনশেষে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) ব্রড ইনডেক্স ১১ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১০ হাজার ৯১৬ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ২৫৮টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৮৯টির, কমেছে ১৩৫টির ও দর অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৪টির। যা টাকায় লেনদেন হয়েছে ৫৩ কোটি ৩ লাখ ৪০ হাজার টাকা।

শেয়ারবাজারনিউজ/মু